১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুরআনের সম্মোহনী শক্তি

-

আল কুরআন অবতীর্ণের প্রাক্কালে স্বয়ং কুরআনই আরবদেরকে এর সম্মোহনী শক্তিতে সম্মোহিত করেছিল। যার অন্তরকে আল্লাহর ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল তিনি এবং যাদের মনের ওপর ও চোখের ওপর পর্দা পড়ে গিয়েছিল তারাও এ কুরআনের সম্মোহনী প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছে। যদিও তারা এ কুরআন থেকে কোনো উপকৃত হতে পারেনি। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তিত্ব এমন ছিল, যারা শুধু নবী করীম সা:-এর স্ত্রী মুহতারামা খাদিজা রা:, তাঁর মুক্ত করা ক্রীতদাস হজরত যায়িদ রা: প্রমুখ। এঁদেরকে ছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল, তখন রাসূল সা: এত বেশি শক্তি ও মতাশালী ছিলেন না যে, তাঁরা তাঁর মতা ও শক্তিমত্তায় বিমোহিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। বরং তাঁদের ইসলাম গ্রহণের মূলে ছিল আল কুরআনের মায়াবী আকর্ষণ।
হজরত উমর রা:-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা এবং ওয়ালিদ বিন মুগিরার প্রভাবিত হওয়ার ঘটনা দুটো উপরিউক্ত বক্তব্যকেই স্বীকৃতি দেয় এবং প্রমাণ করে যে, আল কুরআনের সম্মোহনী শক্তি অত্যন্ত প্রবল। যা শুধু ঈমানদারদেরকেই নয়; বরং কাফিরদেকেও প্রভাবিত করে।
হজরত উমর রা:-এর ইসলাম গ্রহণ
হজরত উমর রা:-এর ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে আতা ও মুজাহিদের রিওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন, যা ইবনে ইসহাক আবদুল্লাহ বিন আবু নাাজহ থেকে সঙ্কলন করেছেন, একদিন উমর রা: রাসূলে করিম সা:-কে হত্যা করার জন্য নগ্ন তরবারি নিয়ে রওনা হলেন। সাফা পাহাড়ের পাদদেশে কতিপয় সাহাবির সাথে নবী করিম সা: একটি ঘরে বসবাস করতেন। সেখানে প্রায় চল্লিশজনের মতো পুরুষ ও মহিলা ছিল। পথিমধ্যে নাঈম বিন আবদুল্লাহর সাথে দেখা। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : উমর! কোথায় যাচ্ছো? উমর তাঁর উদ্দেশ্য ব্যক্ত করলেন। নাঈম বললেন: বনী আবদে মুনাফের শত্রুতা পরে করো, আগে নিজের বোন ফাতিমা এবং ভগ্নিপতি সাঈদ বিন জায়িদকে সামলাও। তারা মুসলমান হয়ে গেছে। তখন হজরত উমর রা: সেখানে গিয়ে দেখলেন, খাব্বাব রা: তাদেরকে কুরআন শরিফ পড়াচ্ছেন।
উমর রা: সরাসরি দরজার ভেতর ঢুকে ভগ্নিপতি সাঈদকে ধরে ফেললেন। নিজের বোন ফতিমাকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে দিলেন। কিছুণ বাগি¦তণ্ডার পর তারা যা পড়ছিল, তা দেখতে চাইলেন। তখন সূরা ত্ব-হা থেকে কিছু অংশ পাঠ করে তাকে শুনানো হলো। যখন সূরা ত্ব-হার কিছু অংশ শুনালেন, তখন তিনি মন্তব্য করলেন, ‘এত অতি উত্তম কথাবার্তা’। তাপ পর তিনি রাসূলে করিম সা:-এর কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হন। (সিরাতে ইবনে হিশাম)
এ বিষয়ে সব বর্ণনার মূল কথা একটি। তা হচ্ছে হজরত উমর রা: কুরআনের কিছু অংশ পড়ে অথবা শুনে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেন। আমরা তো এ ঘটনা শুনি কিংবা বলি কিন্তু এ দিকে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় না যে, হজরত উমর রা:-এর পরিবর্তন হয়েছিল, তার মূলে ছিল আল কুরআনের আকর্ষণ ও অপ্রতিরোধ্য সম্মোহনী শক্তি।
ওয়ালিদ বিন মুগিরার ঘটনা
ওয়ালিদ বিন মুগিরা কুরআনে হাকিমের কিছু অংশ শুনে তার প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। এটি দেখে কুরাইশরা বলাবলি শুরু করল, সে মুসলমান হয়ে গেছে। ওয়ালিদ ছিল কুরাইশদের মধ্যে এক সম্ভ্রান্ত ও সম্মানিত ব্যক্তি। আবু জাহেলকে তার কাছে পাঠানো হলো। যেন সে কুরআনের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষের কথা ঘোষণা দেয় যাতে কুরাইশরা তার ওই কথায় প্রভাবিত হয়। ওয়ালিদ বলতে লাগল : “আমি কুরআন সম্পর্কে কী বলব? আল্লাহর কসম! আমি কবিতা ও কাব্যে তোমাদের চেয়ে বেশি জ্ঞান রাখি কিন্তু মুহাম্মদের কাছে যে কুরআন শুনেছি তার সাথে এগুলোর কোনো মিল নেই। আল্লাহর শপথ! তাঁর কাছে যা অবতীর্ণ হয় তা অত্যন্ত চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর এবং তা প্রাঞ্জল ভাষায় অবতীর্ণ; যা তাঁর সামনে আসে তাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। ওটি বিজয়ী হওয়ার জন্য এসেছে পরাজিত হতে আসেনি।”
এ কথা শুনে আবু জাহেল বলল : ‘যতণ তুমি কুরআনকে অবজ্ঞা না করবে ততণ তোমার কওম তোমার ওপর নারাজ থাকবে।’ ওয়ালিদ বলল : ‘আমাকে একটু চিন্তা করার অবকাশ দাও।’ তার পর সে ঘোষণা দিলো : ‘এত সুস্পষ্ট জাদু, তোমরা দেখো না, যে এর সংস্পর্শে যায় তাকেই তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। [সিরাতে ইবনে হিশাম ও তাফসিরে ইবনে কাসিরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে। Ñলেখক।]
আল কুরআনে সম্মোহনী শক্তির উৎস
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল কুরআন আরবদেরকে কিভাবে পরাজিত করল এবং ঈমানদার ও কাফিরদের মধ্যে এটি কিভাবে এমন প্রচণ্ড প্রভাব ফেলল? যেসব মনীষী কুরআন বোঝার ব্যাপারে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছেন এবং আল কুরআনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লিখনী ধরেছেন তারা তাদের সাধ্যমতো এ ব্যাপারে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কতিপয় আলিম কুরআনী বিষয়বস্তুর মিল ও যোগসূত্র সম্পর্কে কিছু না বলে অন্যভাবে কিছুটা আলোচনা করেছেন; যা কুরআন এমন কিছু ঘটনাও বলে দিয়েছে, যা পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই সংঘটিত হয়েছে। তা ছাড়া কুরআন বিশ্বপ্রকৃতি ও মানবসৃষ্টি সম্পর্কেও আলোকপাত করেছে ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হচ্ছেÑ উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো আল কুরআনের প্রচুর বর্ণনা করা হয়েছে; যা আল কুরআনের মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক। কিন্তু ছোট ছোট সেসব সূরার ব্যাপারে বক্তব্য কী, যেখানে কোনো শরয়ি বিধান বর্ণনা করা হয়নি? কিংবা যেখানে কোনো অদৃশ্য জগতের বিবরণ পেশ করা হয়নি বা পার্থিব জগতের কোনো জ্ঞানও বিতরণ করা হয়নি? যদিও ছোট সেসব সূরায় সব বিষয়ের সামষ্টিক আলোচনা করা হয়নি (যা আল কুরআনের অনেক সূরায় করা হয়েছে)। তবু আল কুরআন অবতীর্ণের প্রথম দিকে সেগুলো আরবদেরকে সম্মোহন করেছিল। ওই সব সূরার মাধ্যমেই এসেছিল তাদের চিন্তার জগতের আলোড়ন এবং তার সৌন্দর্যের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, এ ছোট সূরাগুলোর জাদুকরী প্রভাব এত তীব্র ও অপ্রতিরোধ্য ছিল, যার কারণে শ্রোতা মোহগ্রস্ত না হয়ে পারত না। আল কুরআন স্বীয় বৈশিষ্ট্যের প্রভাবে কাফির ও মুমিনদেরকে তার প্রভাব বলয়ে টেনে নিতে সম হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করে সৌভাগ্যশালী হয়েছেন, তাদের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে আল কুরআন। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই যে, আল কুরআনের ছোট একটি সূরা কিংবা তার অংশবিশেষ তাদের জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
অবশ্যি ইসলাম পূর্ণতা প্রাপ্তির পর যেসব লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের পেছনে আল কুরআন ছাড়াও কিছু আচার-আচরণে এবং বাহ্যিক তৎপরতা ক্রিয়াশীল ছিল। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের সৌভাগ্যবান মুমিনদের পেছনে ঈমানের ব্যাপারে যে বস্তুটি ক্রিয়াশীল ছিল, তা কেবল কুরআন ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইসলাম গ্রহণের মূল চালিকাশক্তি
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হওয়ার পর বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে লোকজন ইসলাম গ্রহণ করেছিল। যেমন: (১) কতিপয় লোক রাসূলে আকরাম সা: ও সাহাবায়ে কিরামের আমল ও আখলাকে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। (২) যারা এর আগে ইসলাম গ্রহণ করেছিল তারা সব কিছুর ঊর্ধ্বে দ্বীনকে প্রাধান্য দিচ্ছিলেন এবং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারা সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট, নির্যাতন ভোগ করছিল, কতিপয় লোক এ ব্যাপারে প্রভাবিত হয়ে মুসলমান হয়েছিল। (৩) কিছু লোক এ কথা চিন্তা করে ইসলাম গ্রহণ করেছিল যে, মুহাম্মদ সা: ও তার সঙ্গী সাথীরা সংখ্যায় অল্প কিন্তু তবু কোনো পরাশক্তি তাদেরকে পরাস্ত করতে পারে না এটি আল্লাহর সাহায্য ও তত্ত্বাবধান ছাড়া কিছুতেই সম্ভব হতে পারে না। (৪) কতিপয় লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিল তখন যখন ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ইসলামের ইনসাফ ও ন্যায়বিচার কার্যকরী ছিল; যা তারা এর আগে কখনও দেখেননি।
এ রকম আরও অনেক কারণেই মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম ছিল আল কুরআনের প্রাণস্পর্শী আবেদন ও মোহিনী টান; যা ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় এককভাবে অবদান রেখেছে।
আল কুরআনে সম্মোহনী শক্তির উৎস কোথায়?
একটি কথা ভেবে দেখা দরকার, তখন পর্যন্ত শরিয়ত পরিপূর্ণ ছিল না, অদৃশ্য জগতের খবর ছিল না, জীবন ও জগৎ সম্পর্কেও জোরালোভাবে তেমন কিছু বলা হয়নি, ব্যবহারিক কোনো দিকনির্দেশনা তখনও কুরআন দেয়নি, কুরআনে অতি সামান্য একটি অংশ ইসলামের দাওয়াতি কাজ করার জন্য বর্তমান ছিল। তবু সেখানে জাদু ও সম্মোহনী শক্তির উৎস নিহিত ছিল; যার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে তারা বলতে বাধ্য হয়েছে :
এত লোকপরম্পরায় প্রাপ্ত জাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।
ওয়ালিদ বিন মুগিরা ইসলাম গ্রহণ করতে চেয়েও তা গ্রহণ না করার ঘটনাটি সূরা আল-মুদ্দাসসিরে বর্ণিত হয়েছে। অবতীর্ণের ধারাবাহিকতায় এ সূরার অবস্থান তৃতীয়। সূরা আলাক ও সূরা আল-মুজ্জাম্মিল এর আগে অবতীর্ণ হয়েছিল। আমরা গভীরভাবে ল করলে দেখতে পাবো এ সূরাগুলো কিভাবে ওয়ালিদ বিন মুগরাকে প্রভাবিত করেছিল, এতে এমন কী জাদু ছিল, যা তাকে পেরেশান করে তুলেছিল?
মক্কায় অবতীর্ণ ছোট ছোট এ সূরাগুলো যখন আমরা অধ্যয়ন করি তখন সেখানে শরয়ি কোনো আইন কিংবা পার্থিব কোনো ব্যাপার সামান্যতম ইঙ্গিতও পাই না। অবশ্যই সূরা ‘আলাকে মানব সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে অতি সংেেপ সামান্য আলোচনা এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মানুষকে ঝুলে থাকা বস্তু থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তা ছাড়া পরবর্তী বছরগুলোর ভবিষ্যদ্বাণীও করা হয়েছে। যেমন সূরা রূমে (পারস্য বিজয়ের ব্যাপারে) ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে ওয়ালিদ যেটিকে জাদু বলল, আল কুরআনে তার শেষ কোথায়?
এর উত্তর হচ্ছেÑ ওয়ালিদ আল কুরআনের যে অংশকে জাদু বলে আখ্যায়িত করেছে অবশ্যই তা শরয়ি আহকাম ও পার্থিব কোনো জ্ঞানের বহির্ভূত বস্তু ছিল। আলোচনার এমন কোনো বিষয় সেখানে ছিল না যে ব্যাপারে সে কোনো কথা বলতে পারত। অবশ্য এ কথাও ঠিক, ইসলামী আকিদা ও আধ্যাত্মিকতা অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়াই সে তার সূক্ষ্ম রহস্য হৃদয়ঙ্গম করতে সম হয়েছিল।
মক্কার কাফিরদেরকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, তোমাদের জন্য যে রাসূল পাঠানো হয়েছে তিনি রাসূল হিসেবে নতুন ও প্রথম নন, তিনি তাদের মতোই একজন রাসূল, যাঁরা ফেরাউন ও তার মতো অন্যদের কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন। আর তোমাদের শান-শওকত ও মতা-ইখতিয়ার নিশ্চয়ই ফেরাউনের চেয়ে বেশি নয়। সে ফিরাউনকে পর্যন্ত কঠিন শাস্তি দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমরাও কী চাও সেই রকম শাস্তিতে নিমজ্জিত হতে? যখন পৃথিবীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তখন তোমরা যারা কুফুরিতে লিপ্ত আছ, তারা আল্লাহর পাকড়াও থেকে কিভাবে বাঁচবে? অথচ সে দিনের ভয়াবহতা দেখে দুশ্চিন্তায় শিশুরা পর্যন্ত বুড়ো হয়ে যাবে। আসমান ফেটে যাবে, পৃথিবী ও পাহাড় পর্বত কেঁপে উঠবে। এ ভয়ঙ্কর চিত্রের ভয়াবহতা থেকে কোনো সৃষ্টিই নিরাপদ থাকবে না। যখন কল্পনায় সেই বিভীষিকার চিত্র প্রতিফলিত হয় তখন কেউ প্রভাবিত না হয়ে পারে না। আর মানুষের অন্তরই এ কথার স্যা দেয় যে, আল্লাহর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ার মতোই একটি ওয়াদা; যা কার্যকরী হওয়ার ব্যাপারে কোনো জায়গাও নেই। কাজেই বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে সময় থাকতেই আল্লাহর পথে চলে আসা। সেই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের রাস্তায় চলার চেয়ে আল্লাহর পথে চলা অধিকতর সহজ।
আমরা চাই কিছু সময়ের জন্য হলেও (কুরআনে কারিমের দ্বীনের পবিত্রতা, ইসলামের দাওয়াতের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে) স্থান-কাল ও পাত্রের ঊর্ধ্বে ওঠে কুরআনে কারিমের সেই শৈল্পিক সৌন্দর্য ও রহস্য অনুধাবনের চেষ্টা করতে, যা মৌলিক নীতির মর্যাদা রাখে। যা কুরআনের মতোই শাশ্বত ও চিরন্তন। শৈল্পিক এ সৌন্দর্য আল কুরআনকে অন্য সব কিছু থেকে অমুখাপেী করে দেয়। ফলে দ্বীনি গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য পূর্ণতা লাভ করে ধাবিত হয় মনজিলে মাকসুদের দিকে।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement