১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসলামী শিার সঙ্কট

-

মহান আল্লাহ বলেন ‘তাদের (মুমিন) প্রত্যেক দলের মধ্যে একটি অংশ থাকবে, যারা তাদেরকে দ্বীনের বিষয় বুঝাবে’ (সূরা তাওবাহ ১২২)। রাসূল সা: বলেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান তিনি তাকে দ্বীনের বিষয় বুঝার সমতা দান করেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) প্রজ্ঞা নির্ভর একমাত্র ধর্মের নাম হলো ইসলাম। আদি পিতা ও মানুষ হজরত আদম আ: ফেরেশতাদের সাথে জ্ঞানের পরীায় উত্তীর্ণ হওয়া থেকে পবিত্র কুরআনের প্রথম অবতারিত বাণী ‘পড়ো তোমার প্রভুর নামে...’ পর্যন্ত আসমানি ধর্মের সবটুকুই জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এ ইসলাম। জীবনের প্রতিটি স্তরের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ইসলাম জ্ঞানচর্চা তথা শিা লাভ করার প্রতি যারপরনাই গুরুত্বারোপ করেছে।
ইসলামী শিা কী : সহজ কথায় বলতে গেলে- যে শিা মানুষকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ইসলাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান দান করে ব্যবহারিক জীবনে তার পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটায় বা সহায়তা করে তাকে ইসলামী শিা বলে। এ েেত্র ইসলামী শিার দু’টি দিক রয়েছেÑ একটি পরকালীন, অপরটি হলো পার্থিব। পরকালীন বিষয় সম্পূর্ণ ওহি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আর পার্থিব বিষয় ওহির নির্দেশনা ও কল্যাণকর উদ্ভাবনী দ্বারা পরিচালিত। এর সমর্থনে রাসূল সা: বলেন, ‘আমাকে পরকালীন জ্ঞান বেশি দেয়া হয়েছে আর তোমাদের দুনিয়াবি জ্ঞান বেশি দেয়া হয়েছে।’ শিা মানে হচ্ছেÑ যে জ্ঞানার্জনের ফলে মানুষের দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক উন্নতি ঘটে। আর এ উন্নতিকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড। এ কথা শতসিদ্ধ যে, যে দেহের মেরুদণ্ড যত মজবুত, সে দেহ তত বেশি শক্তিশালী। তা হলে মুসলিম জাতির মেরুদণ্ড কেমন তা নির্ভর করে এ জাতির শিার মান কেমন তার ওপর। উপমহাদেশ থেকে পৃথক হওয়া এ দেশটি মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্বাধীনতাকেই বুঝানো হয়। যেখানে ধর্ম, শিা, অর্থনীতি ও রাজনীতি ছিল প্রধান বিষয়। অর্থাৎ এ সব বিষয়ে মুসলমানরা উন্নতি করবে স্বাধীনতার মাধ্যমে। অথচ সময় জন্ম দিয়েছে ‘কিন্তু’! ভারতীয় উপমহাদেশে যখন প্রশাসনিকভাবে ইসলামের আগমন ঘটে, তখন থেকেই এখানকার মানুষেরা ইসলামী শিা লাভ করেন দ্বীনের উচ্চশিতি দায়িদের কাছ থেকে বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায়। আর তা ছিল সনদবিহীন এবং একমাত্র দ্বীনের স্বার্থে। আর সে শিার ফলও ছিল শতভাগ কার্যকরী। যার প্রমাণ অন্য ধর্মের মানুষেরা ইসলাম গ্রহণ করত অগণিত সংখ্যায়। তৎকালীন ইসলামী শাসন ও শিার প্রভাব সমাজ ও দেশের শেকড় থেকে শিখরে বিস্তৃতি লাভ করেছিল। প্রাক ব্রিটিশ উপমহাদেশে মুসলমানদের ইতিহাস যার জ্বলন্ত সাী। ব্রিটিশরা ভারত দখলের পর ইসলামী শিা মারাত্মক আহত হয়ে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, সে দুর্বলতা আজ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ অঞ্চলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হলেও দুখঃজনক বাস্তবতা হয়নি ইসলামী শিার তুলনামূলক বিকাশ ও উন্নতি। ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেই ইসলামী শিার লালন, নেই শাসন ও বিচারব্যবস্থা এবং তৈরি হয়নি সময়োপযুগী ইসলামী চেতনাসমৃদ্ধ জাতি। এ ছাড়াও রয়েছে আরো কিছু কারণÑ
প্রশাসনিক কারণ : ব্রিটিশরা মুসলমানদের কাছ থেকে রাষ্ট্র মতা ছিনিয়ে নেয়ায় পরস্পরের সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলে। খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ব্রিটিশদের ঘৃণাবোধ থেকে সরকারি সব ধরনের সুবিধাবঞ্চিত মুসলিমরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুললে ব্রিটিশ সরকার ইসলামী শিালয়, পাঠাগার, মসজিদ ও দ্বীন শিার সব ব্যবস্থাপনার অর্থনৈতিক শেকড় কেটে দিয়েছিল এবং হাজার হাজার আলেম ওলামাকে হত্যা করেছিল। ফলে মুসলমানদের শিাব্যবস্থা আত্মগোপনে চলে যায়। ব্রিটিশরা দেশ ছাড়লেও আর কোনো প্রশাসনিক মতা ইসলামী শিার হাল ধরেনি। বরং মুসলমানদের দেশে ইসলামী শিার সিলেবাস কাটছাঁট হয়েছে শতবার। এখনো বাংলাদেশে ইসলামী শিা নানা শর্ত আর আইনি বেড়াজালে বন্দী।
ভৌগোলিক কারণ : যেকোনো শিা বিস্তারে ভৌগোলিক অবস্থান এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দু’বার স্বাধীন হওয়া (ব্রিটিশদের কাছ থেকে, একবার পাকিস্তানের কাছ থেকে একবার) বাংলাদেশ সব সময়ই ছিল শোষিত অবস্থানে। ফলে এ ভূখণ্ডে গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত ইসলামী শিাপ্রতিষ্ঠান। অন্য দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা, ঝড়-তুফান, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্পসহ নানা দুর্যোগ সব সময়ই একসারিতে দাঁড় করিয়েছে ধনী-গরিব উভয়কে। ফলে সফল হয়নি কোনো শিাই। রাষ্ট্রীয় শাসনও ছিল সব সময়ই হাজার মাইল দূরে।
দারিদ্র্য : বাংলাদেশে ইসলামী শিার পথে প্রধান অন্তরায় হলো এ অঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত য়িষ্ণু অর্থনীতি। কৃষিনির্ভর দারিদ্র্যকিষ্ট অধিবাসীদের খাদ্যের জোগান দিতেই যেখানে জীবন হাঁফিয়ে ওঠে, সেখানে পয়সা খরচ করে উচ্চতর ইসলামী ইলম অর্জন করার অভিলাষ খুব বেশি মানুষের ভাগ্যে জোটেনি অতীতেও, এমনকি বর্তমানেও। এখনো ইসলামী শিার্থীর বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের। যাদের ধর্মীয় উচ্চশিার প্রতি কোনো স্পৃহা জন্মাতে দেয় না সংসারের অভাব নামের পিছুটান। আজো কর্মসংস্থানের টানে অনেক মেধাবী পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে অর্থের দিকে ছুটতে দেখা যায় এ দেশের অনেক আলেমকেই।
সামাজিক কারণ : আমাদের সমাজের চরম বাস্তবতা হচ্ছেÑ ইসলামী শিাকে সব সময়ই বাঁকা চোখে দেখা হয়। অতীত (ব্রিটিশ শাসনকাল) থেকে বর্তমান ইসলামী শিা যেন সমাজে এক অবহেলিত অপ্রয়োজনীয় এক প্রথার নাম। সামাজিক এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থামিয়ে দিয়েছে ইসলামী শিার গতি এবং ঘুরিয়ে দিয়েছে ইসলামী জীবনধারা। আজ তা কতটা ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে তার সাী প্রতিটি মুসলমান।
রাজনৈতিক কারণ : উপমহাদেশে শত শত বছর ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক শক্তি অনুপস্থিত থাকায় অন্যান্য মতবাদের রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ইসলামী শিাকে নিয়ন্ত্রণ ও করুণা করেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এ শূন্যতা ও দৈন্যতা ইসলামী শিাকে আষ্টেপিষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। যার উদাহরণ ৯০ শতাংশ মুসলমান শিানীতিতে উচ্চতর ইসলামী শিা সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে উপেতি। যদিও কিছু কিছু সরকারি-বেসরকারি অপ্রতুল প্রচেষ্টা রয়েছে তা জাতির তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারছে না।
মিশ্র ভাষা ও সংস্কৃতি : ইসলামের ভাষা আরবি আর আমাদের ভাষা বাংলা হলেও ধর্ম শিার েেত্র উর্দু, ফার্সি, পশতুন ও অন্যান্য নানা ভাষা ইসলামী শিাকে অনেকটা গলা চেপে ধরে রেখেছে আবহমানকাল থেকে। যদিও অন্য ভাষা শিা করা ইসলামে অনুমোদিত। কিন্তু কখনো কখনো ভাষা শিাই যেন ধর্ম বনে গিয়েছিল অনেক সময়। যার উদাহরণ বাংলাভাষায় পর্যাপ্ত ইসলামী সাহিত্য না থাকা। আর বেশির ভাগ নাগরিক মুসলমান হলেও অন্য ধর্মের ধর্মীয় রীতি হয়ে গেছে বাঙালি সংস্কৃতি। সংস্কৃতি সব সময়ই শিার সহগামী হয়ে থাকে।
অপরিপক্ব সিলেবাস : ইসলামী শিা উৎকর্ষতা না পাওয়ার অন্যতম কারণ হলোÑ সময়ের সাথে চাহিদানুপাতে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিলেবাস না থাকা। অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস দিকভ্রম নৌকার মতো। আজো পর্যন্ত জাতীয় পর্যায় থেকে ইসলামী শিার একমুখী স্তরবিন্যাস আকারে যুগোপযুগী সিলেবাস দেয়া যায়নি। পরিপূর্ণ ধর্ম ইসলামের শিা জাতি থেকে যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেশের মাদরাসাগুলো যার যার মতো সিলেবাস গ্রহণ করছে নিজেদের প্রয়োজনানুযায়ী। ফলে ইসলাম ধর্ম যেন এক বিতর্কের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
ভ্রান্ত ধর্মগুলোর কুপ্রভাব : বাংলাদেশে ইসলামের আগমন প্রায় হাজার বছর হলেও এ দেশের পূর্বে অবস্থান করা অন্যান্য জাতির ধর্মবিশ্বাস ও কর্ম মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন রূপে প্রবেশ করায় অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার নামক ব্যাধি থেকে মুক্ত করা যায়নি ইসলামী শিার অভাবে। বরং বিভিন্ন সময়ে সমন্বয়ের সুযোগে স্থায়িত্ব পায় ভ্রান্ত আকিদা এবং পরবর্তীতে এর কুপ্রভাবে তিগ্রস্ত হয় ইসলামী শিা। এ ভ্রান্ত ধর্মগুলোর যেমনÑ হিন্দু, বৌদ্ধ জৈন, খ্রিষ্টান ধর্মের ধ্যান, মারিফত চর্চা, প্রভু দর্শন পদ্ধতি, তন্ত্র বিদ্যা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া ইসলামী শিার বিশাল জায়গাজুড়ে শিয়া, মুতাজিলা, খারেজি আকিদারও নীরব অনুপ্রবেশ বিরাট তি করেছে যার তেমন সংস্কার করা হয়নি।
ত্রুটিপূর্ণ শিা পদ্ধতি : প্রতিটি শিাব্যবস্থা বিকাশ ঘটে তার উচ্চতর গবেষণা, উদ্ভাবনী, শিাব্যবস্থাপনা ও শিাকৌশলের ওপর ভিত্তি করে। আমাদের দেশের ইসলামী শিার েেত্র এর কোনোটিই নেই বললেই চলে। যা আছে তার প্রয়োগ হয়তো বাণিজ্যিক, নয়তো তলানিতে। সময়ের চাহিদায় অন্যান্য শিা যেখানে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে সামনের দিকে অগ্রসরমান, সেখানে আমাদের দেশের ইসলামী শিা শেকেলে পদ্ধতিতেই মজা পুকুরের অবস্থা। দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছেÑ বেশির ভাগ ইসলামী ব্যক্তিত্ব আধুনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিজেরা যেমন অদ, তেমনি তারা এগুলোর সাহায্যে জ্ঞানার্জনকেও নিরুৎসাহিত করেন।
দলাদলি : আমাদের দেশের ইসলামী শিা যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরেই সীমাবদ্ধ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সমাজে যারা আলেম, মুফাসসির, মুফতি, মুহাদ্দিস নামে পরিচিত, তারা আসলে ইসলামী শিার মাধ্যমিক স্তর পাড়ি দিয়েছেন খুব কম সংখ্যকই। কথায় আছেÑ ‘অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী’ সত্যিই সমাজে ব্যবহারিক জীবনে ইসলামের অনুপস্থিতি ও দলাদলির মূল দায়িত্ব যেন তারাই নিয়েছেন। দাওয়াতি কাজের নামে তারা মানুষের মধ্যে ধর্মীয় আবেগ তৈরি করেছেন ঠিকই, জাতিকে সংগঠিত করতে তারা ব্যর্থতার পরিচয়ও দিয়েছেন হতাশার সমান। বাহ্যত দেখা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেয়ার পর জীবনে আর কিতাবের সাথে দেখা হয় না তথাকথিত বেশির ভাগ আলেমের।
যোগ্য নেতৃত্বের অভাব : ব্রিটিশ সময়ে অঘোষিত নির্বাসনে পাঠানো ইসলামী শিার কোনো সরকার যেমন হাল ধরেনি, তেমনি তেমন কোনো যোগ্য নেতারও আবির্ভাব হয়নি; যিনি ইসলামী শিাকে এ দেশের জাতীয় বুনিয়াদি শিায় রূপ দান করেন। যার ফল আমরা দেখতে পাই, সবার গ্রহণযোগ্য ফকিহ, মুফাসসির বা মুহাদ্দিসের অনুপস্থিতি। যদিও দু-চারজনের আবির্ভাব হয়েছে তাদের যে কারণেই হোক সফল হতে দেয়া হয়নি।
দুনিয়ামুখিতা : ইসলাম পরকালকে প্রাধান্য দেয়া ও দুনিয়াকে পরকালের উত্তম েেত্র পরিণত করার এমন উন্নত ধর্মের শিাব্যবস্থা যাদের হাতে তারা যদি উল্টো পথে হাঁটে তখন সে শিা ব্যবস্থার যে পরিণতি হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সোনার বাংলাদেশ। এ শিার কর্ণধারদের শতধা বিভক্তির সবচেয়ে বড় কারণ হলো দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়া। যার উদাহরণ দেখা যায় বিভিন্ন সেক্যুলার দলে নিজেদের বিকিয়ে দেয়া, অর্থ আর স্বার্থের লোভে ইসলামবিরোধী ও বিদ্বেষীদের কর্মী হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন লবিং-গ্রুপিংয়ে নেতৃত্ব বা তোষামোদে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
পরিশেষে বলব, এতদ সত্ত্বেও সর্বকালে ও সর্ব যুগে কিছু নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি থাকেন, যারা দ্বীনের গোড়ায় প্রাণশক্তি সিঞ্চিত করে যান নীরবে-নিবৃতে। যাদের ত্যাগ আর তিতিার ফলে এত কারণ ও বারণ থাকার পরও ইসলামী শিা আজো আলো দিয়ে যাচ্ছে গ্রীষ্মের মধ্য দুপুরের ত্যাজোদীপ্ত সূর্যের মতো। ইদানীং কিছু জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তি আধুনিক যুগে এসে ইসলামী শিার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে নিজেদের তৈরি করে নিচ্ছেন সময়ের চাহিদায় ধর্মের প্রয়োজনে। প্রতিটি মুসলমানের উচিত উল্লিখিত কারণ ছাড়াও আরো যত বাধা ইসলামী শিার কণ্ঠরোধ করতে চায়, তার জন্য সচেতন ও সোচ্চার হওয়া। এ দায়িত্ব সবার। আল্লাহ ইসলামী শিা বিস্তারে প্রত্যেকের প্রচেষ্টাই কবুল করুন; আমিন।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement