২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যশোরে ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা দামের গরু ক্রেতা বেশি

যশোরে ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা দামের গরু ক্রেতা বেশি - ছবি : সংগৃহীত

ঈদুল আজহার আসন্ন। বেড়েছে যশোর জেলার গ্রাম-গঞ্জের হাটগুলোতো কোরবানির পশু সরবহার। জমে উঠেছে বচেকেনা। এসব হাটে মধ্যবিত্ত ক্রেতার সংখ্যা বেশি। সাধ্যের মধ্যে পচ্ছন্দের পশুটি কিনতে চেষ্ঠা করছেন। গ্রামের হাট গুলোতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতা পদাচরণ বেশি থাকায় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদাও বেশি। তবে এ সুয়োগ কাজে লাগাতে বিক্রেতা বেশি দাম হাকান মাঝারি সাইজের গরুর।

বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছে মনে বাজারে আসা ক্রেতারা সিদ্ধান্ত নিতে দেরিও করছে। যাচাই করছেন পশুর দাম। ফলে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পদাচরণে গ্রাম-গঞ্জের হাটগুলোতো জমে উঠেছে বেচা কেনা। তবে কয়েকটি দিন বাকি থাকায় অনেক বিক্রেতা তার পশুটি দাম বেশি হাকাছেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সাধ্যমত পশু কোরবানি করে থাকেন মুসলমানরা। আর তাই পশু কিনতে তৎপর ক্রেতারা। হাটঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে এক উৎসবের আমেজ। বর্তমানে যশোর সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে না বললেই চলে।

এ কারনে যশোরে বাণ্যিজক ভাবে গড়ে উঠেছে কয়েক শত গরুও ছাগল খামার। এছাড়াও নিজেদের গচ্ছিত ক্ষুদ্র পুঁজি বিনিয়োগ করে কোরবানির বাজার ধরার জন্য অনেকেই পশু পালন করছেন। কোরবাণীকে সামনে রেখে এ সব খামারে মোটাজাতা করণ করা হয়েছে।
যশোর প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, যশোরের আট উপজেলায় ছোট বড় নয় হাজার খামার রয়েছে। এ খামারে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ৩০ হাজার পাঁচশ গরু ও ২৭ হাজার ছাগলের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার গরু ও ৩০ হাজার ছাগল পালন করা হয়েছে।

যশোরের কেশবপুরের আসলাম গত সোমবার মনিরামপুরের রাজগঞ্জ হাটে দুটি গরু তুলেছিলেন। দেড় বছর ধরে তিনি এ গরু দুটি লালন-পালনের করেছে। নিজ ক্ষেতের পল ও বাড়ি নষ্ট ভাত ফ্যান, কুড়ো খাইয়ে এদের মোটাতাজা করা হয়েছে। এটা বছর শেষে এককালীন আয়।

গরু দুটি তিনি এক লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি বিক্রি করবেন। তিনি জানা ক্রেতা আসছে , তবে দাম কম বলছে। তাই বসে আছি । আজ বিক্রি না করলে পারলে আগামী হাটে বিক্রি করবে বলে জানা। তবে এখনই কম দামে বিক্রি করবেন না। তিনি জানান বাজারে ৪৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা দামের গরু চাহিদা বেশি।

ক্রেতার সংখ্যাও বেশি। যশোরের মনিরামপুরে খাজুরা গ্রামের কাশেম হাটে দুটি ছাগল নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, ছাগল দুটির দাম হচ্ছে ২৭ হাজার টাকা। ৩০ হাজার টাকা হলে তিনি বিক্রি করে দিবেন। তিনি জানা,এক বছর আগে ছাগল দুটি তিনি সাত হাজার টাকা দিয় কিনে ছিলেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী হোসেন গাজী বলেন, এলাকা থেকে দুটি গরু ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনে রাজগজ্ঞ হাটে নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, গরু ছোট হওয়ায় ক্রেতা আসেছে। এখন দাম হচ্ছে জোড়া ৯০ হাজার। ক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বাজারের পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। দেখে শুনে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে একটি গরু কিনবে বলে জানান তিনি। হয়রত আলী নামের এক ব্যাপারি গরু তিনটি কিনেছেন। ঢাকার কোরবানির পশু হাটে বিক্রি করবেন। ব্যাপারিদের কয়েকজন জানালেন তাদের আশংকার কথা। তারা জানার প্রতি বছর গরু নিয়ে ঢাকার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে গরু তোলার কয়েকদিন পর ভারতীয় গরুতে সয়লাব হয়ে যায়।

গত কয়েক বছর লোকসানের পর অনেকেই পথে বসেছেন। আর পথে তো চাঁদা বাজরা হয়েছে। হাট ইজারাদার জানায়, এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষি নিভর্রশীল। কৃষি কাজের সাথে সাথে প্রায় অধিকাংশ বাড়িতে এক-দুইটি গরু ও ছাগল পালেন। কোরবাণীর সময় তারা তা বিক্রি করে থাকেন। বাজার পর্যাপ্ত গরু ও ছাগল উঠছে। বেচা কোনা মোটামুটি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement