২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বা স্থ্য জি জ্ঞা সা

-

ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক তাই আপনার ত্বকে সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। তবে সাবান যদি ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন। সে ক্ষেত্রে গ্লিসারিন সোপ ব্যবহার করা যেতে পারে। রুক্ষ ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা ভালো, তাতে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতার ভাব কমে
জাকির হোসেন : বয়স -৪০
চকবাজার, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : আমার মাথার চুল ক্রমেই পড়ে যাচ্ছে এবং মাথার সামনের এবং তালুর দিকের চুল কমে গিয়ে প্রায় টাক হয়ে গেছে। আমি হোমিও চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। পত্রিকায় চুলের ওপর আপনার লেখাটি পড়েছি। তাই অনুগ্রহ করে অনিবার্য এবং টাক পড়ার হাত থেকে কিভাবে রক্ষা পেতে পারি তার পরামর্শ দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর : আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে যে, আপনার এটা বংশগত চুলপড়া। যাকে বলা হয় অহফৎড়মবহবঃরপ ধষড়ঢ়বরপধ তবুও আপনার যেকোনো একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে নেয়া ভালো। আর যদি একান্তই না দেখাতে পারেন, তা হলে গরহড়ীরফরষ দুই পারসেন্ট ঝড়ষঁঃরড়হ রোজ দুইবার মাথায় লাগাবেন। প্রতিবার এক গখ করে এবং অন্তত এক বছর পর্যন্ত লাগাবেন।
তুহিন : বয়স-২৭
সেক্টর-৭, উত্তরা
প্রশ্ন : আমার দীর্ঘ দিন ধরেই কুচকিতে চুলকানি হয়। ক্যানিসটিন মলম লাগাই, তাতে কমে যায় এবং কিছুদিন পর আবার দেখা দেয়। বিশেষ করে গরম কালে বেড়ে যায়। দু-একবার গ্রাইসোভিনও খেয়েছি, তাতে কমে আবার হয়? এ অবস্থায় কী করতে পারি জানালে খুবই কৃতজ্ঞ হবো?
উত্তর : এটি একটি ছত্রাকজনিত চর্মরোগ। এটাকে বলা হয় ঞওঘঊঅ ঈজটজওঝ গরমকালে কুচকিতে ঘাম জমে স্থানটি ভিজে থাকে বলে ওখানটায় গরমকালে এটি দেখা দেয়। আপনি এ ক্ষেত্রে ঞধন ঘরফড়ারহ ৫০০ সম রোজ একটি করে একবার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত খাবেন এবং সেই সাথে ঘবড়ংঃবহ পৎবধস দৈনিক তিনবার লাগাবেন। রোজকার ব্যবহৃত জাইঙ্গা, লুঙ্গি ও প্যান্ট প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ধুয়ে ফেলতে হবে, তা না হলে এটা চলে যাবে কিন্তু অবশ্যই দু-এক মাস পর আবার দেখা দেবে।
জাফর : বয়স-৩৫
তেজকুনি পাড়া, ঢাকা।
প্রশ্ন : আমার অনেক আগে একটি ফোঁড়া হয়েছিল। স্থানীয় ডাক্তার সেটা কেটে পুঁজ বের করে দিয়েছিল এবং সাথে ওষুধও দিয়েছিল। তাতে আমি ভালো হয়ে যাই, কিন্তু অনেক দিন হলো সেই স্থানটির চামড়া শক্ত ও উঁচু করে কালো রঙের হয়ে গেছে এবং প্রচুর চুলকায়। এ অবস্থায় আমার করণীয় কী, জানালে খুবই কৃতজ্ঞ হবো?
উত্তর : আপনার কিলয়েড (কবষড়রফং) হয়েছে। এই অবস্থায় আপনি স্থানিকভাবে ট্রাইয়ামসোলন (১০-৪০ মিলিগ্রাম/এমএল) ব্যবহার করবেন প্রতি মাসে একবার, পরপর কয়েক মাস। তা হলে আকারে ও আয়তনে এটা কমে যাবে এবং সেই সাথে চুলকানিও কমে যাবে। আর একটা কথা এটার জন্য কোনো অবস্থাতেই আপনি অপারেশনে যাবেন না, তাতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।
নিয়াজ মোর্শেদ : বয়স-৪০
আলেকান্দা, বরিশাল
প্রশ্ন : গরমকাল এলেই আমার সারা শরীরে ছুলি বা ছলম হয়। শীতকাল এলে আবার এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এর থেকে সম্পূর্ণভাবে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কী?
উত্তর : ভাই নিয়াজ সাহেব, আপনি ঠিকই বলেছেন, এই রোগটি গরমকালেই বাড়ে। এটি একটি ছত্রাকজনিত চর্মরোগ। আপনি এর জন্য (২.৫ শতাংশ) ঝবষবশরঁস ঝঁষভরফব ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের আগে ২০ মিনিট গায়ে মেখে গোসল করে ফেলবেন একটানা দুই সপ্তাহ। তারপর প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করবেন অন্তত গরমকাল না যাওয়া পর্যন্ত।
সেলিনা আক্তার শিমু
পূর্ব কাজীপাড়া, ঢাকা।
প্রশ্ন : আমার মুখের ত্বক খুব শুষ্ক ও রুক্ষ। সাবান ব্যবহার করলে রুক্ষভাব আরো বেশি ফুটে উঠে। এই অবস্থায় আমার কী সাবান ব্যবহার করা উচিত। যদি উচিত হয় তা হলে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত।
উত্তর : আপনার ত্বক যেহেতু রুক্ষ ও শুষ্ক তাই আপনার ত্বকে সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। তবে সাবান যদি ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন। সে ক্ষেত্রে গ্লিসারিন সোপ বা ঙরষধঃঁস ঝড়ধঢ় ব্যবহার করা যেতে পারে। রুক্ষ ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা ভালো তাতে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতার ভাব কমে।
শাহিন মিয়া
ভূঁইঘর, থানা-ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
প্রশ্ন : আমার বয়স ২০। বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি, মাথায় প্রচুর মরা চামড়া। কেউ কেউ বলছেন এটাই নাকি খুশকি এবং এই খুশকি নাকি ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের কারণে হয়। এ ক্ষেত্রে যদি সত্যিই ফাঙ্গাসের কারণে খুশকি হয় তা হলে আমার করণীয় কী?
উত্তর : হ্যাঁ। মাথায় মরা চামড়া উঠাকেই সাধারণভাবে খুশকি বলে ধরে নেয়া হয় এবং ছত্রাকের কারণে খুশকি কিন্তু হতেই পারে। এক জাতীয় ছত্রাক যার নাম পিটাইরোস্পোরোন যা কি না কম-বেশি পরিমাণ সবার ত্বকেই থাকে, তা খুশকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। তাই এ জাতীয় ছত্রাককে কমাতে পারলে খুশকির পরিমাণও কমে যায়। এই জাতীয় ছত্রাকের বিরুদ্ধে সেলসান ব্লু শ্যাম্পুর ভূমিকা আছে। তাই এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
তানিয়া ইসলাম
বেনাপোল, শার্শা, যশোহর।
প্রশ্ন : আমার চোখের পাপড়ির গোড়ায় সাদা খুশকির মতো হয়। সেই সাথে কিছু কিছু পাপড়ি ঝরে পড়ে যাচ্ছে এবং সামান্য কিছুটা চুলকায়। এর জন্য ডাক্তারও দেখিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই খুব চিন্তায় আছি। কী করলে ভালো হতে পারে জানাবেন।
উত্তর : হ্যাঁ, চোখের পাপড়ির এই রোগটিকে বলা হয় সেবোরিক ব্লেফরাইটিস। এর জন্য সপ্তাহে দু-তিনবার যেকোনো একটি ভালো বেবি শ্যাম্পু দিয়ে চোখের পাপড়ি ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং নিজোরাল নামক ক্রিমটি রোজ একবার দুই মাস পর্যন্ত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ষ ডা: দিদারুল আহসান
লেখক : চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ, আলরাজি হাসপাতাল, ১২, ফার্মগেট, ঢাকা। যোগাযোগ : ০১৭১৫৬১৬২০০

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল