২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোনটি উপকারী : লালচে ডিম না সাদা ডিম?

কোনটি উপকারী : লালচে ডিম না সাদা ডিম? - ছবি : সংগৃহীত

সাদা ডিম না কি লালচে খোলার ডিম— কোনটা ভালো কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী— এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক বা মতের শেষ নেই। এমনিতেই ডিম প্রায় সব বাড়িতে প্রতি দিনই কম-বেশি প্রয়োজন পড়ে। বাড়িতে শিশু থাকলে তো কথাই নেই।

সন্তানকে ডিম দেয়ার সময় তাই অভিভাবকরা চিন্তায় থাকেন, আদৌ কোন ডিম কিনবেন। অনেকেরই ভাবনা লাল ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি, কেউ বা ভাবেন সাদা ডিমে।

তার আগে জেনে নিন কেন রঙের ফারাক হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ডিম পাড়ে সাদা পালকের মুরগিরা। লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি। এই দুই ধরনের মুরগির ক্ষেত্রে কি পুষ্টিগুণ বদলে যেতে পারে?

সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা চালালেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিজ্ঞানের ভিজিটিং ফেলো ট্রো ভি বুই এক দৈনিকে জানিয়েছেন, এই দুই ধরনের ডিমে পুষ্টিগত ভাবে বিশেষ কোনো তফাত নেই। তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন নিউ ইয়র্কের এক দল গবেষকও। তবে তাদের মতে, লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একটু বেশি রয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ এতই অল্প যে তাতে খুব একটা ফারাক পড়ে না।

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-র মতে, একটি বড় (৫০ গ্রাম ওজনের) ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে ১.৫ গ্রাম মাত্র দ্রবণীয়)। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক।

তবে সে কথায় খানিক ভিন্ন সুর মেশালেন পুষ্টিবিদ সুমিত ঘোষ। তার মতে, লাল ডিমে যত টুকু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি, সেটুকুও তো শরীরের পক্ষে লাভজনকই। তবে সে কথাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন দিল্লির পুষ্টিবিদ গীতা মালহোত্র। তার মতে, ওটুকু ফ্যাটি অ্যাসিড সেভাবে আলাদা করে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। সুতরাং, দু’ধরনের ডিমের খাদ্যগুণই যে প্রায় সমান— সে কথাই মেনে নিচ্ছে চিকিৎসা মহল।

পুষ্টিগুণ না হয় এক, কিন্তু স্বাদ? গবেষকদের মতে, ডিমের স্বাদ নির্ভর করে মুরগিকে কী ভাবে প্রজনন করানো হচ্ছে এবং মুরগির খাদ্যাভ্যাসের উপর। সুতরাং, লাল হোক বা সাদা— ভালোবেসে ডিম খান নিশ্চিন্তে।

ডিমের রঙের পার্থক্য হয় মুরগির নানা জাতের কারণে। সাধারণত সাদা মুরগির ডিমও সাদা হয়। লালচে কিংবা খয়েরি রঙ এর মুরগীর ডিম হয় লালচে রঙের।

অনেকেরই ধারণা সাদা ডিমের তুলনায় লাল ডিমের খোসা শক্ত। কিন্তু বাস্তবে ডিমের খোসা কতটুকু শক্ত হবে তা নির্ভর করে মুরগির বয়সের ওপরে। কম বয়সী মুরগি খোসা সাধারণত শক্ত হয়। বয়স বাড়তে বাড়তে ডিমের খোসা পাতলা হতে থাকে।

আরো পড়ুন

মেদ কমাতে কিছু পরামর্শ
ডা: রুমানা নুশরাত

সারা দিন ব্যস্ত থাকেন, ব্যায়াম কিংবা ডায়েট করার সময় নেই। ফলে হুহু করে বেড়ে চলেছে ওজন। আপনিও কি এই সমস্যায় আক্রান্ত? তাহলে জেনে রাখুন, সন্ধ্যা ও রাতের সময়টা মাত্র চারটি সহজ কাজ করেই কমাতে পারবেন বাড়তি ওজন। বাড়তি কোনো সময় লাগবে না, কাজের ক্ষতি হবে না। কেবল রপ্ত করে নিন কিছু সহজ অভ্যাস। আর এগুলোই আপনাকে খুব সহজে করে দেবে স্লিম ও সুন্দর।

হালকা নাশতার অভ্যাস
আমরা অনেকেই ডায়েট করছি ঠিকই কিন্তু দেখা যায় সন্ধ্যার নাশতার টেবিলে পেট ভর্তি করে আহার করে ফেলি। সন্ধ্যার নাশতায় অনেক ভারী খাবার খেয়ে ফেলি। এই বাজে অভ্যাসটির কারণে আপনার ওজন আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন সন্ধ্যার নাশতাটি হালকাভাবে সেরে নেয়ার। একেবারেই না হলেই না এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে নাশতা করার অভ্যাসটি বাদ দিতে পারলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

রাতের খাবারের পর অন্য কিছু না খাওয়া
রাতের খাবারের পর অনেকের অভ্যাস থাকে আরো কিছু খেয়ে ফেলার। অনেকেই খাবারের পরপর মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। এই ধরনের অভ্যাস থেকে থাকলে তা থেকে যত শিগগির সম্ভব নিজেকে মুক্ত করুন। রাতের খাবারের পর আর কিছুই খাবেন না। প্রয়োজনে পানি খেতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement