১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শীতে চর্মরোগ

শীতে চর্মরোগ - ছবি : সংগৃহীত

শীতকালে সাধারণত ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তার কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং শরীরে ঘাম কম হওয়া। সে জন্য সবারই ত্বক অল্পবিস্তর ফাটতে পারে। যাদের ত্বক জন্মগত কোনো ত্রুটির জন্য শুষ্ক কিংবা কোনো ডিফিসিয়েন্সি ডিজিজজনিত কারণে শুষ্ক বা অন্য কোনো অসুখের কারণে শুষ্ক বা বার্ধক্যজনিত কারণে, সিবাম নিঃসরণ কমে যাওয়ার কারণে শুষ্ক- তারা শীতকালে আরো বেশি শুষ্কতায় আক্রান্ত হন। জন্মগত ত্বক রোগ যেমন ইকথায়োসিস- শীতে বাড়ে। জন্মগত ইকথায়োসিসের কারণ জেনেটিক। এতে চামড়া রুক্ষ হয়ে যায়, মাছের আঁশের মতো ফেটে যায়। জন্মগত কারণ না থাকলেও পরবর্তী জীবনে অন্য কোনো অসুখের (যেমন- লেপ্রসি, হজকিন ডিজিজ, তীব্র অপুষ্টি, হাইপোথাইরয়েজিজম) জটিলতা হিসেবে ইকথায়োসিস দেখা দিতে পারে। সব ধরনের ইকথায়োসিস শীতের প্রকোপে বৃদ্ধি পায়।

শীতে বিভিন্ন ভিটামিন বা অন্যান্য অভাবজনিত রোগ বেশি দেখা যায়, ফলে ঠোঁটের কোণে ঘা বা জিহ্বায় ঘা হতে পারে। এ ছাড়া সাথে শুষ্ক ও খসখসে গুটিযুক্ত ত্বক দেখা দিতে পারে। চুলকানি (স্কেবিস) রোগটি শীতকালে খুব বেশি হয়। শীতের প্রকোপে এবং আর্থসামাজিক কারণে একই লেপের তলায় অনেককে ঠাসাঠাসি করে শুতে হয়, যা স্কেবিসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। আবার এই সময়ে ঠাণ্ডার প্রকোপে বিশেষত শীতকাতুরে লোকেরা নিয়মিত গোছল করা বা গা ধোয়ার ব্যাপারে অনেক কম যত্নবান হন। তাই অপরিচ্ছন্নতার কারণেও এই রোগ বাড়ে। এই চুলকানি থেকেই খোস-পাঁচড়া ইত্যাদি চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। সোরায়াসিস নামক ক্রনিক চর্মরোগও শীতকালে বাড়ে। শীত পড়ার সাথে সাথেই এই রোগাক্রান্তদের কষ্ট ও উপসর্গ বাড়তে থাকে। এই রোগে হাতে পায়ে বা মাথায় চাকা চাকা চামড়া ছাল উঠে আলগা হয়ে যায়, ছাল তুললে পিন পয়েন্ট ক্যাপিলারি বা ছোট ছোট রক্ত বিন্দুর মতো দেখা যায়।
ইনফ্যানটাইল একজিমাও শীতে বেড়ে যায়। পিটিরিয়াসিস অ্যালবা নামক এক প্রকার একজিমা, শিশুদের গায়ে হয়- শীতকালে বাড়তে দেখা গেছে। শীতে ছত্রাকজনিত চর্মরোগ বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন একটু কমে কারণ শীতে ঘাম কম হয় এবং চামড়ার স্যাঁতসেঁতেভাব একটু কম থাকে। খুব তীব্র শীতে চিলব্রেন নামক চর্মরোগ দেখা দিতে পারে, এটি রক্তবাহী নালী বা শিরা-উপশিরার অসুখ। আঙুলের ডগা লাল হয়ে যায়। শেষে আলসারও হতে পারে। গৃহবধূদের এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়।

রেনডস ডিজিজও আর একটি শীতকালের ত্বকরোগ। এতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শিরা-উপশিরা অস্বাভাবিকভাবে সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তার ফলে আঙুলের ডগায় ব্যথা, আঙুল প্রথমে সাদা ও পরে নীলাভ আকার ধারণ করে, শেষে কালচে ঘা হয়। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক চর্মরোগ। শীতের চর্মরোগ সঠিক চিকিৎসার দ্বারা আয়ত্তে আনা সম্ভব। অনেকেই ত্বকের অসুখকে তেমন গুরুত্ব দেন না চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িয়ে ফেলেন। চর্মরোগ কিন্তু জটিল আকার ধারণ করতে পারে, বিশেষত ঠাণ্ডায়। কাজেই যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখিকা : অধ্যাপিকা, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল