২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কোরবানির গোশত গ্রহণে সতর্কতা

কোরবানির গোশত গ্রহণে সতর্কতা - ছবি : সংগ্রহ

আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আর কোরবানি মানেই হলো রেড মিট বা লাল গোশতের সম্ভার এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মুখোমুখি হওয়া। লিখেছেন ডা: মিজানুর রহমান কল্লোল

গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ, উট ও দুম্বার গোশতকে বলে রেড মিট বা লাল গোশত। আর এ গোশতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরল, যা হৃৎপিণ্ডের প্রধান শত্রু। লাল গোশতে বিদ্যমান খারাপ চর্বি বা কোলেস্টেরল গ্রহণের ফলে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালী বা ধমনীর অভ্যন্তরে চর্বি জমে তা সরু হয়ে যায়, ফলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং পরিণামে ঘটে হার্ট অ্যাটাক। তাই কোরবানির গোশত গ্রহণে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
কোরবানির গোশত থেকে চর্বি বাদ দেয়ার কৌশল
ক্স পশু কোরবানির পর গোশত কাটার সময় গোশতের গায়ে লেগে থাকা চর্বি যতটা সম্ভব কেটে বাদ দেবেন।
ক্স গোশত রান্নার আগে গোশতকে আগুনে ঝলসে নিলে কিছু চর্বি গলে পড়ে যায়। এভাবে গোশতকে চর্বিমুক্ত করা যেতে পারে।
ক্স গোশতকে একটু হলুদ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে রেফ্রিজারেটরে ঠাণ্ডা করলে কিছুটা চর্বি গোশত থেকে বেরিয়ে এসে জমাকৃত অবস্থায় থাকে। এ অবস্থায় বাড়তি চর্বিটুকু একটা চামচ দিয়ে আঁচড়ে সহজে বাদ দেয়া যায়।
ক্স এ ছাড়া গোশতকে একটি র‌্যাক বা ঝাঁজরা পাত্রে রেখে অন্য একটি পাত্রের ওপর বসিয়ে চুলায় দিলে নিচের পাত্রে গোশতের ঝরে যাওয়া চর্বি জমা হবে। এ পদ্ধতিতে গোশত থেকে অনেক চর্বি বাদ দেয়া যায়।
অনেকে ঈদে মুরগির গোশত খেয়ে থাকে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হলো মুরগির গোশত খাওয়ার সময় অবশ্যই মুরগির চামড়া বাদ দিয়ে খেতে হবে, কারণ একটা মুরগিতে যে পরিমাণ চর্বি থাকে তার অর্ধেকটাই আসে চামড়া থেকে। একই সাথে মগজ ও কলিজা বাদ দিয়ে খেতে হবে।

কোলেস্টেরল ভাবনা
কোরবানির গোশত খাওয়ার সময় অবশ্যই কোলেস্টেরলের কথা মনে রাখতে হবে, কারণ মন্দ কোলেস্টেরল নীরবে মৃত্যু ডেকে আনে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি কিংবা বিপদসীমার কাছাকাছি, তারা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে গোশত খাবেন। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে কিংবা ৩০ বছর বয়সের পর যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদেরকে রেড মিট বা লাল মাংস একেবারেই না খাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন।

তবে কোরবানিতে যেহেতু গোশত খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে, সুতরাং একটু বুঝেশুনে খেতে হবে। যারা হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি তারা পশুর কলিজা, হৃৎপিণ্ড ও মগজ খেতে পারবেন না। একইভাবে ডিমের তৈরি যেকোনো খাবার তৈরির সময় কুসুম বাদ দিতে হবে। এসব রোগীর ক্ষেত্রে পোলাও-বিরিয়ানির পরিবর্তে খিচুড়ি বেছে নেয়া উত্তম।
কোরবানিতে কোলেস্টেরল এড়িয়ে চলার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পন্থা হলোÑ
ক্স রান্নার কাজে ঘি বা বাটার অয়েল ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করা।
ক্স ফিরনি, পায়েস, মিষ্টান্ন প্রভৃতি তৈরির জন্য স্কিমড মিল্ক বা ননীতোলা দুধ ব্যবহার করা
ক্স দুধজাত খাবার কম রেখে খাদ্য তালিকায় প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল রাখা।
ক্স কোরবানিকে ভোজনের উৎসব হিসেবে না দেখে এবং সেই আনন্দে না মেতে একে ত্যাগের মহিমা হিসেবে দেখে নিজেকে সংযত রাখা।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড, ২ ইংলিশ রোড, ঢাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল