চৌগাছায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
- চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:০৪
যশোরের চৌগাছায় আছিয়া খাতুন (২২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তার শাশুড়ি ও দেবর জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বজনরা। তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার আগে ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার ধোপাদী গ্রামে।
আছিয়া খাতুন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য সালাউদ্দিনের মেয়ে এবং একই উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জহির বিশ্বাসের স্ত্রী।
চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি আহত আছিয়া খাতুন জানান, ‘শাশুড়ি পারুল বেগম ও দেবর মিলন হোসেন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। পরে আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন জানাজানি হলে তড়িঘড়ি করে নিকটতম স্থানীয় বাজারে নিয়ে ওয়াশও করিয়েছে তারাই।’
আছিয়ার বাবা সালাউদ্দিন আলী বলেন, ‘আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য হিসেবে আমি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত। পাঁচ বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে দিই একই উপজেলার ধোপাদী গ্রামের হারান বিশ্বাসের ছেলে জহির বিশ্বাসের সাথে। আমার মেয়ে-জামায়ের নিহান রহমান নামে চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বর্তমানে আমার জামাই মালয়েশিয়া প্রবাসী। স্বামী দেশে না থাকায় আছিয়ার শাশুড়ি, দেবর, ননদ ও নদদের স্বামীরা প্রায়ই তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে আনতে ধোপাদী গ্রামে যাই। সেখানে গিয়ে মেয়েকে না পেলেও অনেক মহিলাদের জটলা দেখতে পাই। তাদেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে কিছুই বলে না। একজন বৃদ্ধা মহিলা আমাকে জানান তোমার মেয়ের মুখে এরা বিষ ঢেলে দিয়েছে। একজকে সাথে নিয়ে পাশের ধোপাদী বাজারে গিয়ে দেখি এক গ্রাম্য চিকিৎসকের দোকানে আমার মেয়েকে ওয়াশ করা হচ্ছে। আমি তড়িঘড়ি করে একটি মাইক্রো গাড়ির ব্যবস্থা করে তাকে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানকার চিকিৎসক তাকে ওয়াশ করে ভর্তি রেখেছেন। এখানে এসেও মেয়ের শ্বশুর পক্ষের লোকজন গোলযোগ করছিল। এ খবর পেয়ে চৌগাছা থানার পুলিশ এসেছিল। ঘটনাস্থল অন্য থানায় হওয়ায় মেয়ে একটু সুস্থ হলে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করব।’
এ ব্যাপারে চৌগাছা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আওরঙ্গজেব বলেন, আছিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুব বেশি ভালো না। শুনেছি রোগীর স্বজনদের দুই পক্ষ হাসপাতালেও গোলযোগ করেছে।’
এ ব্যাপারে জানার জন্য আছিয়ার দেবর মিলন হোসেনের সেল ফোনে একাধিকবার কল করলেও প্রতিবারই তিনি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার আকিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে গিয়েছিলাম। যেহেতু ঘটনাস্থল কালীগঞ্জ থানায়। এজন্য তাদের কালীগঞ্জ থানায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা