২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঘন কালো চুলের জন্য

-

মাথাভর্তি একরাশ ঘন কালো চুল সবাই চায়। আদিকাল থেকে মানুষ কেশ পরিচর্যা করে আসছে নানা উপায়ে। চুল হারানোর দুঃখ যে কত তীব্র তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে। তবে বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই চুলের ব্যাপারে সন্তুষ্ট নয়। তাই চেষ্টা করে চুলকে আরো সুন্দর করে তুলতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এতে চুলের দীর্ঘস্থায়ী বা চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। হেয়ার ড্রায়ার, হিট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার, জেল ইত্যাদি ব্যবহার চুলের জন্য ক্ষতিকর। স্ট্রেইনিং, রিবন্ডিং, আয়রন, কালার এ রকম নানা পদ্ধতিতে এখন চুল সুন্দর ও পছন্দসই করা যায়। কিন্তু তার কিছু পরই শুরু হয় সমস্যা। চুলের কিউটিকল বা বাইরের আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। অতিরিক্ত তাপের কারণে চুল পড়তে শুরু করে। এ ছাড়া কেমিক্যালের কারণে চুল রুক্ষ হয়ে ওঠে, আগা দ্বিখণ্ডিত হয় ও চুল ঝরে পড়ে।
দূষণের কারণেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত ধুলা-ময়লার কারণে চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে পারে। এ কারণেও চুল ঝরে পড়ে। অল্পবয়সীদের অনেকেরই চুলের গোড়া তেলতেলে হয়ে যায়। এটি অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণের কারণে। এ ছাড়া চুলের গোড়ায় নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে। সংক্রমণের মধ্যে প্রথমেই খুশকির কথা বলা যায়। এতে করে চুল ঝরে পড়ে। এ ছাড়া অনেকেই অভিযোগ করেন, মাথা চুলকায় ও ছোট ছোট গোটা হয়। এটি চুলের গোড়া বা মাথার ত্বকের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এতে করেও চুল পড়া শুরু হয়।
নানা রকম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়তে পারে। যেমনÑ অ্যান্টিগাউট, অ্যাটি আর্থ্রাইটিস, মানসিক অবসাদের ওষুধ ইত্যাদি। এ ছাড়া ক্যান্সার, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশনের কারণেও চুল পড়তে পারে।
যে কারণেই চুল পড়ুক, প্রথমেই এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। কারণ, একবার টাক পড়ে গেলে সেটা সমস্যার কারণ হয়। তাই চুল পড়া শুরু হলেই এর কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সঠিক শ্যাম্পু না ব্যবহার করা, সঠিকভাবে চুল না আঁচড়ানো ও পুষ্টিগত কারণে এবং হরমোনের তারতম্যের কারণে চুল পড়তে পারে। তাই কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।
বর্তমানে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা, দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া, পর্যাপ্ত না ঘুমানো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকা ও ধূমপানের কারণেও চুল ঝরে পড়ে।
তবে আশার কথা, চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে চুল পড়ার চিকিৎসায়ও নতুন নতুন ওষুধের সংযোজন হচ্ছে। এসব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহারের ফলে অনেকেই সুফল পাচ্ছে। তাই চুল ঝরতে শুরু করলে যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষের চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
লেখিকা : অধ্যাপিকা, ফার্মাকলোজি ও থেরাপিউটিকস বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।
চেম্বার : দি বেস্ট কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ২০৯/২ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ফোন ঃ ০১৬৮৬৭২২৫৭৭


আরো সংবাদ



premium cement