বর্ষাঋতুতে শিশুদের জন্য করণীয়
- ডা: মাও: লোকমান হেকিম
- ৩১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
আমাদের চার পাশে হরেকরকমের জীবাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুযোগ পেলেই দেহের ভেতর প্রবেশ করে আক্রমণ করছে। এসব আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমরা একটু সতর্ক হতে পারি সহজে। যেমনÑ হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ায় এ কথা সবাই জানি। এসব জীবাণুতে ঘাম, রক্ত, ব্যক্তিগত মেলামেশা, করমর্দন, কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে করমর্দন, দূষিত খাদ্য গ্রহণ অথবা দূষিত পানি পান প্রভৃতির মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারি। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এ দেশের প্রকৃতিতে লাগে পরিবর্তনের ছোঁয়া। এই পরিবর্তিত পরিবেশে মানবশিশুও যেন সুস্থ থাকে, সেটাই আমাদের কাম্য। আমাদের ছোট শিশুদের চলাফেরা, খাওয়াদাওয়া সবই সঠিকভাবে যেন হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। এখন বর্ষাকাল। বর্ষা মানেই আবহাওয়ায় জলীয়বাষ্প বেশি। এই আবহাওয়ায় কিছু ভাইরাস সহজেই দুর্বল ও ছোট শিশুদের আক্রমণ করে। এজন্য এই আবহাওয়ায় শিশুদের যতেœ বেশি সচেতন হতে হয়। আমরা যারা সিলেটসহ বিভাগীয় শহরে বসবাস করি, তাদের প্রায় সবারই বাসা অতি ঘনবসতিপূর্ণ। ঘন ঘন বাসা মানেই বাতাস চলাচলে অপ্রতুলতা। বাসার চতুর্দিকে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হয়। যত বেশি বাতাস চলাচল করে তত বেশি পরিবেশ ভালো থাকে। ঘরে রোগ-জীবাণু কম হয়। ঘনবসতি এলাকায় দ্রুত ভাইরাস সংক্রমিত হয় এবং একজন অসুস্থ হলে অপরজনের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ছোট শিশুদের প্রচুর আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে রাখতে হবে। পরিবারে বড়দের কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ছোট শিশুদের তার থেকে দূরে রাখতে হবে। ছোট শিশুদের প্রতিদিন প্রয়োজনীয় গোসল যেন দেয়া হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। যেহেতু আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি, সেহেতু কাপড় শুকনো রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় না ভেজানো ভালো। শিশুদের গোসলের আগে তেল মালিশ করা পরিহার করতে হবে। সব সময় পরিষ্কার কুসুম গরম পানি (পানি অবশ্য সিদ্ধ করা হতে হবে) দিয়ে গোসল করাতে হবে। ছোট শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম। সে জন্য শিশুদের অবশ্যই বারবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া একটু বড় শিশুদের (ছয় মাসের বড়) বারবার সবজি, খিচুড়ি, মাছ ও গোশত খেতে দিতে হবে। রঙিন শাকসবজি আর ফলের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল থাকতে হবে। বারবার অনেক সময় ধরে বুকের দুধ খাওয়ালে শিশু সঠিক পুষ্টি পাবে। বড়দের বেলায় ঘরের তৈরি খাবার খেতে দিতে হবে। পাশাপাশি (বিশুদ্ধ) পানি পান করাতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা