২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জান্নাতের মেহমান

জান্নাতের মেহমান - ছবি : সংগৃহীত

মসজিদ মুমিনের প্রশান্তি লাভের জায়গা। দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তম স্থান মসজিদ। আল্লাহর নৈকট্য লাভের ক্ষেত্রে মসজিদের গুরুত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের বয়ান বা খুতবা মুমিনের হৃদয় জাগায়। মসজিদে আসা-যাওয়ার ফলে মুমিনের অন্তরে তাকওয়া বৃদ্ধি পায়। মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করলে বেশি নেকি পাওয়া যায়। হজরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা:কে বলতে শুনেছি, জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা তোমাদের কারো একাকী নামাজ আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি সওয়াব। (বুখারি : ৬১৯)। হজরত আবু উমামা (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে উত্তমরূপে অজু করে ফরজ নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয় সে ইহরাম বেঁধে হজে গমনকারীর মতো সওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি শুধু চাশতের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে কষ্ট করে বের হয় সে ওমরাহ আদায়কারীর মতো সওয়াব লাভ করবে। ( আবু দাউদ : ৫৫৮)।

মসজিদে গেলে মুমিনের দিল নরম হয়। অন্তুরের কালো দাগগুলো মুছে যায়। এ ছাড়া মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। মসজিদ নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মানুষ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহপাকের মসজিদ তো আবাদ করবে তারা, যারা আল্লাহ পাক ও আখিরাতের ওপর ঈমান আনে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত আদায় করে, আর আল্লøাহ পাক ছাড়া তারা কাউকে ভয় করে না।’ (সূরা তওবা : ১৮)।

হজরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যাতায়াত করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ততবার মেহমানদারির ব্যবস্থা করে রাখেন। (বুখারি : ৬২৯)। মসজিদে যাতায়াতকারী মেহমানদেরকে আল্লাহ ইহকাল ও পরকালে অনেক কল্যাণ দান করবেন। হজরত হানজালা উসাঈদী (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ পাবন্দির সাথে আদায় করে, উত্তমরূপে অজু করে, সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে, রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে এবং এভাবে নামাজ আদায়কে নিজের ওপর আল্লাহ তায়ালার হক মনে করে তবে জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।

(মুসনাদে আহমাদ-৪ : ২৬৭পৃ:)। আবু মূসা (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে যত বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে নামাজ পড়তে আসে, তার তত বেশি সওয়াব হবে। (বুখারি : ৬২১)। হজরত বুরাইদা (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্ধকার রাতে অধিক পরিমাণ মসজিদে যাতায়াত করে তাকে কিয়ামত দিবসে পূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। (তিরিমিজি, আবু দাউদ : ৫৬১)। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রথম তাকবিরের সাথে জামাতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দু’টি পুরস্কার দান করবেন; ১. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন এবং ২. মুনাফেকি থেকে তার নাম কেটে দেবেন। (তিরমিজি : ২৪১)। এভাবে জান্নাতের মেহমানদেরকে আল্লাহ অনেক কল্যাণ প্রদান করে থাকেন।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল