২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেদ কমাতে কিছু পরামর্শ

সন্ধ্যা ও রাতের সময়টা মাত্র চারটি সহজ কাজ করেই কমাতে পারবেন বাড়তি ওজন - সংগৃহীত

সারা দিন ব্যস্ত থাকেন, ব্যায়াম কিংবা ডায়েট করার সময় নেই। ফলে হুহু করে বেড়ে চলেছে ওজন। আপনিও কি এই সমস্যায় আক্রান্ত? তাহলে জেনে রাখুন, সন্ধ্যা ও রাতের সময়টা মাত্র চারটি সহজ কাজ করেই কমাতে পারবেন বাড়তি ওজন। বাড়তি কোনো সময় লাগবে না, কাজের ক্ষতি হবে না। কেবল রপ্ত করে নিন কিছু সহজ অভ্যাস। আর এগুলোই আপনাকে খুব সহজে করে দেবে স্লিম ও সুন্দর।

হালকা নাশতার অভ্যাস
আমরা অনেকেই ডায়েট করছি ঠিকই কিন্তু দেখা যায় সন্ধ্যার নাশতার টেবিলে পেট ভর্তি করে আহার করে ফেলি। সন্ধ্যার নাশতায় অনেক ভারী খাবার খেয়ে ফেলি। এই বাজে অভ্যাসটির কারণে আপনার ওজন আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন সন্ধ্যার নাশতাটি হালকাভাবে সেরে নেয়ার। একেবারেই না হলেই না এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে নাশতা করার অভ্যাসটি বাদ দিতে পারলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

রাতের খাবারের পর অন্য কিছু না খাওয়া
রাতের খাবারের পর অনেকের অভ্যাস থাকে আরো কিছু খেয়ে ফেলার। অনেকেই খাবারের পরপর মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। এই ধরনের অভ্যাস থেকে থাকলে তা থেকে যত শিগগির সম্ভব নিজেকে মুক্ত করুন। রাতের খাবারের পর আর কিছুই খাবেন না। প্রয়োজনে পানি খেতে পারেন।

হালকা শারীরিক ব্যায়াম
রাতের খাবারের পর একটু সময় নিয়ে হালকা ধরনের ব্যায়াম করে নিতে পাবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন একেবারে রাতের খাবারের পরপর ব্যায়াম না করে একটু সময় বিশ্রাম নিয়ে তারপর ব্যায়াম করুন। এভাবে প্রতিদিন রাতে হালকা ধরনের কয়েকটি ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস
অনেকেই রাত জাগতে পছন্দ করেন। এতে করে রাতে ক্ষুধার প্রবণতা বাড়ে এবং অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে থাকে। আবার রাত জাগার ফলে অযথা শরীর খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই রাত জাগার এই বদ অভ্যাসটি বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে।

 

আরো পড়ুন : বিবর্ণ দাঁতের চিকিৎসা

ডা: নাহিদ ফারজানা

মানুষ সৌন্দর্যপিপাসু। অন্য দিকে সৌন্দর্যের পূজারিও বটে। সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে প্রথমেই মুখাবয়ব থেকে। সেই মুখাবয়বে যদি থাকে ভাঙা ফাটা বিবর্ণ দাঁত, তাহলে একবার চিন্তা করুন সৌন্দর্যের অবস্থা তখন কেমন হবে? দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা সুন্দরভাবে সজ্জিত। কিন্তু তা যদি হয় কালো বা গাঢ় ধূসর বর্ণের বা গাঢ় হলুদ থেকে বাদামি রঙয়ের! দাঁতের এই বিবর্ণ অবস্থা হতে পারে নানা কারণে যেমন-

১। দাঁতে পোকা লাগা বা ডেন্টাল ক্যারিজ থাকলে।
২ দীর্ঘ দিন আগে দাঁতে আঘাত লাগার ফলে দাঁতের মজ্জা মৃত হলে দাঁত কালচে হয়ে যায়।
৩। দাঁতে ফিলিংয়ের সময় ব্যবহৃত উপাদান যেমন- সিলভার ও কপার অ্যামালগাম কপার সিমেন্ট ইত্যাদি।
৪। ভুল পদ্ধতিতে রুট ক্যানেল করলে।
৫। গর্ভাবস্থায় টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে স্থায়ীভাবে দাঁত বিবর্ণ হয়। এতে দাঁত ধূসর হতে বেগুনি রঙ পর্যন্ত হতে পারে।
৬। জন্মগত ত্রুটির ফলে যেমন- ইরাইথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস ইত্যাদি।
৭। ফ্লুরোসিসের ফলে দাঁত বিবর্ণ হয়।
৮। দাঁতের অভ্যন্তরীণ কিছু ক্ষয়ের জন্য দাঁত গোলাপি পর্যন্ত হতে পারে।

প্রতিকার ও চিকিৎসা
দাঁতে দাগ হওয়া আর দাঁত বিবর্ণ হয়ে যাওয়া দুটো দু’রকম ব্যাপার। দাঁতের উপরিভাগে যে দাগ থাকে তা সহজেই দূর করা যায় বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে। অপর দিকে, বিবর্ণ দাঁত হলো দাঁতের অভ্যন্তরের সমস্যা। এটি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দূর করা সম্ভব নয়।

এবার জেনে নেয়া যাক এর সমাধান-

প্রথমেই ডেন্টাল ক্যারিজ প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য দাঁতে উপযুক্ত ফিলিং করিয়ে নেয়া যেতে পারে।

দীর্ঘ দিন আগে দাঁতে আঘাত লাগার ইতিহাস জানা এমন বিবর্ণ দাঁতে প্রথমেই এক্স-রে করে দেখতে হবে দাঁতের গোড়ায় কোনো পুংঃ বা ঃঁসড়ঁৎ বা জটিল কোনো সমস্যা আছে কি না। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, যদি জটিল কোনো সমস্যা ধরা পড়ে তবে এপিসেকটমি করিয়ে নিতে হতে পারে। এটি দাঁতের একটি জটিল অপারেশন। অতঃপর রুট ক্যানেল শেষ করে বিবর্ণ দাঁতে ব্লিচ বা পোরসেলিন ক্যাপ করা যেতে পারে।
যদি দেখা যায়, টেট্রাসাইক্লিনের জন্য দাঁত বিবর্ণ হয়েছে এ ক্ষেত্রে একটি বা দু’টি নয়, মুখের বেশির ভাগ দাঁত বাদামি হলুদ থেকে বেগুনি বা নীলাভ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে লেমিনেটিং ফিলিং করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোরসেলিন ক্যাপও করিয়ে নেয়া যেতে পারে।
দাঁতের রঙ গোলাপি হয়ে যাওয়া দাঁতের একটি কঠিন সমস্যা। এতে দাঁতের অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ের ফলে এমনটি হয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার মাধ্যমে রুট ক্যানেল শেষ করে ক্যাপ করতে হবে।

অনেক সময় বিবর্ণ দাঁতে ব্লিচিংয়ের মাধ্যমে দাঁতের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ব্লিচ করলে দাঁতের ক্ষতি হয় না। তবে কিছু বদ অভ্যাস যেমন- পান, বিড়ি, সিগারেট, সুপারি ইত্যাদি পুরোপুরিভাবে দূর করতে হবে।

সুস্থ মাড়ি, ঝকঝকে সাদা সুস্থ দাঁত, সুন্দর হাসির চাবিকাঠি। আর সে জন্য চাই দাঁতের যথাযথ চিকিৎসা ও যতœ। সময় থাকতে দাঁতের যত্ন নিন। মুখে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিন।

লেখিকা : ডাইরেক্টর ও ডেন্টাল সার্জন, নাহিদ ডেন্টাল কেয়ার, ১১৭/১, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১২-২৮৫৩৭২


আরো সংবাদ



premium cement