২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হিলি বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল

-

শুল্ক জটিলতায় হিলি স্থালবন্দরে গেলো দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল। শুল্কায়ন জটিলতায় এসব চাল ব্যবসায়ীরা ছাড় নিচ্ছেনা। অন্যদিকে বাজেট ঘোষনার পর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানিও বন্ধ রেখেছেন বন্দরের চাল আমদানি কারকরা। ফলে গেলো দুই সপ্তাহ ধরে হিলি স্থলবন্দরে চাল খালাস যেমন বন্ধ রয়েছে তেমনি বন্দর দিয়ে চাল আমদানিও বন্ধ রয়েছে। তবে রোববার একজন আমদানি কারক সামান্য পরিমান চাল ছাড় করেছে বলে বন্দর সুত্রে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজেটে ঘোষনার দুইদিন আগে ৫ ও ৬ জুন ভারত থেকে ২ শতাংশ শুল্কে আমদানি করা চালের নতুন প্রস্তাবিত ২৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে হিলি কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাজেট ঘোষনার পর থেকে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা সব ধরণের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা। ৩৫ টাকা কেজি দরের স্বর্ণা চাল পাইকারী বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৩৯ টাকায় আর খোলা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪১ টাকা কেজি দরে।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষনায় চালের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হবে আগে থেকে এমন ঘোষনায় হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানি কারকরা ভারত থেকে চাল আমদানির পরিমান বাড়িয়ে দেন।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষনার দুইদিন আগে অর্থাৎ ৫ ও ৬ জুন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান চাল আমদনি করে ব্যবসায়ীরা। এদুই দিনে এবন্দর দিয়ে মোট ৩৪৭ ট্রাকে মোট ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ৬ জুন আমদানি করা চাল ছাড় করাতে গেলে কাষ্টমসের সার্ভার জটিলতায় পড়ে আমদানি কারকরা। হঠাত করে কাষ্টমসের সার্ভার বন্ধ থাকায় আমদানি করা এসব চালসহ বিভিন্ন পণ্য ছাড় নিতে পারেনি। ফলে বন্দরের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে ভারত থেকে আমদনি করা ২ শতাংশ শুল্কের চাল।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানি কারক এবং আমদানি কারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন মাষ্টার জানান, ২ শতাংশ শুল্কে আমদানি করা চালের ২৮ শতাংশ শুল্ক আরপ করছে হিলি কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হাচ্ছে তাদের। তিনি জানান, ২ শতাংশ শুল্কে সময় আমদানি করা চাল ২৮ শতাংশ শুল্কে শুল্কায়ন করা হলে প্রতি একশ মেট্রিক টনে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৯ লাখ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে। এতে দারুন ভাবে ক্ষতির মূখে পড়তে হবে তাদের। তিনি জানান এবিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিটও দায়ের করা হয়েছে।
বন্দর কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারত থেকে ৩৪৭টি ট্রাকে আমদানি করা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চাল বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের ওয়ার হাউজে খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে। এছাড়াও গত ৬ তারিখের পরথেকে বন্দরের চাল খালাসের পাশাপাশি আমদানিও বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাজেটে চালের আমদানি শুল্ক বাড়ানো প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে। ভারতীয় আমদানি করা চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। ৩৫ টাকা কেজি দরের স্বর্ণা চাল পাইকারী বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৩৯ টাকায় আর খোলা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪১ টাকা কেজি দরে। তবে আমদানি কারকদের দাবি চালের আমদানি শুল্ক যে পরিমান বাড়ানো হয়েছে চালের দাম সেই তুলনায় বাড়েনি।
এদিকে বাজেট ঘোষনার আগে আমদানি করা চলের ২ শতাংশ হারে শুল্কায়নের দাবি জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানি কারকরা।


আরো সংবাদ



premium cement