২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ত্বকের যতেœ কিছু কথা

-

ত্বককে সুন্দর তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে হলে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে ত্বক বুড়িয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে একটি ছাতা বা টোকাজাতীয় টুপি ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা এগুলোকে রুচিসম্মত মনে না করেন, তারা যেকোনো একটি উৎকৃষ্ট সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কোনো সানস্ক্রিন আপনি ব্যবহার করবেন? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ত্বকের রঙ বিবেচনায় আনতে হবে। যে ত্বকের রঙ যত সাদা সে ত্বক সূর্যালোকে তত বেশি নাজুক। মনে রাখতে হবে, সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম কেবল সূর্যের ‘বি’ অতি বেগুনি রশ্মিকেই প্রতিহত করতে সক্ষম। আর একটি কথা, বাজারে অনেক রকমের সানস্ক্রিন আছে এবং তাতে সান প্রটেকশন ফ্যাক্টরও উল্লেখ করা আছে। যেমন সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর আছে ১৫, ৩০, ৪৫, ৬০ ইত্যাদি। আমাদের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, তা ১৫ এর নিচে যেন না হয়; আবার ৩০ এরও বেশি ব্যবহারের কারণও সুস্পষ্ট নয়। ত্বকের জন্য এসপিএফ ৮ থেকে ১২ হলেই যথেষ্ট। কারণ কালো ত্বকের গায়ে যে মেলানিন নামক পদার্থ থাকে সেটাই প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। এবার আসা যাক সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বর্ষা আর গরমকালে দিনে সাবান ব্যবহার করাই উত্তম। তবে সাবান যেন বেশি ক্ষারযুক্ত না হয়, সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ক্ষার ত্বকের ক্ষতি করে। সে ক্ষেত্রে ভালো কোনো বেবিসোপ বা গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনও অনেকে আছেন, যারা একদমই সাবান ব্যবহার করেন না। সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। কারণ এতে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ত্বকের কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজন। সে জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
গরমকাল এলে ঘামাচি হয় অনেকেরই। অনেকের জন্যই এটি একটি বিব্রতকর সমস্যা। চুলকানি ছাড়াও এতে ত্বক খসখসে হয়ে পড়ে। তাই ঠাণ্ডা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরের মধ্যে বাতাসের প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সার্বক্ষণিক একটি ফ্যানের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। যারা অর্থনৈতিকভাবে সামর্থ্যবান, তারা একটি এয়ারকুলার ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন, এসির নিচে থাকলে একদমই ঘামাচিমুক্ত থাকা সম্ভব। ঘামাচির প্রবণতা থাকলে গরমকালে কম ক্ষারযুক্ত সাবান দৈনিক দুইবার ব্যবহার করা ভালো।
ত্বকে অতিরিক্ত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে ত্বক মোটা ও খসখসে হয়ে যায়। ত্বককে শুষ্ক রাখা খুবই অপরিহার্য। আমাদের দেশে গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতা এমনিতেই বেশি। ঘামও হয় বেশি। ফলে পরিধেয় বস্ত্র খুব সহজেই ভিজে গিয়ে থাকে। মনে রাখবেন, ভেজা বস্ত্র পরে থাকলে ত্বকে দাদ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। তাই ঘামে বস্ত্র ভিজে গেলেই তা বদলে শুষ্ক ও পাতলা কাপড় পরে নিতে হবে। তা ছাড়া গোসলের পর দেহের ভাঁজগুলোতে যেন পানি জমে না থাকে সে ব্যাপারেও সচেষ্ট হতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেহের ভাঁজস্থানগুলোই ছত্রাক জন্মাবার উর্বর ক্ষেত্র। আর তার ওপর যদি থাকে ভেজা তা হলে তো কথাই নেই। তেল ব্যবহারের ব্যাপারেও সতর্ক হতে হবে। গরমকালে তেল ব্যবহার না করাই উচিত। পাউডার ব্যবহার করার প্রবণতা আছে আমাদের অনেকের মধ্যেই। দেহের ভাঁজযুক্ত স্থানগুলোতে পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ পাউডারের সাথে ঘাম মিশে একটি ভেজা স্যাঁতসেঁতে অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, যা কি না ছত্রাক জন্মানোর পক্ষে আরো সহায়ক হতে পারে। ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবার শীত কিংবা গ্রীষ্মে সব সময়ই খাওয়া উচিত।

লেখক : চর্ম, অ্যালার্জি ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার : আলরাজী হাসপাতাল, ১২ ফার্মগেট, ঢাকা। ফোন : ০১৮১৯২১৮৩৭৮


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে?

সকল