২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হৃদরোগীরা কি গোশত খেতে পারবে?

হৃদরোগীদের গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে - ছবি : সংগৃহীত

আমরা জানি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা হার্টের রোগীদের রেড মিট বা গরু, খাসি, ভেড়া ইত্যাদির গোশত খেতে বারণ করে থাকেন। গোশত খাওয়ার ব্যাপারে কারা বেশি সতর্ক হবেন? কাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের গোশত এড়িয়ে চলা ভালো? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, তারাই গরু-খাসির গোশত বা রেড মিট এড়িয়ে চলবেন যাদের ওভার ওয়েট বা ওজন বেশি, হাই বা উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল আছে। বিশেষ করে যাদের ২০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল আছে। তাদের জন্যই এ ধরনের গোশত নিষেধ। অনেকের জন্য কোরবানির গোশত বা রেড মিট খাওয়া নিষেধ নয় বা নিরাপদ নয় বা নিরাপদে খেতে পারে, বিশেষ করে যাদের লো কোলেস্টেরল, লো বডি ওয়েট (শরীরের ওজন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম) তাদের জন্য নিষেধের কোনো ব্যাপার নেই।

ধরুন কারো কোলেস্টেরল ১৩ তার জন্য গরু-খাসির গোশত কোনো সমস্যা নয়। কোরবানির গোশত মানেই তো রেড মিট। আমরা অনেক সময় শুনি একটা বয়সের পর রেড মিট কম খাওয়া উচিত বা খাওয়ার ব্যাপারে বাছবিচার করা উচিত। এই রেড মিট খাওয়ার ব্যাপারে বয়সের একটা ভার বোধ আছে। চল্লিশের পর রেড মিট খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। বুঝে শুনে খাওয়া উচিত। আর চল্লিশের পর সবারই কোলেস্টেরল চেক করা উচিত। বিশেষ করে ফ্যামিলির যদি কারো হাই কোলেস্টেরল থাকে তখন কোলেস্টেরল চেক করে নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের মাত্রা বুঝে খেতে হবে। হাই কোলেস্টেরল হলে এড়িয়ে চলবেন, লো হলে খেতে পারবেন।

যাদের হাই কোলেস্টেরল বা ওভার ওয়েট (স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ওজন বেশি) তাদের জন্য কোরবানির গোশত বা রেড মিট খাওয়া একেবারে নিষেধ নয়। তবে একটু কেয়ারফুল হওয়া বা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

তারপরও কোরবানির গোশত গ্রহণের ব্যাপারে অনেকেই খুব বাড়াবাড়ি নিষেধ করে থাকেন, আমি কোরবানির গোশত খাওয়াটা কোনোভাবেই একটা নিষেধের বেড়াজালে আটকাতে চাই না। তবে যাদের হাই কোলেস্টেরল আছে, তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। যিনি হাই কোলেস্টেরল নিয়ে এ ধরনের গোশত খাবেন তাকে মনে রাখতে হবে, তিনি যেটুকু খেলেন সেটাকে বার্ন আউট করতে হবে। অর্থাৎ বাড়তি এই কোলেস্টেরলকে ব্যবহার করে ফেলতে হবে।

এজন্য একটু বেশি হাঁটতে হবে। বাড়তি ব্যায়াম করতে হবে। বিষয়টি হচ্ছে কোলেস্টেরল সারপ্লাস হলেই সেটি রক্তনালির ভেতরের দেয়ালে জমে ও সমস্যা সৃষ্ট করে। কারো শরীরে কোলেস্টেরল কম থাকলে, তার তো আর কোরবানির গোশত খাওয়ার পর সারপ্লাস হওয়ার সুযোগ নেই। আর যারা কোলেস্টেরল লোয়ারিং ড্রাগ কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খাচ্ছেন তাদের তো বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এমন অনেকেই আছেন রেড মিট খাওয়া নিষেধ, হার্টে হয়তো কিছুটা ব্লক আছে কিংবা স্টেনটিং করা হয়েছে এ ধরনের রোগীদের অনেক সময় আত্মীয়-স্বজনেরা আশ্বস্ত করার জন্য বলে থাকেন, কোরবানির গোশত একটু করে খেলে বিশেষ কিছু হবে না। এ সম্পর্কে মন্তব্য হচ্ছে, এগুলো আসলে উভয়পক্ষ থেকেই অতিরঞ্জিত করে বলা হয়।

লেখক : অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ, মানিকগঞ্জ। চেম্বার : কেসি হাসপাতাল, দক্ষিণখান।
ফোন : ০১৮১৯২৫১১৪১


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল