১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ট্রোক-হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে এ সবজিটি খান

গাজর - সংগৃহীত

গাজর, এমন একটি সবজি যার রয়েছে অনেক গুণ। এর শাকও অনেক উপকারি। যদিও আমরা এখনো গাজরশাক খেতে অভ্যস্ত নই। গাজরশাক মুলাশাকের মতোই।

গাজর ভিটামিন ‘এ’তে পরিপূর্ণ। শীতকালে আমরা লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, কলমিশাক প্রভৃতি বেশি খাই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলেন, শীতের শাকসবজির চেয়ে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ক্যারোটিন’ সমৃদ্ধ গাজর সর্বশ্রেষ্ঠ সবজি।

কাঁচা, রান্না ও সালাদ- যেকোনোভাবেই গাজর খাওয়া যায়। গাজর রাতকানা রোগ ও শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। মেয়েদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত সহায়ক। স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বলেছেন, সপ্তাহে পাঁচ দিনই প্রতিদিন মধ্যম আকারের পাঁচটি গাজর খেলে মহিলাদের পাঁচ শতাংশ ও পুরুষদের ১০ শতাংশ কোলেস্টেরল কমে যায়। এতে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বিটাক্যারোটিন, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে গাজর। বৃদ্ধদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে গাজর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কেননা, এতে রয়েছে লিউসিন ও অ্যামিনো এসিড। যাদের গ্যাসট্রিক-আলসার আছে, তারা কাঁচা গাজর চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এতে আরো আছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন, যা অন্যান্য সবজির চেয়ে অনেক বেশি।

গাজরে রয়েছে নিম্নবর্ণিত পুষ্টি উপাদান। ১০০ গ্রামে-

জলীয় অংশ- ৮৫.০ গ্রাম
আমিষ- ১.২ গ্রাম
শর্করা- ১২.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম- ২৭.০ গ্রাম
আয়রন- ২.২ গ্রাম
ক্যারোটিন (বিটা-২)- ১০৫২০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি-১- ০.০৪ মিগ্রা.
ভিটামিন সি- ১০ মিগ্রা.
খনিজ- ০.৯ মিগ্রা.
খাদ্যশক্তি- ৫৭ কি. ক্যালোরি

 

যেসব খাবার শিশুর উচ্চতা বাড়ায়

ডা: মৌসুমী রিদওয়ান

লম্বা মানুষ তা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সবাই পছন্দ করে। উচ্চতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে অনেকখানি। আবার যেকোনো পোশাকে মানিয়েও যায় খুব সহজে। উচ্চতা অনেকখানি নির্ভর করে জিনের উপর। তাই সন্তানের উচ্চতা নিয়ে বাবা মায়ের চিন্তার সীমা থাকে না। বংশগতির পাশাপাশি উচ্চতা ডায়েটের উপরও নির্ভর করে থাকে অনেকখানি। কিছু খাবার আছে যা আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।

ডিম
প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনার সন্তানকে লম্বা করতে। প্রতিদিন একটি ডিম খাদ্য তালিকায় রাখুন। তা সিদ্ধ হতে পারে আবার ওমলেট করেও খাওয়াতে পারেন।

দুধ
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেলসহ অনেকগুলো ভিটামিন পাওয়া যায় এক গ্লাস দুধে। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে তোলে। আপনার শিশুটি যদি ২ বছরের নিচে হয় তবে ফুল ক্রিম দুধ খাওয়াবেন। দুধে থাকা ফ্যাট তার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। টকদই এবং পনির দুধের পরিবর্তে খাওয়াতে পারেন।

সয়াবিন
সয়াবিন আপনার শিশুর হাড় এবং পেশি মজবুত করে তোলে। এর সাথে এটি উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে থাকে। সয়াবিন সবজির মতো করে রান্না করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারবেন।

মুরগির গোশত
মুরগির গোশত প্রায় সব শিশুর অনেক পছন্দ। খাবারের তালিকায় এই খাবারটি রাখুন। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তবে প্রতিদিন মুরগির গোশত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না করাই ভালো।

পালংশাক
পালংশাককে সুপার সবজি বলা হয়ে থাকে। এটি আপনার শিশুর হাড় মজবুত করার পাশাপাশি আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শিশুকে লম্বা করতে সাহায্য করে থাকে।

গাজর
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই সবজিটি প্রোটিন সমন্বন করতে সাহায্য করে। গাজর রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়া বেশ উপকারী। কাঁচা গাজর সালাদ অথবা রস করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

ফল
ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবাই জ্ঞাত। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ফল যেমন মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, টমেটো, কলা, পিচ ফল ইত্যাদি উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এই ফলগুলো নিয়মিত আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন।


আরো সংবাদ



premium cement