২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যৌতুকের বলি হলো গৃহবধূ

-

স্বামীর হাতে যৌতুকের বলি হলো গৃহবধু সুমাইয়া (১৯)। সুমাইয়ার মৃত্যুর খবর শুনে মা ছকিনা খাতুন নির্বাক। তার মুখে কোনো ভাষা নেই। দশ মাসের অবুঝ শিশু সন্তান তোহার চিৎকারে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তোহা জানে না যে তার মা কোথায়? গত ৭ জুলাই সুমাইয়া খাতুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় টাঙিয়ে রাখেন তার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)। প্রচার করতে থাকে সে আত্মহত্যা করেছে।

সুমাইয়া অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। স্কুলে যাওয়া আসার পথে পরিচয় ঘটে ঝিকর গাছা বাইশা চাঁদপুর কলনি পাড়ার মুজিবর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হান (বাবু) সাথে। স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় বিবাহের প্রস্তাব দেয় জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হান (বাবু)। এবং রাজি না হলে তাকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। অসহায় সুমাইয়ার পিতা নির্মাণ শ্রমিক ইসমাইল হোসেন নিরুপায় হয়ে দুশ্চরিত্র জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হানের সাথে বিবাহ দিতে বাধ্য হয়। বিবাহের কিছু দিন পর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হান (বাবু) ও শাশুড়ি সখি খাতুনের শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে সুমাইয়ার ওপর অত্যাচার নির্যাতন। পিতার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন চালাতে থাকে। গরিব পিতা নির্মাণশ্রমিক ইসমাইল হোসেন মেয়ের সুখের কথা ভেবে একটি খাটসহ ৭৫ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছেন বলে জানা যায়।

কিন্তু এতেও স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হান (বাবু) ও শাশুড়ি সখি খাতুনের মন ভরেনি। অভিযোগে প্রকাশ, ঘটনার দিন গত ৭ জুলাই রাতে স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হান (বাবু)ও শাশুড়ি সখি খাতুন মিলে সুমাইয়া খাতুনকে বেধড়ক মারপিট ও কিল ঘুসি দিয়ে গুরুতর যখম করে। এ সময় ১০ মাসের শিশু সন্তান তোহাকে নিয়ে সুমাইয়া দৌড়ে পালানোর সময় আবার ও গুরুতর আহত করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঐ দিন রাতে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠান। পোস্ট মডেম রিপোর্ট শেষে সুমাইয়ার পিতার বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামে জানাজা শেষে সমাহিত করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন রায়হান(বাবু) ও শাশুড়ি সখি খাতুন পলাতক রয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement