২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পু ষ্টি ত থ্য

-

আমলকীর পুষ্টিগুণ

আমলকী একটি অতিপরিচিত ফলের নাম। এ ফলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এ ফল বাংলাদেশে প্রচুর ফলে। আমলকীর গুণাগুণ যথেষ্ট রয়েছে।
গুণাগুণ : আমলকী মোরব্বা, আচার এবং বিবিধ দেশীয় আয়ুর্বেদীয় ও হেকিমি ওষুধ প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়। এটা ব্যবহারের মধ্যে কালো চুলের কলপ প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞানীরা আমলকী পুষ্টির বিশ্লেষণ করে বলেছেন, এ ফলে প্রচুর খাদ্য উপাদান ছাড়া ভিটামিন- সি-এর ভাগ বেশি। জলীয়বাষ্প ৮১.২, প্রোটিন ০৫, স্নেহ ০.১, আমিষ ০৯, শ্বেতসার ৬.৯, চর্বি ০.১, শর্করা ১৪.১, ক্যালসিয়াম ০.০৫, ফসফরাস ০.০২, লৌহ ১.২৪ ও প্রতি ১০০ গ্রাম ভিটামিন বি-১-০.০২ মিলিগ্রাম সি ৪৬৩ মিলিগ্রাম ও খাদ্যশক্তি ৯৬ মিলিগ্রাম।
আমলকী মহৌষধ : নিয়মিত আমলকী খেলে সাধারণত অজীর্ণ অম্লপিত্ত, শ্বেতপ্রদর, আমাশয়, অনিদ্রা, দৃষ্টিহীনতা, শ্লেষ্মা, লিভার অসুখে মহৌষধি রূপে ব্যবহৃত হয়। ফলের নির্যাস থেকে তৈরি করা তেল চুল ওঠা বন্ধ করে। চুল কালো হয় ও খুসকি দূর করে। শুকনো ফল ভিজিয়ে শ্যাম্পুর মতো ব্যবহারে মাথা পরিষ্কার হয়। একটানা ৪০ দিন এই ফল খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
গাজরের পুষ্টিগুণ

গাজরের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আর এ গাজরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবাই অবগত। কিন্তু এটা হয়তো অনেকেই জানি না, নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ গাজর খাদ্যতালিকায় থাকলে তা আমাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ শাকসবজি, মিষ্টিকুমড়া ও গাজর নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত মানেই ক্যান্সার প্রতিরোধ। গাজরে রয়েছে রাসায়নিক উপাদান লাইকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক কমিয়ে দেয়। এ লাইকোপেন দেহকোষ থেকে বিষাক্ত ফ্রি রেডিক্যাল সরিয়ে প্রোস্টেট ক্যান্সারসহ মূত্রথলি ও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। অতএব বেশি করে গাজর খান। সাথে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি। জানেনই তো প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।
ষ নবীন চৌধুরী


আরো সংবাদ



premium cement