১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশুর ডায়রিয়া প্রতিরোধ

-

ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর পানিশূন্যতা দূর করার জন্য খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য যেমনÑ মায়ের দুধ, ডাবের পানি, ভাতের মাড়, লবণ-গুড়ের শরবত, চিড়ার পানি খাওয়াতে হবে। শিশুর ডায়রিয়া থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ নিশ্চিত করার জন্য ও ডায়রিয়া আবার আক্রান্ত হওয়া রোধ করার জন্য ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই পরপর ১০ দিন বেবি জিংক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
বাড়িতে খাবার স্যালাইন তৈরির নিয়ম
যদি আশপাশের দোকানে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খাবার স্যালাইন না পান চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি বাড়িতেও খাবার স্যালাইন তৈরি করতে পারবেন।
একটি পরিষ্কার পাত্রে এক মুঠো গুড় বা চিনি এবং তিন আঙুলের এক চিমটি লবণ ও আধা লিটার বা দুই পোয়া বা দুই গ্লাস বিশুদ্ধ পানি ভালোভাবে মিশিয়ে বাড়িতে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়।
খাবার স্যালাইন ব্যবহারের নিয়ম
ষ শিশুর বয়স ২ বছরের কম হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর আধা গ্লাস বা ১০-২০ চা চামচ খাবার স্যালাইন শিশুকে খাওয়াতে হবে।
ষ শিশুর বয়স ২-১০ বছরের মধ্যে হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর আধা গ্লাস থেকে এক গ্লাস খাবার স্যালাইন শিশুকে খাওয়াতে হবে।
ষ শিশুর বয়স ১০ বছরের উপর হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এক গ্লাস থেকে দুই গ্লাস খাবার স্যালাইন শিশুকে খাওয়াতে হবে।
খাবার স্যালাইন তৈরি ও ব্যবহারের কয়েকটি নির্দেশনা
ষ গরম পানিতে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যাবে না বা তৈরী স্যালাইন গরম করা যাবে না।
ষ তৈরী খাবার স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর ব্যবহার করা যাবে না।
ষ দুধ, স্যুপ, ফলের রস বা অন্যান্য কোনো পানীয় এর মধ্যে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যাবে না।
ষ পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবার স্যালাইন এবং অন্যান্য তরল খাদ্য খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। কোনোমতেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।
ষ খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পর শিশু বমি করলে ৫-১০ মিনিট স্যালাইন খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে। তারপর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement