১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিচারকের মীমাংসা হারামকে হালাল করে না

-

এ পৃথিবীতে মুমিন, মুশরিক, কাফের সবার জন্যই কুরআন নাজিল হয়েছে। সবাইকে কুরআনের বিধান মেনে চলতে হবে। দুঃখের বিষয়, মুসলিমরাই মানে না; বিধর্মী মানবে কী করে। একটা মিথ্যা বলতে কাফেরের বুক না কাঁপলেও মুমিনের বুক কাঁপে, সত্য-মিথ্যা, আলো-আঁধার, রাত-দিন কখনো এক হতে পারে না। সভ্যভাবে বাস করার জন্য আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ একে অপরের সাথে ভাইয়ের মতো ব্যবহার করবে। বোনেরা থাকবে নিরাপদে। এই পৃথিবীতে এখন মানুষ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছে। এখানে না আছে ন্যায়বিচার না আছে শান্তি, কোনো বিচারকের বিচারের ফলে নিষিদ্ধ বিষয় জায়েজ হয় না।
উম্মে সালমা রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমি একজন মানুষ, লোকেরা আমার নিকট ফায়সালার জন্য বিবাদ নিয়ে আসে। সম্ভবত একজন অপরজন অপেক্ষা বেশি যুক্তিবাদী। তার যুক্তিপূর্ণ কথা শুনে আমি হয়তো তারই পক্ষে ফায়সালা করে থাকি (অথচ ফয়সালা ঘটনার বিপরীত) তবে জেনে রেখো, যে ব্যক্তির পক্ষে এরূপ ফায়সালার পক্ষে কোনো মুসলিমের হক আমি তাকে দিয়ে দেই বা (তার বিরুদ্ধে আমি কথা বলি) এটা হচ্ছে আগুনের টুকরা, সুতরাং ওটা যেন সে না নেয় এবং বিচারকের কথা অমান্য করে’, (ফাতহুল বারি ১৩/১৯০, মুসলিম ৩/১৩৭৩) প্রকৃতপক্ষে যা হারাম তা কাজীর ফায়সালায় হালাল হয়ে যায় না এবং যা হালাল তা হারাম হয়ে যায় না, বিচারকের ফায়সালা শুধু বাহ্যিকের ওপর নির্ভরশীল থাকে। অনেক ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গির অভাব থাকে। বিচারকের ফায়সালা যদি প্রকৃত ব্যাপার বা হকের সাথে মিলে যায়, তাহলে তো ভালোই। সাক্ষীর কারণে বিচার ভিন্নতর হলে বিচারকও প্রতিদান পেয়ে যাবেন। কিন্তু ওই সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে হককে না হক এবং না হককে হকে পরিণতকারী সাক্ষ্যদানকারী আল্লাহ তায়ালার কাছে অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। তার ওপর ওই শাস্তি আপতিত হবে। আয়াত নাজিল হলো ‘তোমরা নিজেদের দাবি অসারতা জেনেশোনে জনগণের মাল ভক্ষণের উদ্দেশ্যে মিথ্যা মোকদ্দমা সাজিয়ে মিথ্যা সাক্ষী ঠিক করে অবৈধ পন্থার মাধ্যমে বিচারককে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের দাবি সাব্যস্ত করো।’ কাতাদা রা: বলেন, ‘সে জনমণ্ডলি জেনে রেখো, বিচারকের মীমাংসা তোমার জন্য হারামকে হালাল এবং অন্যায়কে ন্যায় করতে পারে না। বিচারক তো নিজের বিবেকের মাধ্যমে সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুসারে বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচারের রায় দিয়ে থাকেন, তা ছাড়া তিনিও তো মানুষ, সুতরাং তার দ্বারা ভুল হওয়াটাই সম্ভব। জেনে নাও, বিচারকের ফায়সালা যদি সত্য ঘটনার বিপরীত হয়, তা হলে শুধু বিচারকের মীমাংসা বৈধ মীমাংসা বলে একজন মুমিন তা মানতে পারে না।’ কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক বিচার প্রার্থী দুই পক্ষকেই একত্র করবেন এবং অন্যায়কারীদের কাছ থেকে তার ভালো আমল নির্যাতিতদের পাল্লায় তুলে দেয়া হবে, তার দুনিয়ার পাপ কাজের শাস্তিস্বরূপ তাদের জন্য দোজখ তো আছেই।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্থগিত অস্ট্রেলিয়ার মিয়ানমারের মর্টারের গোলার শব্দে কেঁপে ওঠল বাংলাদেশ সীমান্ত সেহেরির মাইকিং করায় ৫ যুবক পুলিশি হেনস্তার শিকার ডেঙ্গু মোকাবেলায় সারাদেশে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ চৌগাছায় এক দিনেই ২ নারীর আত্মহত্যা, ব্যর্থ ৪ আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী অবন্তিকার আত্মহত্যা : রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ভিনিসিয়াসের বিপক্ষে বর্ণবাদী অপমানে রেফারির অবহেলা ছিল : রিয়াল মাদ্রিদ মিরসরাইয়ে ১০ মামলার আসামি লিটন গ্রেফতার ইফতারে কোন দেশে কী খাওয়া হয় ফরিদপুরে বিনষ্ট করা হলো সেই গাঁজার বাগান

সকল