১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাঁটুব্যথা থেকে মুক্তি

হাঁটুব্যথা থেকে মুক্তি - ছবি : সংগ্রহ

হাঁটুব্যথায় ভোগেন না এমন লোক খুব কম আছেন। এ রোগের প্রথম দিকের উপসর্গ হলো- হাঁটুর নড়াচড়ায় তীব্র ব্যথা ও হাঁটুতে কটকটে শব্দ, যা তীব্র হয় দ্রুত সিঁড়ি ওঠা-নামার সময়। বসা অবস্থা থেকে দ্রুত দাঁড়ানোর সময় মাংসপেশির সঙ্কোচনের কারণে হাঁটুর নড়াচড়া ব্যাহত হয়। কখনো হাঁটুতে তরল পদার্থ জমে হাঁটু ফুলে যেতে পারে। এক সময় নড়াচড়া অসম্ভব হয়, ওঠাবসা, হাঁটা ইত্যাদি দুঃসাধ্য হয়, হাঁটু ধরে নাড়াতে গেলে সৃষ্টি হয় অসহনীয় ব্যথা। যার পরিণতি পঙ্গুত্ব। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যখন নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি হাঁটুর অস্টিও আর্থ্রাইটিস, তখন প্রসঙ্গ আসে প্রাসঙ্গিক চিকিৎসার। বয়সজনিত কারণে অস্থি ও অস্থিসন্ধির ক্ষয় চিকিৎসার মাধ্যমে পূরণ করা বেশ কঠিন। তবে ক্ষয়ের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করা সহজ। ভয়ের কারণ নেই, এর চিকিৎসা অর্থই অপারেশন নয়। প্রাথমিক সতর্কতামূলক চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে-

ষ ভারোত্তোলন পরিহার। এমনকি হাঁটুতে শরীরের ভার না দিতে ক্র্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ষ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হাঁটু নড়াচড়া সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে প্লাস্টার কাস্ট, স্লিন্ট, করসেট, ব্রেস, ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ প্রভৃতি দিয়ে হাঁটুকে অনড় করে রাখা যেতে পারে। হাঁটুতে হালকা গরম সেঁক, ভালো হয় যদি আইসব্যাগে গরম পানি ভরে সেঁক দেয়া যায়। শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ব্যবহার না করাই উত্তম, কারণ এতে ক্ষয়ের গতি বাড়ার আশঙ্কা থাকে। উরুর মাংসপেশির সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য নির্দেশিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রয়োজনে সাপ্তাহিক বিরতিতে হাঁটুতে কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন দেয়া যায়। বেদনানাশক ও ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষয়রোধী ডাক্তার নির্দেশিত ওষুধ খাওয়া উচিত।

ওপরের পদ্ধতিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্টি সময় পর রোগী আরামবোধ করেন, অবস্থার উন্নতি হয়, আর ক্ষয়ের গতিও ব্যাহত হয়। কিন্তু এতে যদি উন্নতি না হয়, ব্যথা না কমে, অথবা এই রোগে যখন হাঁটুর নড়াচড়া অসম্ভব হয়ে পড়ে, বারবার ব্যথার মাত্রা তীব্রতর হতে থাকে, হাঁটু ফুলে যায়, বাঁকা হয়ে যায়- তখন একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন।

আধুনিক অপারেশন ব্যবস্থায় রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে না। কম বিস্তৃত প্রাথমিক ক্ষেত্রে হয়তো শুধু প্যাটেলা অপসারণই যথেষ্ট, আবার বেশি ছড়িয়ে পড়া রোগের বেলায় হাঁটুর অস্থিগুলোর অংশবিশেষ চেঁছে, বেড়ে যাওয়া হাড়, ছিঁড়ে যাওয়া তন্তু পর্দা, তরুণাস্থি ইত্যাদি অপসারণ করে হাঁটুকে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। আর এতেও ফল না হলে এবং অধিক বিস্তৃত রোগের বেলায় হাঁটু প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া হাঁটুতে ধাতব প্রতিকৃতি এই স্থানে স্থাপন করা হয়।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ, ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা। ফোন: ০১৭২২৯১৬৪৭৯ (সঞ্জয়)


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল