২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্য তথ্য

-

বাতের ব্যথা দূর করার টিপস
আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন বাতের রোগীদের বাতের ব্যথা দূর করার জন্য কয়েকটি টিপস দিয়েছে :
- প্রতিদিন জয়েন্টগুলো আস্তে ধীরে নাড়াচাড়া করবেন। ব্যায়াম করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন এবং দম ফুরিয়ে না যায়। বেশি ব্যায়াম করলে আবার স্বাভাবিকভাবে কথা বলা যাবে না।
- প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট জয়েন্টের ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করুন।
- ব্যায়াম শেষে পাঁচ-দশ মিনিট চুপচাপ বসে থাকুন। এতে হার্টের ধুকপুকানি কমে আসবে, শিথিল হবে মাংসপেশিগুলো।
- হঠাৎ করে জোরেশোরে ব্যায়াম শুরু করে দিয়ে আবার বন্ধ করবেন না। কারণ, একেবারে ব্যায়াম বন্ধ করে দিলে পেশিগুলো আড়ষ্ট এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশ্রাম নেবেন, সেই সাথে ব্যায়ামও চালিয়ে যাবেন।
- আর বাতের ব্যথায় যারা সর্বক্ষণ কাতর থাকেন, আরথ্রাইটিস ফাউন্ডেশন তাদের এ ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন। ডাক্তার আরো ভালো এক্সারসাইজ প্রোগ্রাম দিতে পারবেন।

বয়স্ক মহিলাদের হাড়ের ভঙ্গুরতা
অস্টিওপরোসিস হাড়ের এক ধরনের রোগ, যা সাধারণত বয়স্কদের বিশেষ করে মনোপজের পর মহিলাদের বেশি হতে দেখা যায়। এই রোগে হাড়ের ঘনত্ব ও শক্তি দুই-ই কমে যায়। এতে শরীরের হাড়গুলো আক্রান্ত হয়। বয়স ৪০-এর বেশ আগে থেকেই বছরে প্রায় এক শতাংশ হারে হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অস্টিওপরোসিসে আরো বেশি হারে এই ক্ষয় ঘটতে থাকে। এ রোগের সঠিক কারণ বলা কঠিন। তবে দেখা গেছে, যে মহিলাদের বিশেষ করে যাদের মোটেই কোনো সন্তান হয়নি অথবা অকালে মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে, যাদের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়ের এই রোগের ইতিহাস আছে, যারা শারীরিক ব্যায়াম করে না, যারা ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান করে, যারা প্রয়োজনীয় পরিমাণে ক্যালসিয়াম খায় না, যারা দীর্ঘ দিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খায় তাদের এই রোগ বেশি হয়। পরিসংখ্যানে এ-ও দেখা গেছে যে, হাল্কা গড়নের ফর্সা মহিলাদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। তবে অস্টিওপরোসিসের মৌলিক কারণ হলো- হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ক্ষয় যা অনেক ক্ষেত্রে খাবারে ক্যালসিয়ামের অভাব থেকে হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত ক্যালসিয়াম ব্যবহৃত হচ্ছে। খাবারে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সরবরাহ না থাকলে শরীর হাড় থেকে তা শুষে নেয়। এ রোগে প্রথম দিকে তেমন লক্ষণ দেখা না দিলেও পরবর্তীতে হাড়ে অল্প থেকে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে, এমনকি সামান্যতেই হাড় ভাঙতে পারে।
অস্টিওপরোসিস একবার হয়ে গেলে পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়; তবে চিকিৎসা দ্বারা এত গতি রোধ করা যেতে পারে। রোগীকে অন্য ওষুধ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খেতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড, ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা।
ফোন : ০১৬৭৩৪৪৯০৮৩ (রোমান)


আরো সংবাদ



premium cement