২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় ৩ জন গ্রেফতার

-

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মোশারাফ হোসেনের হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযাগে মিনারুল ইসলাম ওরফে খোকন (৪৩) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ইরফান ঢালীর ছেলে ও মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল জলিল গাইনের মামা। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার বাড়ি থেকে জলিল গাইনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং দু’টি চায়নিজ কুড়াল ও একটি রাম দা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এপর্যন্ত মোট ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। এর মধ্যে এক আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, এজাহারনামীয় আসামি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বেনাদনা গ্রামের মোক্তার আলী বিশ্বাসের ছেলে মোজাফ্ফর বিশ্বাস (৪৫) ও কৃষ্ণনগর গ্রামের চিত্তরঞ্জন ঘোষের ছেলে মন্টু ঘোষকে (৩৫) রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাদেরকে সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১ এ হাজির করলে মোজাফ্ফর বিশ্বাস হত্যকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। অপর আসামি মন্টু ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত সৈলুদ্দীন কাগুচির ছেলে একাধিকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেনকে (৫২) হত্যার ঘটনায় তার বড় মেয়ে সাফিয়া পারভীন বাদী হয়ে ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল জলিলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মোশররফ হোসেনকে হত্যার পর থেকে এলাকা প্রায় পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement