১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শরীরে পানি জমা

সবচেয়ে বেশি পানি জমে পায়ের পাতা বা পায়ে, যাকে বাইরের (peripheral) EDEMA বলে - সংগৃহীত

মানবদেহে ত্বকের নিচে অথবা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মাঝে অস্বাভাবিক পানি জমা হলে তাকে (EDEMA) বলে। সাধারণত শরীরে তরলের পরিমাণ, অর্থাৎ কতটুকু তরল তৈরি হলো বা এই তরলের কতটুকু বের হয়ে গেল- এর সমতার ওপর নির্ভর করে (EDEMA) তৈরি হয়। হার্টে প্রতি মিনিটে ৫ লিটার রক্ত পাম্প করে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় এবং প্রতিবার পাম্প করে ৭০ মিলি রক্ত হার্ট থেকে বের হয়ে শরীরে ছড়িয়ে যায়। যখন হার্ট ফেইলিউর দেখা দেয় তখন হার্ট এভাবে স্বাভাবিক কাজ করতে না পারায় রক্ত পরিসঞ্চালন ঠিক থাকে না। ফলে রক্তের তরল অংশ পায়ে জমে Edema এবং ফুসফুসে জমা হয়ে Pulmonary edema করে।

হার্ট প্রতি মিনিটে যে ৭০ মিলি রক্ত বের করে তার মধ্যে ২৫ শতাংশ প্রতি মিনিটে কিডনিতে পৌঁছে এবং মিনিটে ৩০-৭০ মিলি স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব তৈরি হয়। হার্ট দুর্বল হলে কিডনিতে রক্ত কম পৌঁছে, তখন কিডনি তরল ও লবণ বেশি ধরে রাখে। ফলে শরীরে তরল জমার পরিমাণ বেড়ে যায়।

মানবদেহের সম্পূর্ণ ওজনের ৬০ শতাংশ পানি। কিন্তু নবজাতক ও পুরুষদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ আরো বেশি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে কম (কারণ, চর্বি বেশি থাকায় মহিলাদের পানি কম থাকে)। এই পানির ২৩ অংশ শরীরের কোষের ভেতর থাকে এবং ১৩ অংশ কোষের বাইরে থাকে।

শরীরে পানি জমার স্থান
সবচেয়ে বেশি পানি জমে পায়ের পাতা বা পায়ে, যাকে বাইরের (peripheral) EDEMA বলে। শরীরের বেশির ভাগ তরল কোষের বাইরে দুই স্থানে জমা থাকে- রক্তনালীতে এবং কোষ ও রক্তনালীর বাইরে (Interstitial space)। বিভিন্ন অসুখে এই দুই স্থানের একটি বা উভয় স্থানে তরল জমা হয়। ফুসফুসের (Alveoli) মধ্যে তরল জমা হওয়াকে Pulmonary EDEMA বলে। পেটের মধ্যে Peritoneum-এর ভেতরে বেশি তরল জমা হওয়াকে Ascites বলে।

ফুসফুসের আবরণীর ভেতর তরল জমা হওয়াকে Pleural Effusion বলে।
শরীরের বিভিন্ন অংশে অধিক পরিমাণে তরল জমা হলে তাকে Anasarca বলে।

পানি জমা কত প্রকার?
১)Pitting Edema : আঙুলে চাপ দিলে ফোলা জায়গায় ত্বকে টোপ পড়লে বা গর্ত হলে তাকে Pitting Edema বলে। অর্থাৎ
আঙুলের ছাপ ছেড়ে দেয়ার পরও যদি কিছুক্ষণ এই টোপ পড়া থেকে যায় তখনই এ ধরনের Edema হয়।

এই পানি জমা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অসুখ বা হাত-পায়ের অসুখে হয়ে থাকে। যেমন- হৃৎপিণ্ড, লিভার ও কিডনির অসুখ শরীরে লবণ জমে পানি ধরে রাখে এবং এই পানি বিভিন্ন স্থানে শরীরের ত্বকের নিচে ও বিভিন্ন অঙ্গে জমে Edema হয়ে থাকে।
শরীরে ছোট কোনো অংশে Edema-এর কারণ-

সবচেয়ে বেশি হচ্ছে Varicose Vein এবং Thrombophlebitis (শিরায় প্রদাহ)। যার ফলে অপর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করার জন্য পানি কোষের বাইরে কলার মধ্যে জমা হয়ে Edema হয় এবং সাধারণত সীমাবদ্ধ থাকে।

২) Non-Pitting Edema : সাধারণত পা ও বাহুতে হয়ে যাকে, যখন ত্বকে আঙুলের চাপ দিলেও টোপ বা গর্ত হয় না। কারণ, Lymphedema- লসিকাগ্রন্থির চলাচলে যেমন Mastectomy-এর পরে, লসিকাগ্রন্থির সার্জারি বা জন্মগতভাবে এই Edema হতে পারে। Pretibial Myxedema-তে ত্বকের ওপর ফুলে যায়, যা Hypothyroidism-এ (Thyroid hormone-thyroxine স্বল্পতা) হয়ে থাকে।

অন্যান্য কারণ
রক্তে অ্যালবুমিন কমে যাওয়া- অ্যালবুমিন ও অন্যান্য আমিষ রক্তে কমে গেলে শরীরে পানি জমে যায়, কেননা এই আমিষই শরীরে রক্তনালীতে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেমন- কিডনির অসুখ Nephrotic syndrome-এ প্রস্রাবে আমিষ বের হয়ে যায় এবং লিভার অকার্যকর হলে আমিষ তৈরি হতে না পারায় রক্তে আমিষের মাত্রা কমে যায়।

অ্যালার্জি : বেশির ভাগ অ্যালার্জিতে রক্তনালী থেকে তরল বের হয়ে আশপাশে জমা হয়ে থাকে।

রক্তপ্রবাহে বাধা : শরীরের কোনো অংশে রক্তপ্রবাহে বাধা পেলে পানি পেছনে ফিরে আসে। পায়ের গভীর শিরায় রক্ত জমা হলে পায়ে পানি জমা হয়। কোনো টিউমার লসিকা বা রক্তপ্রবাহে বাধা দিলে ওই স্থানে পানি জমে যায়।

মারাত্মক অসুস্থতা : পোড়া, মারাত্মক জীবাণু সংক্রমণ বা অন্য কোনো ভয়ানক অসুস্থতা সমস্ত শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে শরীরের প্রায় সব অংশে পানি জমে।

হার্ট ফেইলিউর : হার্ট দুর্বল হলে রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা পুরো কার্যকর থাকে না। ক্রমান্বয়ে তরল জমা হয়ে পানি জমে পা ফুলে যায়। কিন্তু এই পানি জমা যদি দ্রুতগতিতে হয়, তবে ফুসফুসে পানি জমে, যাকে Pulmonary Edema বলে।

গর্ভাবস্থায় : রক্তে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পায়ে পানি দেখা দেয়। তা ছাড়া গর্ভকালে মারাত্মক দু’টি প্রতিক্রিয়া, যেমন- Deep Vein Thrombosis এবং Pre-Eclampsia হলেও পানি জমা হতে পারে।

মস্তিষ্কে পানি জমা : মাথায় আঘাত পেলে, রক্তে সোডিয়াম কমে গেলে, উচ্চ স্থানে যেমন- পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে, মস্তিষ্কে টিউমার হলে বা তরল নিষ্কাশনে বাধা পেলে (Hydrocephalous) মস্তিষ্কে পানি জমা হতে পারে। ফলে মাথাব্যথা, প্রলাপ বকা ও জ্ঞান লোপ পেতে পারে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
কিছু কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় শরীরে পানি জমতে পারে। যেমন- NSAID (Ibuprofen, Naproxen ইত্যাদি ব্যথানাশক), Calcium Channel Blocker, steroid (prednisolone, Methyl prednisolone), Pioglitazone (Anti diabetic), তবে এসব ক্ষেত্রে পানি জমার পরিমাণ খুব কম থাকে।

লবণ গ্রহণ কিভাবে Edema তৈরি করে?
মানবদেহে লবণে ভারসাম্য- সাধারণত লবণ গ্রহণ কম-বেশি হলেও সুস্থ শরীর সহজেই তা নিয়ন্ত্রণ করে পানি জমা হতে দেয় না। খাদ্যের মাধ্যমে শরীর লবণ গ্রহণ করে এবং কিডনির সাহায্যে তা সহজে বের করে দেয় প্রস্রাবের সাথে, যা সঙ্কেত প্রদান করে- শরীরে লবণ রাখতে হবে না বের করে দিতে হবে। হার্ট ফেইলিউর হলে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যায়, ফলে কিডনি শরীরে লবণ ধরে রাখে। কেননা কিডনি চায় শরীরে বেশি পানি ধরে রাখতে যেহেতু হার্ট কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়। কিডনির অসুখে কিডনির কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে প্রস্রাবে লবণ নিঃসরণ কমে যায়। উভয় ক্ষেত্রে শরীরে লবণ বৃদ্ধি পায়, যা পানি ধরে রাখে এবং Edema তৈরি করে।

হার্টের অসুখে শরীরে পানি জমে কেন?
হার্ট ফেইলিউরে হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যায়, ফলে হার্ট পাম্প করে রক্ত যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ করতে পারে না। হার্ট ফেইলিউর হওয়ার কারণগুলো হচ্ছে হার্টের মাংসপেশির দুর্বলতা বা হার্টের ভাল্বের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়া। তাই কম রক্ত হার্ট থেকে বের হওয়ার অর্থ হচ্ছে, কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া। ফলে কিডনি ধরে নেয় যে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমেছে- তখন কিডনি লবণ ও পানি ধরে রাখে। হার্ট ফেইলিউরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে তরল জমে। যেমন- Pulmonary edema, pleural effusion, ascites এবং পায়ে পানি জমা।

শরীরে পানি বৃদ্ধির ফলে ফুসফুসে পানি জমে এবং তাতে শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসের ছোট ছোট বাতাসভর্তি থলিতে (Alveoli) পানি জমে গেলে তাকে পালমোনারি Edema বলে এবং সাথে সাথে পায়েও পানি জমে।

বাম হার্ট ফেইলিউরের প্রধান কারণ হচ্ছে, দুর্বল বাম Ventricle, যার কারণ করোনারি হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ বা হার্ট ভাল্বের অসুখ। এ ক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় পরিশ্রম করলে বা রাতে যখন শুয়ে থাকে। কারণ একটাই, রক্ত জমা হয় ফুসফুসের রক্তনালীতে। ডান হার্ট ফেইলিউরের প্রধান কারণ হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের অসুখ যেমন- এমফাইসিমা , যা প্রথমে লবণ ও পানি জমাতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু এভাবে যদি লবণ জমা চলতে থাকে, তবে রক্তনালীতে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।

কিন্তু হার্টের মাংসপেশির দুর্বলতার কারণে বাম ও ডান উভয় দিকের হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে রোগী প্রথমেই ফুসফুসে ও পায়ে একত্রে পানি জমা নিয়ে আসে।

লিভারের অসুখে পানি জমে কেন?
দীর্ঘস্থায়ী লিভারের অসুখে (হেপাটাইটিস বি, সি) লিভারে ফাইব্রোসিস দেখা দেয়, যা বেশি হলে তাকে সিরোসিস লিভার বলে। ফলে পেটের ভেতর অত্যধিক পানি জমে এবং পেট ফুলে যায়, যাকে Ascites বলে। দু’টি কারণে এই পানি জমে

• Portal hypertension- পাকস্থলী, অন্ত্রনালী, প্লীহা থেকে যে শিরাগুলো রক্ত প্রবাহিত করে নেয়, সেই শিরায় চাপ বৃদ্ধি পায়। প্লীহা বড় হয়, খাদ্যনালীর শিরা স্ফীত হয়। ফলে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটে।

• Hypoalbuminaemia- রক্তে আমিষ অ্যালবুমিনের পরিমাণ কমে যায়, কেননা অসুস্থ লিভার যথেষ্ট পরিমাণ অ্যালবুমিন তৈরি করতে পারে না। অথচ এই অ্যালবুমিনই রক্তের পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে পেটের পানি বের করে পরীক্ষা করে অন্যান্য কারণে পানি জমেছে কি না তা নির্ণয় করা সম্ভব। যেমন- ক্যান্সার, যক্ষ্মা, হার্ট ফেইলিউর ও কিডনিজনিত কারণে। এ ক্ষেত্রে Ascites-এর পানি Diuretics দিয়ে না কমলে বেশি পরিমাণ জমা তরল Paracentesis করে বের করে পরীক্ষা করা হয়।

কিডনির অসুখে পানি জমে কেন?

দু’টি কারণে কিডনির অসুখে পানি জমে।

প্রথমত, প্রস্রাবে অত্যধিক পরিমাণে আমিষ অ্যালবুমিন নির্গত হয়। যেমন- Nephrotic syndrome.

দ্বিতীয়ত, কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে। যেমন- স্বল্পস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি ফেইলিউর।

প্রথম কারণে কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক বা প্রায় স্বাভাবিক থাকে। দিনে তিন গ্রামের বেশি আমিষ প্রস্রাবে নির্গত হলে পানি জমে, এ অবস্থাকে নেফ্রোটিক সিনড্রোম বলে। ফলে রক্তে অ্যালবুমিন কমে যায়। এই অ্যালবুমিনই রক্তনালীতে রক্তের পানির পরিমাণ ঠিক রাখে, সেজন্য রক্তনালীতে তরলের পরিমাণ কমে যায়। কিডনি এ সময় ধরে নেয়, রক্তের পরিমাণ কমেছে বিধায় লবণ ধরে রাখে। ফলে পানি রক্তনালীর বাইরে জমা হয়ে Pitting Edema তৈরি করে।

দ্বিতীয় কারণ যাদের কিডনির অসুখ থাকে, যার ফলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যায়, তখন কিডনির প্রস্রাবের সাথে সোডিয়াম বের করার ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে লবণ বেশি হওয়ার জন্য শরীরে পানি জমা বেশি হয়ে থাকে। কিডনির কার্যক্ষমতা যখন স্বাভাবিকের থেকে ৫-১০ শতাংশে নেমে আসে অকার্যকর হয়ে যায়, তখন ডায়ালাইসিস (হেমো বা পেরিটনিয়াল) দিয়ে এই লবণের ভারসাম্য রক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না। তবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করেও একইভাবে শরীরে লবণের পরিমাণ ঠিক রেখে শরীরে পানি জমা ঠেকানো সম্ভব। এ দুই প্রকার ব্যবস্থায় এখন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে অকার্যকর কিডনির চিকিৎসা করা যায়।

Edema-এর চিকিৎসা সাধারণত লবণ খাওয়া কমানো ও Diuretic দিয়ে প্রস্রাব বাড়িয়ে (পানি কমানো ওষুধ) করা হয়।

শরীরে পানি কমানোর ওষুধ (Diuretic) দীর্ঘ দিন খেলে কী কী অসুবিধা হতে পারে?
১. শরীরে পটাশিয়াম কমতে পারে।
২. রক্তনালীতে রক্তের পরিমাণ কমতে পারে।
৩. কিডনির কার্যকারিতা কমতে পারে বা বিকল হতে পারে।
৪. অন্যান্য- রক্তে সুগার বৃদ্ধি, ইউরিক এসিড বৃদ্ধি, মাংসে ব্যথা এবং স্তন বড় হতে পারে (Gynecomastia) ও অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ হতে পারে।

কারণ নির্ণয়ে কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়?

সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা
• CBC
• BLOOD UREA,
• S.CREATININE
• LFT
• URINE R/M/E I
• CHEST X-RAY Whole Abdomen Ultrasonogram
• BLOOD CULTURE Sensitivity

বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা
১. হার্টের কারণে পানি জমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা :
• বুকের এক্স-রে
• ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম
• ইকোকার্ডিওগ্রাম
• ট্রপোনিন আই
• বিএনপি ইত্যাদি

২. কিডনির কারণে পানি জমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা :
• রক্তে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন
• প্রস্রাব পরীক্ষা- অ্যালবুমিন নির্গত হচ্ছে কি না
• রক্তের অ্যালবুমিন মাত্রা
• কিডনি বায়োপসি
• কিডনির আলট্রাসনোগ্রাম

৩. লিভারের অসুখে পানি জমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা :
• লিভার ফাংশন টেস্ট
• রক্তে আমিষ ও অ্যালবুমিনের মাত্রা
• আল্ট্রাসনোগ্রাম (লিভারের অবস্থা ও পেটে পানি আছে কি না)
• হেপাটাইটিস বি ও সি, যা লিভারে সিরোসিস ও ক্যান্সার করতে পারে।
• এন্ডোস্কোপি (Esophageal Varices. পেলে লিভার সিরোসিস হতে পারে )
• পেটের পানি (Ascites) বের করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। পেটের যক্ষ্মা, ক্যান্সার, সিরোসিস পার্থক্য করা যায়।
• ফাইব্রোস্ক্যান লিভার (সিরোসিস নির্ণয় করা যায়)

৪. পায়ের গভীর শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে প্রবাহে বাধা সৃষ্টি (DVT) হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা :
• কালার ডপলার (রক্তপ্রবাহে বাধা নির্ণয় করা যায়)
৫. ফুসফুসের কারণে ফুসফুসের আবরণী পর্দার ভেতরে পানি জমা হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা :
• ফুসফুসের যক্ষ্মা, ক্যান্সার (বুকের এক্স-রে)
• কফে যক্ষ্মার জীবাণু পরীক্ষা
• ফুসফুসের পানি বের করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও Pleural বায়োপসি করা।

৬. থাইরয়েড সমস্যায় পানি জমার কারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা :
• T3, T4,TSH (Hypothyroidism নির্ণয় করা সম্ভব )

৭. মহিলাদের গর্ভধারণে পরীক্ষা :
• প্রেগন্যান্সি টেস্ট

৮. মাথার ভেতরে পানি জমার পরীক্ষা :
• সিটি স্ক্যান (মস্তিষ্কে টিউমার ও Hydrocephalus)
৯. উপরি উক্ত যেসব ওষুধ খেলে পানি জমে সেগুলো খেলে পানি জমতে পারে। তাই ওষুধের ইতিহাসও জানতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল