২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

জন্ডিসের চিকিৎসা

জন্ডিসের চিকিৎসা - ছবি : সংগৃহীত

জন্ডিস ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা শব্দ হলো ন্যাবা কমলা। কামেলা হলুদ রোগও বলা হয়। এটি একটি বহুল প্রচলিত রোগ, যা ছোট বড় সবাই অন্তত নাম শোনে থাকে কমবেশি । যা যকৃতের পিত্ত নিঃসরণ ক্রিয়ার স্বল্পতা অথবা অবরুদ্ধতাবশত রক্তের পিত্ত মিশ্রিত হয়ে শারীরিক রক্তের মধ্যে সঞ্চালিত হয়ে শরীরস্থ চর্মে, চোখের শ্বেত বর্ণ স্থান, মূত্র ,পীত বর্ণ ও হলদে বা কমলা রঙের হলে ন্যাবা বা জন্ডিস বলে। নারী, পুরুষ, শিশু সবারই জন্ডিস হতে পারে। শতকরা ৬০ ভাগ শিশুর জন্মের পর জন্ডিস হয়ে থাকে।

আপনি যেভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে : ১) রোগীর মুখে তিক্ত স্বাদ অনুভব করে। ২) ক্ষুধাহীনতা থাকে। ৩) খাদ্যে অরুচি বিরাজ করে। ৪) বমি ভাব হয়, ৫) বমি হয়, ৬) পিত্ত বুমি হয়, ৭) গায়ে জ্বর ভাব থাকে, ৮) পেটের ডান দিকে বা বাম দিকে বেদনার অনুভব হয়, ৯) চোখের সাদা অংশ হলুদ ভাব হয়, ১০) গায়ের রঙ হলুদ বর্ণ, ১১) জামা-কাপড় অথবা বিছানায় এই ঘাম লাগলে তাও হলুদ দেখায়, ১২) রক্তস্বল্পতার ভাব থাকে, রক্তে বিলোরবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, ১৩) প্রস্রাব হলুদ হয়, কখনো কখনো সরিষার তেলের মতো প্রস্রাব হয়, ১৪) শিশু বুকের দুধ পান ছেড়ে দেয়, ১৫) শরীর দিন দিন দুর্বল হতে থাকে, অন্যান্য লক্ষণের সাথে-শিশুর কপালে আঙুল দিয়ে আলতোভাবে চাপ দিয়ে উঠিয়ে নিন। যদি আঙুল উঠানোর পরে স্কিন হলদে দেখায় তবে বুঝতে হবে জন্ডিস হয়েছে।

চিকিৎসা : হোমিওপ্যাথিতে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। তাই সম্পূর্ণভাবে লক্ষণ সংগ্রহ করে। ওষুধের লক্ষণ মিলিয়ে সঠিক ওষুধ, শক্তি, মাত্রা নির্ধারণ করে রোগীকে দিতে হয়, যা একজন আদর্শ চিকিৎসকের পক্ষে সম্ভব। আর এতে জন্ডিস সম্পূর্ণভাবে আরোগ্য হয়। সচরাচর যেসব ওষুধগুলো হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো : একোনাইট, ব্রায়ুনিয়া, চায়না, চেলিডুনিয়াম, কার্ডোয়াস ম্যাজ, কারিকা পেপায়া, লাইকোপুড়িয়াম, মাইরিকা, সালফার, নেট্রাস সালফ, নাক্স ইত্যাদি।

পথ্য ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা : যা করবে না- কঠোর পরিশ্রম, স্বাস্থ্য বিধির লঙ্ঘন, কঠিন রোদে, অত্যধিক তাপে থাকবে না, উগ্র মসলাযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া, তৈলাক্ত খাবার, বাসি-পচা খাবার, ঝাল-কঠিন টক একদম খাবেন না।

যা করবেন : বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম, সুপেয় পানি পান করা। ঢাকা শহরবাসীর একমাত্র সুপেয় বা বিশুদ্ধ পানি হলো ঘরে ফোটানো পানি । এছাড়া কোনো পানিই জীবাণুমুক্ত নয়। তাজা ফল, বেল, আখের রস, ডাবের পানি, গ্লুকোজের পানি, (ডাইবেটিসহীনদের) খাবেন।
জটিলতা : জন্ডিস হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। এ ব্যাপারে সামান্যতম সময় ব্যয় করা আপনার জন্য সমীচীন নয়। ১) জন্ডিসের ফলে লিভার ফোড়া হতে পারে, ২) জন্ডিস থেকে লিভার সিরোসিস হতে পারে, ৩) দীর্ঘ দিন ভুগলে লিভার ক্যান্সার হতে পারে, ৪) শেষ পরিণতি মৃত্যুও হতে পারে।

লেখক : এসো. প্রফেসার, তানজিম হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ। চেম্বার : সিটি হোমিও ইন্টারন্যাশনাল ২৩, জয়কালী মন্দির, ঢাকা। ০১৯১২৮৪২৫৮৮


আরো সংবাদ



premium cement
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক

সকল