এইডস রোগ ও ডেন্টাল সার্জারি
- ডা: মো: ফারুক হোসেন
- ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বর্তমান বিশ্বে এইডস রোগ সবচেয়ে বড় ঘাতক ব্যাধি। ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বাংলাদেশও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও অনেকের এইডস রোগের ভাইরাস অর্থাৎ ঐওঠ রক্তে বহন করছে। ঐওঠ ভাইরাস সাধারণত রক্ত সঞ্চালন, অবাধ যৌন মিলন এবং ইনজেকশনের সূচের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে থাকে। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে দাঁতের চিকিৎসার খরচ সাধারণ জনগণের জন্য ব্যয়বহুল। হাসপাতাল এবং ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোতে যদি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার না করা হয় তবে এই ভাইরাস এক সময় আমাদের দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যভাবে একজন ডেন্টাল সার্জন ডাক্তার হওয়ার পরও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। একজন ঐওঠ ভাইরাস বহনকারী দাঁতের রোগীকে ইনজেকশন দেয়ার পর যদি অসাবধানতাবশত ডাক্তারের হাতের আঙুলে সূচ লাগে এবং কোনোক্রমে যদি রক্তের স্পর্শ পায় তবে সে ক্ষেত্রে সেই ডেন্টাল সার্জনও ঐওঠ ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। অতএব সারা দেশে যেসব ডেন্টাল সার্জন বেশি রোগী দেখে থাকেন তাদের একটা ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে, হাতে হ্যান্ডগ্লোভস পরিধান করতে হবে এবং প্রচুর রোগীর চাপ থাকার পরও তাড়াহুড়ো করে ইনজেকশন দেয়া যাবে না।
ডেন্টাল সার্জারিতে রুট ক্যানেল চিকিৎসা একটি অনিবার্য এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য খরচ কমাতে গিয়ে আমাদের দেশে সব ডেন্টাল সার্জন রুট ক্যানেলের জন্য ব্যবহৃত রিমার, ফাইল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আধুনিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করেন না বা খরচের কারণে করতে পারেন না। ফলে আমাদের দেশে ডেন্টাল সার্জনদের দায়িত্ব হবে রোগীদের সচেতন করে তোলা।
অবাধ যৌন মিলন ছাড়াও ঐওঠ ভাইরাস যেহেতু বিস্তার লাভ করতে পারে, অতএব ঐওঠ ভাইরাস বহনকারীদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক : ডেন্টাল সার্জন, হজরত শাহ্ আলী বাগদাদী রহ: মাজার শরিফ জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর-১, ঢাকা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা