২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নামাজ মিরাজ স্বরূপ

-

অন্য ধর্মের রীতিনীতি ইসলাম ধর্মের সাথে সংমিশ্রণ করে পালন করলে মুসলমানের সম্মান থাকে না। হাদিসে বর্ণিত আছেÑ শেষ বিচারের দিন আল্লাহ প্রত্যেককে তাদের দলনেতাদের সাথে ডাকবেন। যাদের ধর্ম নেই, দলনেতা নেই, তারা আল্লাহর দরবারে হাজির হবেন কিভাবে? আজকাল টেলিভিশনে অনেকেই মুসলমানদের মৌলবাদী বলে, অথচ সে মুসলমান-হিন্দু অথবা হিন্দু-মুসলমান বিয়ে করে সমাজচ্যুত হয়েছেন। তারা না যেত পূজামণ্ডপে না বসবে মন্দিরে। তারা যত বড় শিক্ষিত হোক না কেন, বুদ্ধিমান-বুদ্ধিমতি হোক জনগণ তাদের সম্মান করে না, করতে পারে না। তাই নিজের কথা চিন্তা কবে সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকলে জাতির উপকার হবে। আল্লাহ ইরশাদ করেনÑ ‘তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি’। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। আল্লাহ পাক কর্তৃক জারিকৃত পবিত্র আল কুরআনে তার সৃষ্ট পৃথিবী কিভাবে পরিচালিত হবে এবং সবাই মিলেমিশে কিভাবে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে তা বিস্তারিত রাসূল সা:-এর মাধ্যমে প্রকাশ্য ও বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। তাতে কোনো সংযোজন বা বিয়োজন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা কোনো দিনই হবে না। কোনো কোনো ধর্মপ্রচারক কুরআনের কোনো একটি অনুশাসনকে বিকৃত করে আংশিকভাবে রূপ দিয়ে তাদের অনুসারীদের কাছে প্রচার করে থাকতে পারে, কিন্তু বিকৃত এ পদ্ধতিটি ইসলাম অনুমোদন করে না। মুসলমানদের আদি পিতা ইবরাহিম আ: মূর্তি ভেঙেই ইসলাম প্রচার করেছেন। তাই অমুসলিমরা যত চেষ্টাই করুন না কেন, মূর্তি পূজারীদের পদ্ধতি মুসলমানরা কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারে না। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার এসব গ্রহণ করে না। কোনো কোনো মুসলমান প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এ স্লোগান দিয়ে তারা পূজামণ্ডপে হাজির হয়, কিন্তু তাদের কথামতো কোনো হিন্দু, বৌদ্ধ কি ঈদের জামাতে হাজির হয়? হয় না।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। এ নামাজের প্রক্রিয়া আল্লাহ পাক কর্তৃক এমনভাবে নির্দেশিত যে, তাতে একাগ্রতা, ব্যায়াম ও নামাজ আদায়কারী ও কায়েমকারীর জন্য রয়েছে অসংখ্য সুফলÑ যেমন : ১. নামাজ সাধারণ মুসলমানদের জন্য মিরাজস্বরূপ। আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ সম্ভব হয়; ২. নামাজ বেহেশতের চাবি। ৩. নামাজ পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। ৪. নামাজ আয়-রুজি বৃদ্ধি করে। ৫. নামাজ স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ৬. নামাজ রোগব্যাধি দূর করে। ৭. দিল-আত্মাকে শক্তিশালী করে। ৮. চেহারাকে নূরানি করে। ৯. আত্মাকে শান্তি দান করে। ১০. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে উৎফুল্লতা দেয়। ১১. অলসতা দূর করে। ১২. দিলকে আলোকিত করে। ১৩. হৃদয়ে প্রশান্তি আনে। ১৪. আত্মার খোরাক জোগায়। ১৫. আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত রক্ষা করে। ১৬. দুনিয়া ও আখিরাতের খাতায় অনিষ্ট দূরীকরত যাবতীয় কল্যাণ সাধনে নামাজের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ১৭. বাসা থেকে হেঁটে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতে আদায় করলে পৃথকভাবে হাঁটার প্রয়োজন অনেকটাই পূরণ হয়। নামাজ ব্যায়ামের কাজ করে। যেহেতু এটি আল্লাহ পাকের আদেশ, তাই এতে মানুষের সর্বাঙ্গীন সুস্থতার জন্য সব কৌশল নামাজের মধ্যে সন্নিবেশিত করেছেন। মুসলমানদের আলাদা করে যোগাসন বা শুভাযাত্রা করার প্রয়োজন নেই।
লেখক : প্রবন্ধকার

 


আরো সংবাদ



premium cement