২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কালো ধোঁয়া নীরব ঘাতক

-

রাস্তা দিয়ে হাঁটলে, প্রতি মুহূর্তে দেখা যাবে অনেক গাড়ি আছে কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে চলছে। হয়তো ধোঁয়ার কুণ্ডলীর ফাঁদে পড়ে গেছেন, কালো ধোঁয়া নাক, মুখ দিয়ে প্রবেশ করছে। এ সব বাস, ট্যাক্সি কিংবা টেম্পোতে চড়লে কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে চোখ জ্বালা করছে, বমিভাব হচ্ছে বা মাথা ধরেছে। বাসে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আপনার মনটা মুক্ত বাতাসের জন্য ছটফট করবে। যেন বাতাস না পেলে মরে যাবেন, এমনভাবে প্রতিনিয়ত অসংখ্য নাগরিক কালো ধোঁয়ার শিকার হচ্ছেন। গাড়ির কালো ধোঁয়া বের হয় সাধারণ জ্বালানির অসম্পূর্ণ দহন থেকে। বিশেষ করে গাড়ির ইঞ্জিন পুরনো হলে জ্বালানি সম্পূর্ণ দহন করতে পারে না বলে আগে সেসব গ্যাসগুলো বের হয় এবং বাতাসে মিশে যায়। গাড়ি চলার সময় ভেতরের যাত্রীরা গ্যাসের গন্ধ পায়। যানবাহন থেকে শতকরা ৮০ ভাগ কার্বন মনো-অক্সাইড বাতাসে মেশে। এক গ্যালন গ্যাসোলিন পোড়ালে তিন পাউন্ড কার্বন মনো-অক্সাইড নির্গত হয়। ট্যাক্সি, টেম্পো অনেক বাস আছে, যা পেট্রলের সাথে মবিল মিশিয়ে গাড়ি চালায়, কম খরচ হয় বলে। তাতে করে যে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় সেই ধোঁয়ায় কোনো সুস্থ মানুষ অসুস্থ না হয়ে পারে না। যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়ার ফলে সাধারণত যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে তা হলো মাথা ধরা, মাথা ঘোরা, চোখ জ্বালা করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, বমি বমি ভাব, কাশি, হাঁপিয়ে যাওয়া, গলা ব্যথা, হৃদরোগ, হাঁপানি, রক্তশূন্যতা, রক্তপ্রবাহে বিষক্রিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগ সৃষ্টি ইত্যাদি। কালো ধোঁয়ায় বিভিন্ন উপাদান যেমন কার্বন মনো-অক্সাইড গ্যাস নিঃশ্বাসের সাথে প্রবেশ করে, রক্তের লোহিত কণিকা হিমোগ্লোবিনের সাথে মিশে কার্বন ফ্রি হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। ফলে হিমোগ্লোবিনে অক্সিজেন বহন ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement