২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

থাইল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারালো বাংলাদেশ

-

অন্যান্য ডিসিপ্লিনে যখন হতাশা ছড়িয়ে দিলো বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা তখন হতাশার সময়ে কিছুটা স্বস্তির খবর দিলো বাংলাদেশের হকি। জিবিকে মেইন স্টেডিয়ামের হকি মাঠে আজ থাইল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর ১ সেপ্টেম্বর পঞ্চম স্থানের জন্য লড়বে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হারলেও ষষ্ঠ স্থানটি নিশ্চিতই থাকবে গোবি নাথানের শিষ্যদের।
১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে প্রথম অংশ নিয়েই ষষ্ঠ হয়েছিল বাংলাদেশ হকি দল। ১৯৯০ তে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। এরপর সপ্তম হয়েছে ১৯৮৬, ১৯৯৪, ২০০২ ও ২০০৬ সালে। অস্টম হয়েছে গত দুই আসর ২০১০ ও ২০১৪ সালে। নবম হয়েছে দুবার ১৯৮২ ও ১৯৯৮ সালে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ষষ্ঠ স্থানের দেখা পেল আশরাফুল-জিমি-চয়নরা। এটি চয়নের শেষ এশিয়ান গেমস বিধায় দিনটিকে স্মৃতির পাতায়ই রাখতে চাইলেন চয়ন, ‘চারটি এশিয়ান খেলছি। আগের তিনটিতে কোন সাফল্য নেই। তাই এটিকে আমার জীবনের সেরা গেমস বললে ভুল বলা হবে না। এটি আমার একার কৃতিত্ব নয়। দলীয় সাফল্য। আমি দলের একটা অংশ। সকলেরই চেষ্টা ছিল ম্যাচ জয়ের। ২০ বছর পর এমন সুযোগ কেউ নষ্ট করতে চাইনি বলে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এজন্য সকলের আত্মবিশ^াসও ছিল।’
ম্যাচে দু’গোল করা উদীয়মান পিসি মাস্টার আশরাফুল জানান, ‘আমাদের চেয়ে থাইল্যান্ড অনেক বেশি উন্নতি করেছে। যে থাইল্যান্ডকে বলে কয়ে হারাতো বাংলাদেশ, সেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ত্রিশ মিনিট গোলশূন্য। কিছুটা হতাশা তৈরি হলেও আমরা মানসিকভাবে জেতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। দলের জয়ে সকলেই খুশি। আগ থেকেই আমাদের বোঝাপড়া ছিল।’
অনান্য দিন বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন ভেন্যুতে গিয়ে গেমস কাভার করলেও গতকাল সবাই ছিলেন একসাথে। বাংলাদেশ থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ী হয়ে ষষ্ঠ হবে বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয়বারের মতো ষষ্ঠ হতে যাচ্ছে লালসবুজরা। সেটিরই সাক্ষী হতে মাঠে উপস্থিত সকলে। কিন্তু যেই থাইল্যান্ডকে বলে কয়ে হারাতো বাংলাদেশ, সেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষেই কিনা কোনঠাসা। প্রথম দুই কোয়ার্টারে কোনো গোলই পেল না বাংলাদেশ। সবাই যখন আস্থাহীনতায় ভুগছে তখনি সকলের মুখে হাসি ফুটালেন পিসি স্পেশালিষ্ট আশরাফুল। ৩৫ মিনিটে ওটাই প্রথম পিসি বাংলাদেশের। সেটি থেকে জিমি-সারোয়ার কম্বিনেশনে আশরাফুরের দারুণ ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক (১-০)। এর আগে অবশ্য পরপর চারটি পিসি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি থাইল্যান্ড। ঠিক ছয় মিনিট পরেই বাংলাদেশ শিবিরে আসে প্রশান্তি। একই কম্বিনেশনে দ্বিতীয় পিসি থেকে গোল করেন আশরাফুল (২-০)। শেষ কোয়ার্টারের ৩ মিনিটে একটি গোল শোধ দেন থাইল্যান্ডের হারাপান বুরিরাক (২-১)। ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আশরাফুল- মিমোর আদান প্রদানে বল পেয়ে যান মিলন। থাইল্যান্ডের গোলকীপার শুয়ে পড়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে বিচক্ষণ মিলন গোলরক্ষকের উপর দিয়ে বল পাঠান জালে (৩-১)। এরপর আর কোন গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গোবিনাথানের শিষ্যরা।
ম্যাচ শেষে গোবিনাথান বলেন, ‘থাইল্যান্ড যে এত উন্নতি করেছে তা বুঝতে পারিনি। ছেলেরা জয় পেয়েছে তাতে আমি খুশি। কিন্ত মাঠের খেলায় সন্তষ্ট হতে পারিনি। মূলত বাংলাদেশের দরকার দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ। দলটির প্রতিভা আছে, বিকশিত হতে সময়ের প্রয়োজন।’


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল