২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরোপকারীকে আল্লাহ সাহায্য করেন

-

দুর্যোগ তথা বিপদ-আপদ মুমিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ। পরীক্ষা ছাড়া পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। তাই আল্লাহ তায়ালা মুমিন ব্যক্তির কাছ থেকে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। নতুবা মুমিন এবং গোনাহগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। বিপদ-আপদ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা মুমিন ব্যক্তির ভালোবাসা যাচাই করেন। এ ছাড়া আল্লাহ তায়ালা কাকে কিভাবে নেয়ামত দান করবেন। তা একমাত্র তিনিই ভালো জানেন। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ কলেমার ওপর যারা ঈমান এনেছে তাদের পরোপকার করতেই হবে। কারণ ইসলাম আল্লাহর হক ও বান্দার হক আদায়ের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে তাগিদ দিয়েছেন। অন্যের বিপদ-আপদে এগিয়ে যাওয়া মুসলমানের নৈতিক এবং ঈমানী দায়িত্ব। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি! তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।’ (সূরা আলে-ইমরান:১১০)। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো সঙ্কটাপন্ন ব্যক্তির সঙ্কট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় সঙ্কট নিরসন করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুট গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া-আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকেন।’ (মিশকাত, পৃ.৩২)।
সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবেশীকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, আত্মীয়স্বজনের খেদমত করা, আশপাশের লোকজনের খোঁজ-খবর নেয়া, ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার দেয়া, ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দেয়া মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব। কুআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কল্যাণমূলক ও খোদাভীরুতার কাজে পরস্পর সহযোগী হও, মন্দ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে পরস্পর সহযোগী হয়ো না।’ (সূরা মায়েদা:২)। ‘তুমি কি এমন লোককে দেখেছ, যে দ্বীনকে অস্বীকার করে? সে তো ওই ব্যক্তি যে ইয়াতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়, আর সে মিসকিনদের খাবারদানে মানুষকে উৎসাহিত করে না।’ (সূরা মাউন:১-৩)। ‘তারা দুনিয়ার জীবনে খাদ্যদ্রব্যের প্রতি নিজের প্রয়োজন আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, ইয়াতিম ও কয়েদিদের আহার প্রদান করে।’(সূরা দাহর:৮)। ‘তারা ধনসম্পদের প্রতি নিজেদের প্রয়োজন ও ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও আত্মীয়স্বজনদের দান করে।’ (সূরা বাকারা : ১৭৭)।
পানির কাজ হলো অপরকে ভিজিয়ে দেয়া, বাতাসের কাজ অপরকে শীতল করা, আগুনের কাজ অপরকে জ্বালিয়ে ফেলা, বৃক্ষের কাজ অপরকে ছায়া দেয়া, আর মানুষের নৈতিক কাজ হলো অপরের বিপদে-আপদে সাহায্য-সহযোগিতা করা। দুর্গত এলাকার দুস্থ মানুষেরা আমাদের প্রতিবেশী এবং দ্বীনি ভাই। তাদের দুঃখ কষ্টে লাগবের সাহায্যার্থে এগিয়ে যাওয়া মুমিনের দায়িত্ব। অসহায়, দুস্থদের সাহায্য-সহযোগিতা দানকারী মুমিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা পরকালে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং নেক কাজ করে, আমি নিশ্চয়ই তাদের সেসব ত্রুটি দূর করে দেবো এবং তারা যেসব নেক আমল করে, আমি তাদের সেসব কর্মের উত্তম ফল দেবো।’ (সূরা আনকাবুত:৭)। সুতরাং যারা অন্যের প্রতি দয়া করবে, আল্লাহ তাদের প্রতি রহম করবেন। মহান প্রভু তাদের সাহায্য করবেন। আর সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর সেবা নিহিত রয়েছে।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান দৌলতপুরে জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি কোনো কাজেই আসছে না ৪১৩ কোটি টাকার গাজনার বিল বহুমুখী প্রকল্প

সকল