২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ

প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ - ছবি : সংগৃহীত

নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদরের ডাঙ্গাসিঙ্গীয়া গ্রামের ভূক্তভোগী মেয়েটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার আসামিরা হলেন সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের আজাদ মিনার ছেলে রফিকুল মিনা (৩০), হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা (২৩) ও আজগর মিনার ছেলে মাসুম মিনা (২৫)।

এ দিকে বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ব্রাক্ষণীনগর গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে।

মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলে আসছিল অষ্টম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় অটোবাইক থেকে নেমে যায় তারা। রাত ৯টার দিকে মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন লোক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নেয়ার কথা বলে তাদের হবখালী বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এলাকার কয়েকজন যুবক। একপর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রেমিকা গণধর্ষণ করে এবং বুক, মুখ ও হাতের বিভিন্ন অংশে জখম করে।

গণধর্ষণের পর আসামিরা হুমকি দেয়, বিষয়টি কাউকে জানালে তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন।

ওই রাতেই শাকিলের বাড়িতে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে ভূক্তভোগী মেয়েটির পাশে দাঁড়ান। পরে পুলিশ এসে প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে। গণধর্ষণের ঘটনায় সচেতনমহলসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারসহ যথাযথ বিচার দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরো পড়ুন :

মোবাইল ফোনে পরিচয়, দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ, শেষে হত্যা

রাজনগর (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
(০৩ জুন ২০১৮ প্রকাশিত)

মৌলভীবাজারের রাজনগরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত যুবতীর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম রাশেদা বেগম (৩০)। তিনি সিলেটের উসমানীনগর উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের অইয়া গ্রামের মৃত ফরাসত মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় পুলিশ আবারক মিয়া (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের ছিককা গ্রামের মজম্মিল মিয়া ওরফে মজু মিয়ার ছেলে।

রোববার বিকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গণধর্ষণ শেষে রাশেদাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আবারক মিয়া।
পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, উসমানীনগর উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের অইয়া গ্রামের মৃত ফরাসত মিয়ার মেয়ে রাশেদা বেগমের (৩০) মোবাইল ফোনের সূত্রে পরিচয় ছিল গ্রেফতারকৃত আবারক মিয়া ও মৌলভীবাজারের এক যুবকের সঙ্গে।

এর সূত্র ধরে বেশ কয়েকবার তাদের দেখা-সাক্ষাতও হয়েছে। গত ৩০ মে বুধবার তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মৌলভীবাজার আসেন রাশেদা বেগম।

ঐদিন সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের ওই যুবককে নিয়ে রাজনগর উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন রাশেদা। এসময় ওই যুবক আবারক মিয়াকেও ফোন দিয়ে রাজনগর নিয়ে আসেন। রাশেদাকে নিয়ে তারা উপজেলা পরিষদের পার্শবর্তী মাছুয়া নদীর ধার ঘেসে পুশ্চিম দিকে যেতে থাকেন।

এসময় দক্ষিন খারপাড়া গ্রামের মোবারক মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে নদীর ধারে এসে ওই যুবক রাশেদাকে কুপ্রস্তাব করেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় উভয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেছিয়ে তাকে হত্যা করেন ধর্ষকরা। পরে লাশের সঙ্গে ইট বেঁধে নদীর পানিতেই তলিয়ে দেন রাশেদার লাশ।
এ ঘটনায় রাশেদার ভাই আব্দুল খালিদ রাজনগর থানায় মামলা করেন। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রাজনগর থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম ও এসআই রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আবারক মিয়াকে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার থেকে গ্রেফতার করে।

রোববার বিকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যজিস্ট্রেট জিয়াদুল হকের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে নিহতের ভাই মামলায় উল্লেখ করেছেন পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে রাশেদা বেগম ধান কেনার জন্য এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকার ধান কেনার কথা ছিল। তবে নিহতের টাকা ছিনিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেনি আসামি আবারক মিয়া।
উল্ল্যেখ্য যে গত শুক্রবর রাতে রাজনগর থানা পুলিশ দক্ষিক খারপাড়া গ্রামের মোবারক মিয়ার বাড়ির পশ্চিমে মাছুয়া নদী থেকে ভাসমান এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে। লাশের খবর পেয়ে নিহতের ভাই রাজনগর থানায় এসে লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল ইসলাম বলেন, আসামীরা রাশেদাকে ধর্ষণ করে লাশ পানিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছে। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল