২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কেরালায় আনারস খেয়ে গর্ভবতী হাতির মৃত্যু নিয়ে সবশেষ যা জানা গেছে

কেরালায় আনারস খেয়ে গর্ভবতী হাতির মৃত্যু নিয়ে সবশেষ যা জানা গেছে - ছবি : সংগৃহীত

বিস্ফোরক-ভর্তি আনারস খেয়ে একটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা তদন্তকাজ শুরু করেছেন। কেরালা রাজ্যে এই হাতিটি মারা যাওয়ার পর বন বিভাগের এক কর্মকর্তা সোশাল মিডিয়াতে এনিয়ে পোস্ট দিলে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।

এটি কি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি কেউ আনারসের ভেতরে বিস্ফোরক ভরে রেখেছিল ও কেন রেখেছিল সেসব এখনও পরিষ্কার নয়। কয়েকদিন ধরে যন্ত্রণা ভোগ করার পর হাতিটির মৃত্যু হয়। পশু চিকিৎসকরা হাতিটিকে বাঁচাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

ধারণা করা হয় যে ভারতে ২৭ হাজারের মতো বন্যহাতি রয়েছে। এছাড়াও আরো প্রায় আড়াই হাজার হাতি রয়েছে বন্দী অবস্থায়। কেরালার বন বিভাগ বৃহষ্পতিবার জানিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে তারা বলেছিল আতসবাজির মতো বিস্ফোরকের সাথে এই মৃত্যুর সম্পর্ক থাকার সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নি।

কেরালা রাজ্যের বন বিভাগ থেকেও বলা হয়েছে এই ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। হাতিটির মৃত্যুর খবরে সোশাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

টাটা সন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী রতন টাটা এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নিরীহ একটি প্রাণীর সাথে এধরনের অপরাধমূলক কাজ পরিকল্পিতভাবে মানুষ হত্যার চেয়ে আলাদা কিছু নয়।’

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ভিরাট কোলি একে ‘কাপুরুষচিত ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

খবরে বলা হচ্ছে হাতিটি গত সপ্তাহে পালাক্কা জেলার সাইলেন্ট ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর সময় একটি আনারস খেয়েছিল যার ভেতরে আতসবাজি ভরে রাখা হয়েছিল।

বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহন কৃষ্ণান ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, আতসবাজিগুলো হাতির মুখের ভেতরে বিস্ফোরিত হয়েছে। ২৭শে মে মারা যাওয়ার আগে তীব্র যন্ত্রণায় হাতিটি কয়েক দিন ধরে এদিকে ওদিকে ছুটে বেড়িয়েছে।

যন্ত্রণা উপশমের চেষ্টায় হাতিটি একসময় নদীতে নেমে পানির ভেতরে মুখ ও শুঁড় ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে নদীতেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি লিখেছেন, ‘হাতিটি যখন তীব্র ব্যথা নিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ছুটে বেড়িয়েছে তখন সে একজন মানুষকেও আক্রমণ করেনি।’

বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন তাকে দেখি, সে নদীতে দাঁড়িয়েছিল। একটি শব্দও সে করেনি। নদীর পানিতে মুখ ও শুঁড় ডুবিয়ে রেখে সে হয়তো কিছুটা আরাম পাচ্ছিল।’

নীয় একজন বন কর্মকর্তা কে কে সুনীল কুমার বিবিসিকে জানিয়েছেন হাতিটি চার দিন ধরে পানিতে দাঁড়িয়েছিল। বন্যপ্রাণী কর্মী ও পশু চিকিৎসকরাও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।

‘বাচ্চা ও মা হাতিকে বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’

এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে হাতিটিকে বিস্ফোরকভর্তি আনারস খাওয়ানো হয়েছিল নাকি দুর্ঘটনাবশত হাতিটি এই আনারস খেয়ে ফেলেছিল। কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় কৃষকরা বুনো শুকরের হাত থেকে তাদের ফসল রক্ষা করতে আনারসের ভেতরে আতসবাজি ভরে সেগুলো চারদিকে ছড়িয়ে রাখে।

খাবারের খোঁজে হাতি যখন লোকালয়ে চলে আসে তখন মানুষের সঙ্গে তাদের সংঘাত হয়।

কেরালা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্যপ্রাণী বিভাগের একজন শিক্ষক ওপি নাম্মির বলেছেন, ‘হাতি থেকে রক্ষা পেতে মানুষ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয় যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিক তার বসানো, চারপাশে গর্ত খুঁড়ে রাখা এবং বোমা পুতে রাখা।’
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান

সকল