২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুস্থতা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত

-

সুস্থতা আল্লাহর এক বিরাট নেয়ামত। ব্যক্তি ও জাতির উন্নতির জন্য, সুখী ও সক্রিয় জীবনযাপন করার জন্য সুস্থতা অপরিহার্য। অসুস্থ ব্যক্তির পৃথিবীর কোনো কিছুই ভালো লাগে না। এ জন্য বাংলা প্রবাদে বলা হয় ‘সুস্থতাই সকল সুখের মূল’। বিশ্বনবী সা: বলেছেন, তোমরা অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে গণিমত মনে করো। হাদিসে এসেছে, মুত্তাকি ব্যক্তির জন্য সুস্থতা ধন সম্পদের চেয়েও উত্তম। আর মনের প্রফুল্লতা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত। (আহমদ)
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সা: বলেছেন, দুর্বল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিন উত্তম। কারণ আল্লাহ পাক মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। আর ইবাদত করার জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন। শক্তিহীন মানুষ কোনো কাজে লাগে না।
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ইচ্ছা করলেও জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে গমন ও গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়াসহ বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত, নফল রোজা পালন করা সম্ভব হয় না। চোখের দৃষ্টিশক্তি লোপ পেলে হাজার ইচ্ছা থাকলেও কুরআন তিলাওয়াত করা যায় না। এ কারণেই রাসূল সা: শরীরের সুস্থতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, তোমার ওপর তোমার শরীরেরও হক রয়েছে।
ইবনে আব্বাস রা: বলেন, রাসূল সা: বলেন, দু’টি নিয়ামতের ব্যাপারে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। নিয়ামত দু’টি হলোÑ সুস্থতা ও অবকাশ। (সহিহ বুখারি)
অন্য হাদিসে নবী করিম সা: বলেন, অবশ্যই মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আর কিছুই প্রদান করা হয়নি। (সুনানে নাসায়ি) ইবাদতে মনোনিবেশের জন্য দেহ ও মনের সুস্থতার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। যে কারণে ইসলামে সুস্থ থাকার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসূল সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি ভোরে সুস্থতা নিয়ে ঘুম থেকে ওঠে, বাসায় নিরাপদ থাকে এবং সারা দিনের খাদ্যসামগ্রী তার কাছে মজুদ থাকে তাহলে পৃথিবীর সব সম্পদ তাকে দেয়া হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি)
মোট কথা শরীর সুস্থ থাকলে মানুষের কর্মক্ষমতা ও শক্তিমত্তা বেড়ে যায়। সে দ্বীন ও দুনিয়ার মধ্যে কল্যাণকর কাজগুলো সুুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পারে। মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে, যা একজন অসুস্থ দুর্বল লোকের পক্ষে সম্ভব হয় না। ইসলাম তাই স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য তাকিদ দিয়েছে এবং স্বাস্থ্য রক্ষার অনুকূলে নানামুখী গাইডলাইন দিয়েছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যার দুটো প্রধান দিক রয়েছে। যথা ১. প্রতিরোধমূলক ২. প্রতিষেধক মূলক। এ দুটো দিকেই ইসলামের মৌলিক নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষা ও সুস্থতার জন্য প্রতিরোধমূলক বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ গুলোর মধ্যে রয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা, প্রয়োজনীয় পানাহারসহ সব বিষয়ে পরিমিত বোধ, নৈতিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন এবং শরীরচর্চা, ব্যায়াম ও নির্দোষ খেলাধুলা ইত্যাদি। আর প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রধানত উপযুক্ত চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রƒষা।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম

সকল