২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মতো আমদানি রফতানি বন্ধ

-

বেনাপোল- পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি বানিজ্য দ্বিতীয় দিনের মত অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ডাকা ধর্মঘটের কারনে বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ ( বর্ডারম্যানদের ) বকশিশের টাকা নিয়ে এ ধর্ম ঘটের ডাকে আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল বন্দরের সিএন্ড এফ ব্যবসায়ি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি দুই দেশের ব্যবসা বানিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে উভয় রাষ্ট সহনশীল হয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে তার জন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। কিন্তু সপ্তাহ পার না হতে আবার ও আমদানি বানিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িদের লোকসান সহ সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরেরর সাবেক সিবিএর সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন মজুমদার বলেন, সিএন্ডএফ বর্ডারম্যানরা ৬ চাকার গাড়িতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও ১০ চাকার গাড়িতে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা বকশিশ পেত পন্য খালাশ করার জন্য। বর্তমানে ভারতের ব্যসায়িরা সেই ৬ চাকার গাড়িতে ৪০০ টাকা এবং ১০ চাকার গাড়িতে সাড়ে ৫০০ টাকা প্রদান করায় বাংলাদেশী সিএন্ডএফ কর্মচারীরা ( বর্ডারম্যান) মেনে না নেওয়ায় আমদানি বানিজ্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সংগঠনগুলো বন্ধর ঘোষনা দেয়। বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি ব্যবসার সহ Ñ সভাপতি আমিনুল হক বলেন ভারতের সাথে বেনাপোল বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় আমদানি কারকরা এ পথে আমদানি করে থেকে সিংহ ভাগ পন্য। দুই দিনের বন্ধে ভারতের ওপারে হাজার হাজার গাড়ির লাইন পড়েছে। এবং পচনশীল পন্য রয়েছে গাড়িতে। যা রোদ বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ট্রাক ভাড়ার ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের কিছু কর্মচারির অতিরিক্ত পন্য আনলোডের অর্থ দাবিতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ি সংগঠনগুলো আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধের ডাক দেয়। তিনি আরো বলেন দুই দেশের ব্যবসায়ি প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে। চেকপোষ্ট কার্গো শাখার কাস্টমস এর রাজস্ব সহকারী ( সুপার) হাবিবুর রহমান বলেন গতকাল শনিবার বেলা ১ টা পর্যন্ত ভারতীয় আমদানি পন্যর ২৬ টি গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর আর কোন গাড়ি আসে নাই। এ দিকে বেনাপোল বন্দরের একটি সুত্র জানায় গাড়ি আটক থাকায় আমদানি পন্য দেশে প্রবেশ করতে না পারায় সরকার প্রতিদিন ২ শত কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশী অসুবিধা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ শিল্প কলকারখানার উৎপাদনের কাাঁচামাল ও রয়েছে। সময় মত নির্ধারিত জায়গায় এসব কাচামাল পৌছাতে না পারলে শ্রমিকদের অযথা অলস বসে সময় কাটাতে হবে। এছাড়া মাছ, পিয়াজ, ফল জাতীয় পচনশীল পন্য রয়েছে গাড়িতে। বেনাপোল চেকপোষ্টে কয়েক জন ব্যব্যসায়ীর সাথে আলাপ কালে জানা গেছে ওপারের হাজার হাজার আমদানি পন্য নিয়ে গাড়ি দাড়িয়ে আছে। আর ওপারের সংগঠনগুলো মাইকিং এর মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়ি নেতা কর্মীদের আহবান করছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত

সকল