২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কুয়াকাটায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৭ জেলের সন্ধান মেলেনি

-

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্রে ২টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবির দু’দিন পার হলেও নিখোঁজ ৭ জেলের সন্ধান মেলেনী। হঠাৎ বুধবার সকাল থেকে গভীল সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠে। প্রচন্ড ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে তীরে ফিরে আসার সময় মহিপুরের নজিবপুর এলাকার এফ,বি, ইলিয়াছ ও লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লার মালিকানাধীন এফ,বি মারজিয়া আক্তার রিমা নামের মাছ ধরা ২টি ট্রলার বুধবার গভীর রাতে মাঝি মাল্লাসহ সুন্দরবন সংলগ্ন সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়।
এসময় নজিবপুর এলাকার এফ,বি, ইলিয়াছ ট্রলারের ১৩ জেলের মধ্যে ৬ জেলে অন্য একটি ট্রলারের সাহায্যে তীরে ফিরে আসে। তবে ট্রলার ডুবির দু’দিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ৭জেলের সন্ধান মেলেনী আজও। নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছে মাঝি মনির হাওলাদার (৩২), কাদের (৫৫), ইব্রাহিম (৪৫), মাহাবুব (২৬), ছিদ্দিক (২৮), ফাইজুল (২৮) ও জাহিদ (২৭)। নিখোঁজ জেলে জাহিদের বাড়ি বরগুনা জেলার খাকবুনিয়া এবং অন্যদের বাড়ি মহিপুরের নজিবপুর এলাকায় বলে জানাযায়।
অপরদিকে এফ,বি মারজিয়া আক্তার রিমা ট্রলারের ১৭ জেলে আরেকটি ট্রলারের সাহায্যে মৎস্য বন্দর আলীপুর নিয়ে আসলেও নিমজ্জিত ট্রলার ২টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার শেষ বিকেল পর্যন্ত মাছ ধরা ট্রলারগুলো উপকূলে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনও কিছুসংখ্যক মাছ ধরার ট্রলার তীরে এসে পৌঁছাতে পারেনি। জেলেরা বরফ, তৈল ও দৈনন্দিন বাজার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফিরে আসতে হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে সবগুলো ট্রলার ঘাটে এসে পৌঁছাবে এমনটাই জানিয়েছেন এখানকার ট্রলার মালিকরা। কুয়াকাটা সংলগ্ন আলীপুর-মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নোঙর করে আছে সহ¯্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নদী, খালে মাছধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সাগর থেকে ফিরে আসা জেলে সোহরাফ হোসেন বলেন, সাগর উত্তাল হওয়ার কারণে আমাদের ট্রলারের মাঝি মাল্লা সবাই বমি করেছে। মনে করছিলাম কূলে ফিরতে পারবো না, ট্রলার সমুদ্রে পড়ে যাবে।

নজিবপুর এলাকার এফ,বি, ইলিয়াছ ট্রলারের মালিক মোঃ ইলিয়াছ বলেন, অনেক সখ করে একটি ট্রলার সাগরে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু সে ট্রলারটি আজ ডুবে গেল, ট্রলার ডুবিতে আমার ১০ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয় আমার ১৩ জেলের মধ্যে ৭জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে এটা আরও কষ্টদায়ক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতি লিঃ’র সভাপতি ও লতাচাপলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। জেলেরা সমুদ্রে টিকতে না পেরে নিরাপদে আশ্রায় ফেরার পথে সুন্দরবন সংলগ্ন সমুদ্রে আমার ট্রলারটি ডুবে গেছে। অন্য একটি ট্রলার আমার মাঝি মাল্লাদের ঘাটে নিয়ে এসেছে।
এব্যাপারে নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটিরি দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এই সময় সরকারের পক্ষে জরুরীভাবে শক্তি শালী নৌ-যান নিয়ে নিমজ্জিত এলাকা চিহ্নিত করে জেলেদের খুজে দেখা উচিৎ।
কথা হয় নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, ডেমরাঘাট শাখার কার্যকরী সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে যেকোন ট্রলার ডুবির ঘটনা হলে তাৎক্ষনিক কোষ্টগার্ডের হেলিকপ্টার নিয়ে অনুসন্ধান করা।


আরো সংবাদ



premium cement