১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শালীনতার গুরুত্ব

-

শালীনতা অর্থ মার্জিত, সুুন্দর ও শোভন হওয়া ভদ্রতা, নম্রতা, লজ্জাশীলতা প্রভৃতি। আচার-আচরণে, কথাবার্তায়, বেশভূষায়, চালচলনে সভ্য ও মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে শালীনতা বলে।
শালীনতা মানুষের একটি মহৎ গুণ। এটির গুরুত্ব অপরিসীম। শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। শালীনতা আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে সাহায্য করে। আচার-ব্যবহারে শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে। শালীন পোশাক পরিচ্ছদ সৌন্দর্যের প্রতীক। শালীন ও ভদ্র আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। সমাজকে সুুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতার প্রয়োজন সর্বাধিক। শালীনতাপূর্ণ আচার ব্যবহার সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে চাবিকাঠি। অশোভন বা অশালীন পোশাক পরিচ্ছদ ও আচরণ অনেক সময় সমাজে বিপর্যয় ডেকে আনে, সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে। নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটায়।
শালীনতাপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পক্ষান্তরে অভদ্র বা অশালীন আচরণ বন্ধুকেও দূরে ঠেলে দেয়। মানুষ অশালীন ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। তার সাহায্য পরিত্যাগ করে। মহানবী সা: বলেছেন মানুষের মধ্যে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যার অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লোকেরা তাকে পরিত্যাগ করে। (বুখারি) অশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না। মহানবী সা: বলেন নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা অশালীন ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন।(তিরমিজি)
শালীনতা মানুষের জীবনে অপরিহার্য বিষয়। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের শালীনতা শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা লোকমানে উল্লেখ আছে, হজরত লোকমান আ: তাঁর পুত্রকে শালীনতা শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন, হে পুত্র, অহঙ্কার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না। পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে চলো না, কারণ আল্লাহ কোনো উদ্ধত-অহঙ্কারী ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। তুমি পদচারণ করবে সংযতভাবে এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করবে। নিশ্চয়ই স্বরের মধ্যে গাধার স্বর সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। (সূরা লোকমান, আয়াত-১৯) শালীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শালীনতা অবলম্বন করে চলা উচিত। এতে জীবনে সুুন্দর ও মধুময় হয়ে ওঠে। সমাজে ও সুুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অতএব, আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, বাঁকে বাঁকে সব কাজে শালীনতা রক্ষা করে চলব ইনশা আল্লাহ।
লেখক : প্রাবন্ধিক


আরো সংবাদ



premium cement