২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ক্রমাগত ভুল! অ্যালঝাইমার্স হয়নি তো?

ক্রমাগত ভুল! অ্যালঝাইমার্স হয়নি তো? - ছবি : সংগৃহীত

সমাজ যত দ্রুত হচ্ছে, ভুলে যাওয়ার পরিমাণ ততই বাড়ছে। মাল্টি টাস্ক বা একসঙ্গে একাধিক কাজ অতি দ্রুত শেষ করতে গিয়ে ভুলে যাওয়ার শিকার হচ্ছেন আট থেকে আশি বয়সের লোকজন। তবে এর থেকে একটু আলাদা অ্যালঝাইমার্স। কোথায় আলাদা, কীভাবে আলাদা, কী দেখে বুঝবেন এটা আপনার সাধারণ ভুলে যাওয়া না রোগের (Alzheimer's) লক্ষ্মণ?

১. দৈনন্দিন কাজ ভুলে যাওয়া
একদম গোড়ায় নাম, ফোন নম্বর, তারিখ, দিন- এই সব ছোট ছোট জিনিস ভুলতে শুরু করেন রোগী। যদিও বয়স বাড়লেও এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই চট করে প্রথমে বুঝে ওঠা যায় না এটি রোগ না বয়সজনিত সমস্যা। তবে তবে এর সঙ্গে রোজের কাজের কথা ভুলতে আরম্ভ করলে বুঝতে হবে সজাগ হওয়ার দিন এসেছে।

২. পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে না পারা
মাঝেমধ্যেই হিসাব বা রান্নাবান্না করতে ভুল হয়ে যায়। রান্নায় কোনটার পর কী দেবেন, মনে থাকে না। এবং আস্তে আস্তে এই সমস্যা ঘনঘন হতে থাকে।

৩. সময়জ্ঞান হারানো
দিন, সপ্তাহ, মাস, তারিক, বছর, সময় কিছুই মনে রাখতে পারেন না এই রোগের আক্রান্তরা।

৪. কোনো কিছু দেখে বুঝতে না পারা
রং চিনতে না পারা, বই পড়তে না পারা, গাড়ি চালাতে না পারা- অ্যালঝাইমার্সের লক্ষ্মণ। আস্তে আস্তে রোগী দিন আর সময়ের হিসেবও গুলিয়ে ফেলেন।

৫. কথার খেই হারিয়ে ফেলা

একসময় কথা বলতে বলতে কথার খেই হারিয়ে ফেলেন রোগী। কী বলবেন বুঝে উঠতে পারেন না। শব্দ চয়ন করতে পারেন না। কথা বলতে বলতে থেমে যান।

৬. জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলা

জিনিস হারিয়ে ফেলা খুব কমন সিম্পটম। জিনিস একটি জায়গায় রাখার পর কিছুতেই তাকে খুঁজে না পাওয়া বা মনে করতে না পারা এই রোগের লক্ষ্মণ।

৭. বিচারক্ষমতা লোপ পাওয়া
সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয় ধীরে ধীরে। কোনা ঠিক, কোনটা ভুল- বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে, কী সিদ্ধান্ত নেবেন তার জন্যেও নির্ভর করতে হয় অন্য মানুষের ওপর।

৮. সমাজ থেকে সরিয়ে নেয়া
অনেক সময়েই এরা বুঝতে পারেন না, তাদের চারপাশে কী ঘটছে। ফলে, আসতে আস্তে লোকজন এদের থেকে সরে যায়। এরাও ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকেন নিজেদের। এক সময় এরা সবার থেকে দূরে সরে গিয়ে নির্জন দ্বীপের মতো একা হয়ে পড়েন।

৯. ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন
একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত হতে হতে একসময় তাদের মনে বাসা বাঁধে ভয়, অবিশ্বাস, উদ্বেগ আর অবসাদ। এর সঠিক কারণও এরা কিন্তু বলতে বা দেখাতে পারেন না।

সব শেষে

একজন অ্যালঝাইমার্স রোগী কী চান বা কী করতে চান, বুঝে ওঠা ভীষণ কষ্টসাধ্য। রোগের একেবারে প্রথম দিকে তবুও নিজের কিছু কাজ স্বাধীনভাবে করতে পারেন তিনি। কিন্তু আস্তে আস্তে রোগের প্রকোপ যত বাড়ে, ততটাই পরাধীন হয়ে পড়েন। ফলে, রোগীকে বুঝে তার মতো হয়ে উঠতে হবে পরিবার এবং আশপাশের মানুষজনকে। এর জন্য আরো সচেতনতার প্রয়োজন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী

সকল