২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশুর সর্দিজ্বরে ঘরে বসে চিকিৎসা

-


পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের এ সমস্যা অতি সাধারণ। আমাদের দেশে এ বয়সের শিশু বছরে সাধারণত ৫-৯ বার শ্বাসতন্ত্রের এ সমস্যায় ভোগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো এন্টিবায়োটিক ছাড়া এর চিকিৎসা সম্ভব। মনে রাখতে হবে শিশুর যে কোনো অসুখে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। সাগু, বার্লি সামান্য মুড়ি মুড়কি অসুস্থ শিশুকে খাওয়ানো মারাত্মক ভুল। চার মাসের কম বয়সের শিশুকে ঘন ঘন বুকের দুধ খেতে দেয়া উচিত। ৪-৬ মাসের বেশি বয়সের শিশুকে উচ্চ পুষ্টিমান ও ক্যালরিসম্পন্ন খাবার যেমন তেল দিয়ে রান্না করা খিঁচুড়ি, দেশী সিম বা শাকসবজি যা ডালের সাথে মিশিয়ে আধা তরল করে দেয়া যায়। দুগ্ধজাত সামগ্রী এবং ডিমও এক্ষেত্রে কার্যকরী। সর্দির জন্য না খেতে চাইলে একটা গরম কাপড় দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে। সর্দি ঘন শুকনো বা শক্ত হওয়ার জন্য নাক বন্ধ হয়ে থাকলে নাকে কয়েক ফোঁটা লবণ মিশ্রিত পানি দিলে সর্দি নরম হয়ে আসবে। শিশুকে পানি স্বল্পতা থেকে রক্ষা করতে বারবার পানীয় যেমন বুকের দুধ, পরিষ্কার পানি, দুধ বা ফলের রস দেয়া যেতে পারে। শিশুকে চিনি মেশানো চা, লেবুর শরবত অথবা মধু খাইয়ে শিশুর গলায় ব্যথা প্রশমিত করা বা নিরাপদ উপায়ে কাশির উপশম করতে পারেন। জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল সিরাপ ১৫ মি. গ্রাম/কেজি/ডোজ হিসেবে দিনে চারবার দিন। এক চামচ সিরাপে থাকে ১২০ মি. গ্রাম। প্রয়োজনে জ্বর কমাতে শিশুর শরীর থেকে গরম কাপড় সরিয়ে ফেলতে হবে, ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে, হাত পাখা বা ফ্যানের বাতাস ব্যবহার করুন। গামছা বা তোয়ালে দিয়ে ঈষৎ উষ্ণ পানিতে বা টেপের পানিতে ভিজিয়ে সমস্ত শরীর মুছে দেয়া চাই। তবে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হলে বা দ্রুত হলে, খাওয়ানোতে অসুবিধা হলে এবং শিশু অধিকতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরো সংবাদ



premium cement