২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নিমের উপকারিতা

-

প্রাচীনকাল হতে, মানুষ রোগ আরোগ্যের জন্য ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে আসছে। কোন উদ্ভিদের রোগ নিরাময় ক্ষমতা থাকলে তাকে ভেষজ উদ্ভিদ বলে। এ ছাড়া উদ্ভিদ মানুষের জীবনে উপকার হিসেবেই কাজ করে আসছে। যেমন নিম গাছ, নিম গাছের সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত আছে। বাংলায় যেমন নিম বা নিম গাছ, হিন্দি ও উর্দুতে নিম এবং সংস্কৃতে নিম নামে পরিচিত, বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাজাডিরাকটা ইনডিকা (অুধফরৎধপযঃধ রহফরপধ অুঁংং) মেলিয়েসি গোত্রের।
নিম গাছের উপকারিতা- খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ৪০০ সালে বৈদিক যুগে নিম জীবাণু ধবংসকারী হিসেবে প্রয়োগ হতো। ক্ষয় রোগ, কৃমি প্রভৃতি রোগে নিমের উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়। দূষিত বায়ু বা অন্য কোনো কীটের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে এর ভূমিকা আছে।
নিম গাছের গুণাগুণ- নিমের ছাল অজীর্ণ রোগে ৪-৫ গ্রাম নিমের ছাল ১ কাপ গরম জলে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়। যেকোনো বয়সে স্বপ্নদোষে নিমের ছালের রস ২৫-৩০ ফোঁটা কাঁচা দইসহ সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। গায়ে চুলকানি বা শরীরে সর্বদা চুলকায় সে ক্ষেত্রে শুকনা নিমপাতা তেলে ভেজে ভাতের সাথে খেলে সপ্তাহ মধ্যে এ অসুবিধা থাকে না। গুঁড়ো কৃমি- ৫-৭টি নিমপাতার গুঁড়ো করে খেলে ফলদায়ক হয়। নিম ফুল- রাতকানা রোগে নিমের ফুল ভেজে খেলে এ অসুবিধা থাকে না। দীর্ঘদিনের ক্ষতে নিমের ছাল জ্বাল দিয়ে কাথ করে খেলে ক্ষতের আরোগ্য হয়।
বেশি বমি হলে ৫-৭ ফোঁটা নিম পাতার রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বমিভাব থাকে না।
৩-৪টি নিমপাতা ও ১ গ্রাম কাঁচা হলুদ এক সাথে বেটে খালি পেটে খেলে প্রস্রাব ও সেই সাথে চুলকানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যে সমস্ত বহুমূত্র রোগীর গায়ের ঘা সারতে চায় না সে ক্ষেত্রে নিমের বাটা দেড় গ্রাম মাত্রায় দুধের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এক গ্রাম নিমের ছাল, অর্ধ গ্রাম কাঁচা হলুদ ও একগ্রাম আমলকীর গুঁড়ো সকালে খালি পেটে সপ্তাহ খেলে যকৃতের ব্যথা উপশম হয়।
মোট কথা নিমগাছ যে বাড়ির আঙ্গিনায়
থাকে রোগ বালাই কম থাকে বলে ধারণা করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement