১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন প্রকাশ

-

আল-কুরআন ও বিজ্ঞান
মুহাম্মদ শামীম আখতার
প্রকাশক : দারুস সালাম বাংলাদেশ
৩৭/৩ কম্পিউটার কমপ্লেক্স, বাংলাবাজার, ঢাকা
প্রথম প্রকাশ : মে ২০১৮
হাদিয়া : ৪০০ টাকা মাত্র
কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত ত্রুটিমুক্ত একটি গ্রন্থ। যা রাসূলুল্লাহ সা:-এর ওপর নাজিল হয়। লাওহে মাহফুজে রক্ষিত এ গ্রন্থটি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জিবরাইল আ:-এর মাধ্যমে নাজিল করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এ গ্রন্থটি আল্লাহর আদেশ-নির্দেশের সমষ্টি, যা মানবজাতির ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ ও নাজাতের পাথেয়। মানবজাতি ও জিনজাতির কল্যাণের জন্য যে অজানা সূত্রগুলো আমাদের জানানো আবশ্যক ছিল, আল্লাহ তায়ালা তা এ গ্রন্থে জানিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের একটি সূরার মতো সূরা রচনা করার আল্লাহর চ্যালেঞ্জ বিগত প্রায় পনেরো শত বছর ধরে কারো গ্রহণ করার সক্ষমতা হয়নি। আজও কুরআনের আয়াত ভাষাগত, তত্ত্বগত এবং তথ্যগত একক গরিমায় মহীয়ান হয়ে আছে। আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন হিসেবে কুরআন মানবীয় সীমাবদ্ধতার বহু ঊর্ধ্বে। যারা মুসলমান তারা আল কুরআনের ওপর পূর্ণ ঈমান এনেই মুসলমান হন। তবে বিশেষ পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মুসলমান পরিচয়ধারী এবং কাফেরদের একাংশের মধ্যে কুরআন নিয়ে নানা সংশয় রয়েছে। তারা বিজ্ঞান বলে মানব আবিষ্কৃত বিভিন্ন মাপকাঠিতে যা দৃশ্যত সত্য তাই মেনে নিতে চায়। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নামক তত্ত্বের পেষণে যখন গোটা মানবজাতি দিশেহারা, তখন এ প্রশ্নটি আরো ব্যাপকভাবে ঘুরেফিরে আসে। তখন অনেককেই কুরআন অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব, সেকেলে গ্রন্থÑ এমন প্রচারণায় লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
অবশ্য তখন থেকেই কিছু মর্দে মুমিন-নাস্তিকদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আল-কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মিল-অমিল খুঁজে পাওয়ার জন্য সতর্ক গবেষণা চালাতে থাকেন। এরপর সময় যতই গড়ায়, বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করতে থাকেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো বিজ্ঞান যতই তার পাখা মেলতে থাকে, আল-কুরআন ততই তার সত্যতা ও বিশুদ্ধতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের চমকে দিতে থাকে।
মুসলমানদের ভেতর একটি শ্রেণীবিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা যাই বলুক তাতে কিছু আসে যায় না, আমরা যা পেয়েছি, তা সত্য। এ বিশ্বাস শতভাগ সঠিক। কিন্তু মুসলমানদের আরেকটি শ্রেণী মনে করেছেন, আমরা বিজ্ঞানের সূত্রগুলোর সাথে আল-কুরআনের নির্দেশনার মধ্যে একটি যোগসূত্র আবিষ্কার করব বস্তুনিষ্ঠভাবে। আর সে কাজটি করতে গিয়ে আরেকটি অলৌকিক বিষয় ঘটল, আর তা হচ্ছে খোদ কুরআনেই পাওয়া গেল বিজ্ঞানের নানা সূত্র, যা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা নতুন জগতে প্রবেশ করতে লাগলেন। যেমন সূরা আল-জারিয়াতের ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, পথবিশিষ্ট আকাশের শপথ। মানে তিনি আকাশে নানাবিধ পথের কথা বলেছেন। বিষয়টি বিজ্ঞানীদের বিস্মিত করেছে এবং তারা এ সিদ্ধান্তেও আসতে বাধ্য হচ্ছেন যে, আগামীতে মহাকাশ ভ্রমণের পদ্ধতি ও মাধ্যম বদলে যাবেÑ কারণ মহাবিশ্বে ভ্রমণের নানা গুপ্ত পথ রয়েছে।
লেখক বাংলাভাষী পাঠকের কাছে কুরআন ও বিজ্ঞানের মধ্যে যে কোনো দ্বন্দ্ব নেইÑ বরং বিজ্ঞান যতই অগ্রসর হচ্ছে কুরআন বুঝতে ততই সহজ হয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি চমৎকারভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
চার রঙা প্রচ্ছদ, বোর্ড বাঁধাই, বিভিন্ন বিষয়ের ছবিসংবলিত, ৩৮২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সংগ্রহে রাখার মতো।
হ আসিফ আবরার


আরো সংবাদ



premium cement