২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আ’লীগ নেতার  বিরুদ্ধে মাদরাসা সুপারকে মারধরের অভিযোগ

-

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক মল্লিক মানিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বড়নাল দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা শফিকুল ইসলামকে (৫১) ব্যাপক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি প্রাথিমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়া থানায় আ’লীগ নেতা ও ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মানিরুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বাতিলের দাবিতে আ’লীগ নেতা মানিরুলসহ আরো পাঁচ-ছয়জন মাওলানা শফিকুল ইসলামকে মাদরাসার অফিস কক্ষে ব্যাপক মারধর করে তার গায়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি রেজুলেশন খাতা ছিঁড়ে ফেলে মাদরাসার সভাপতি হিসেবে কালিয়া ইউএনওর নাম বাদ দিয়ে নতুন করে রেজুলেশন লিখে সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষর প্রতিস্থাপন করে মানিরুল ইসলাম সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ওইদিন (মঙ্গলবার) রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম পিপিএমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। এদিকে, আ’লীগ নেতা মানিরুল ইসলামসহ দোষীদের যথাযথ বিচার দাবিতে বুধবার সকালে ক্লাস বর্জন করে মাদরাসা চত্বরে বিক্ষোভ করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

মাদরাসা সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মানিরুলসহ অভিযুক্তরা কাউকে না বলার জন্য জোর করে আমার কাছ থেকে অঙ্গীকার আদায় করে নেন। তিনি আরো বলেন, নিয়মানুযায়ী গত ২ আগস্ট কালিয়া উপজেলা ইউএনওকে সভাপতি করে বড়নাল দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু মানিরুল ইসলাম বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এরপর থেকে মানিরুল ইসলাম আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। তাকে (মানিরুল) সভাপতি করতে হবে বলে অব্যাহত চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে; পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মানিরুলসহ তার লোকজন মাদরাসায় এসে রেজুলেশন খাতা পরিবর্তন করে তাকে (মানিরুল) সভাপতি করতে চাপ দেয়। মানিরুলসহ তার সঙ্গে থাকা সাইজুর ও খাইরুলও কিলঘুষি মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন তারা।

এ ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনার পর থেকে সুপারসহ মাদরাসার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মানিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে তাদের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মানিরুল ইসলামকে মোবাইলে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement