২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুঃস্বপ্ন দেখার দিন ফুরালো...

দুঃস্বপ্ন দেখার দিন ফুরিয়ে এসেছে - সংগৃহীত

ঘুটঘুটে অন্ধকার। চারদিকটা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। হঠাৎ যেন কিছু নড়ে-চড়ে উঠল! গায়ের সব লোম দাড়িয়ে গেলো। কিছু একটা কাছে আসছে। এখান থেকে বের হতে হবে, কিন্তু পা-ই তো নড়ছে না। বরফ-জমাট হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে সেটি আরো কাছে আসছে। দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। চিৎকার করতে গিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছে না। অন্ধকারের পিশাচটা আরো কাছে...আরো কাছে...আরো কাছে আসছে...।

চোখ খুলুন।

এই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখার দিন ফুরিয়ে এসেছে। কারণ বিজ্ঞানীরা এই দুঃস্বপ্নের জন্য দায়ী জিন দুটিকে সনাক্ত করেছে। এবং গবেষণা করে দেখেছে, অপরাধী জিন দুটিকে ফেলে দিলে আর দুঃস্বপ্ন হানা দিচ্ছে না ঘুমের সময়।

ইঁদুরের ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছে টোকিও ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক।

গবেষণায় দেখা গেছে, চার্ম-১ ও চার্ম-৩ নামক দুটি জিন স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের জন্য দায়ী। গভীর ঘুমে থাকার সময় এই কাজ করে থাকে তারা। এরা রেপিড আই মুভমেন্ট বা REM নামে পরিচিত।

সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন- মানুষ ঘুমিয়ে থাকলে REM হয়। এটি স্মৃতি জমিয়ে রাখার কাজটিও করে থাকে।

বিজ্ঞানীরা যখন স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের জন্য দায়ী জিন দুটিকে ইঁদুরের মস্তিস্ক থেকে ফেলে দিলেন, তারা আশ্চর্য হলেন! কারণ জিন দুটি ফেলে দেয়ার পরও ইঁদুরটি সুস্থ ছিল। এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, REM ফেলে দিলে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

তবে নতুন গবেষণায় তেমনটা দেখা যায়নি। জার্নাল সেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা জানিয়েছেন, বেঁচে থাকার জন্য REM স্লিপের প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে গৃহপালিত প্রাণীদের।

 

আরো পড়ুন : একবার না পারিলে দেখো শতবার...

ডেইলি মেইল

বড়দের সাথে খালের পানিতে সেও অনেকক্ষণ খেলেছে। গা জুড়ে কাদা-পানি, যেন একটা মূর্তি! খেলা শেষ, এখন বাড়ি ফেরার পালা। তাই তাদের পিছু পিছু সেও মায়ের কাছে ফিরছে। কিন্তু বিপত্তি বাধলো, খাল থেকে উঠার সময়। বড়রা তরতর করে উঠে গেলেও, পুঁচকেটা পিছলে পড়ে গেলো। গেলো তো গেলো চিৎপটাং হয়ে। ওইদিকে বাকিরা উঠে কয়েক কদম এগিয়েও গেছে। কিন্তু পুঁচকেটাকে তো কোনোভাবেই ডাঙ্গায় উঠতে পারছে না। এখন কী উপায়?

ঘটনার এখনো বাকি। তার আগে শুনুন, এই অসহায় পুঁচকেটা কে? ও এক হাতির বাচ্চা।

এখন ঘটনার বাকিটুকু শুনুন। পুঁচকেটা একবার পিছলে পড়ে গেলেও তো দমে যায়নি। সে আবার চেষ্টা করে উঠার। কিন্তু তার ডাঙ্গায় উঠা যে কঠিন। তবে হার মানতে রাজি নয় সে। সামনের পা দুটি দিয়ে আবার খালের পাড়ে রাখে। ঠিক সেই মুহূর্তে তার সামনে এসে দাড়ায় সেই দুই সঙ্গী, যাদের সাথে সে খালে ঘুরে-বেড়িয়েছে।

বড় হাতি দুটি এসে পুঁচকেটাকে শূর দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু বারবারই পিছলে পড়ে যাচ্ছিল সে। তখন বড় হাতিটা সামনের পা দিয়ে ঠেলে পুঁচকেটাকে ডাঙ্গায় তুলে দেয়। আর ডাঙ্গায় উঠতেই সে ছুটে যায় তার পরিবারের কাছে।

পুরো ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে গত রোববার।

এই ঘটনা ভিডিও মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে।

 

আরো পড়ুন : ছাগলও মানুষের রাগান্বিত মুখ পছন্দ করে না?

বিবিসি

পিলে চমকে দেয়ার মতন নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক।

রয়েল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন মানুষের মুখের অভিব্যক্তি বা হাবভাব ছাগলেরা বেশ ভালোই বুঝতে পারে।

শুধু যে বুঝতে পারে তাই নয়। গবেষকদের তথ্য বলছে, মানুষের রাগী-রাগী অভিব্যক্তির চেয়ে হাসিমাখা বা প্রফুল্ল মুখের দিকেই ছাগলেরা বেশি আকৃষ্ট হয়।

গবেষণাটি করার সময় এতে নমুনা হিসেবে ব্যবহৃত ছাগলের সামনে একই ব্যক্তির কিছু ছবি টাঙানো হয়। এইসব ছবির মধ্যে ব্যক্তির রাগান্বিত মুখভঙ্গি ও হাসিমাখা প্রফুল্ল মুখের ছবি আলাদা-আলাদা টাঙানো হয়।

তখন দেখা যায় যে, রাগী-রাগী ছবির চেয়ে হাসিমাখা মুখের ছবিটির দিকে বেশি আকৃষ্ট হয় এবং এই ছবিটির সাথেই ছাগলটি অপেক্ষাকৃত বেশি সময় কাটায়।

এই থেকে গবেষকেরা সিদ্ধান্তে আসেন যে, কুকুর বা ঘোড়ার মতন পোষা প্রাণীগুলোই যে শুধু মানুষের মুখের অভিব্যক্তি বুঝতে পারে এমন নয়। বরং ছাগল বা অন্যান্য প্রাণীরাও মানুষের মুখের হাবভাব খুব ভালো বুঝতে পারে।

এই বিষয়টি নিয়েই রয়েল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত লেখাটির সহ-লেখক লন্ডন ইউনিভার্সিটির ড. এলান ম্যাকএলিগট বলেছেন, মানুষের মুখ দেখে যে প্রাণীরাও মানুষের আবেগকে বুঝতে পারে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

কারণ এর আগে মনে করা হতো যে শুধু পোষা প্রাণীরাই মানুষের আবেগ বা অভিব্যক্তি ভালো টের পায়।

কিন্তু ছাগল দিয়ে এই নিরীক্ষার পর এখন বলা হচ্ছে, শুধু কুকুর বা ঘোড়া নয় বরং গৃহপালিত সকল প্রাণীই যে মানুষের আবেগ ও অভিব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারে এই বিষয়ে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।


আরো সংবাদ



premium cement