১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফোবিয়া এবং প্যানিক অ্যাটাক

মানসিক রোগ
প্যানিক অ্যাটাক - সংগৃহীত

প্যানিক বা আতঙ্কের রেসপন্স হলো ‘লড়াই করো অথবা পালিয়ে যাও’-এর অংশ। প্যানিক বা আতঙ্ক হলো মানুষের শরীরের প্রতিরক্ষা সিস্টেমের একটি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু কখনো কখনো এটি অনেক মারাত্মক রূপ ধারণ করে এর অযৌক্তিক ভয় এবং প্যানিক অ্যাটাকের কারণে।

আমরা সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময় ভালো কারণেও প্যানিক বা আতঙ্কে ভুগে থাকি। ট্রাফিক সবুজ বাতি জ্বলল, আমরা রাস্তা পার হতে শুরু করেছি, সেখানে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে না থেমেই আসতে শুরু করে। এ সময় আমরা প্যানিকে বা আতঙ্কে পড়ি। এটা একেবারেই স্বাভাবিক। এ সময় আমরা যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা দিয়ে দৌড়ে অন্য পারে যাই নিরাপদ হওয়ার জন্য। কিন্তু যদি একেবারে ক্ষতিহীন এরকম অনুভূতি প্রতিদিনই আমরা অনুভব করি, অথবা এর চেয়ে ভয়ানকভাবে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়াই কোনো সতর্কতা ছাড়াই প্রতিদিন এ রকম অনুভূতির শিকার হয়। কেউ কেউ ভয় পেতে মজা পায়, ভয়কে উপভোগ করে। তবে এটা আপনার জন্য অন্য রকম ব্যাপার হতে পারে যদি আপনার আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ আপনার জানা না থাকে। তাই এ অযথা প্যানিক বা আতঙ্ককে বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। নয়তো এটি আপনার মাঝে বিরক্তিকর সমস্যা তৈরি করতে পারে।

কমন ফোবিয়া বা সাধারণ ভয়
যেকোনো বিষয়েই ভয় পাওয়ার মতো ব্যাপার ঘটতে পারে। যেমন- দাঁতের চিকিৎসায়, বিমানে উড়ার সময়, রক্তদানে বা রক্ত দেখে, সামাজিক ভীতি, খোলা জায়গার ভয় বা অ্যাগারোফোবিয়া। যখন কোনো মানুষ যারা ফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা যদি কোনো কিছুর সম্মুখীন হয় যা তাদের মাঝে আতঙ্কের উদ্রেক করে অথবা তারা বুঝতে পারে যে এমন ভয়ানক ব্যাপার সামনে আসছে তখন তারা উদ্বিগ্নতার কিছু শারীরিক লক্ষণ-উপসর্গ অনুভব করে থাকে। অ্যাংজাইটি বা উদ্বিগ্নতার দীর্ঘ লক্ষণ-উপসর্গের তালিকা থাকে এবং বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ-উপসর্গের সম্মুখীন হয়।

অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই তারা যেটাতে ভয় পায় তা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলে। তাই তাদের জীবনটা হয়ে ওঠে ভয়ের নানা পরিস্থিতি ও পরিবেশকে এড়িয়ে চলার কাঠামোর মধ্যে দিয়ে। কিন্তু কোনো কোনো সময় এসব ভয়ানক ব্যাপার, পরিবেশ, পরিস্থিতি বা বস্তু এড়িয়ে চলা সম্ভব হয় না। যেমন-ভয়ে কেউ সারা বছর ধরে দাঁতের ডাক্তারের কাছে যায় না, শেষে ইমার্জেন্সি চিকিৎসার জন্য দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে হলো। আবার কেউ হয়তো দুর্ঘটনাক্রমে শরীর কেটে যাওয়ার কারণে মেডিকেলে জরুরি ভিত্তিতে যেতে হলো। আবার কোনো দরকারি মিটিং যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তাতে যেতে হলো, এ সময় প্যানিক বা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ-উপসর্গ
- বুক ধড়ফড় করা বা প্যালপিটিশন দেখা দেয়া
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।
- বুক ব্যথা করা
- মুখ লাল হয়ে আসা
- শরীর ঘামতে থাকা
- অসুস্থ অনুভব করা
- কাঁপুনি
- মাথা ঝিমঝিম করা
- মুখ শুকিয়ে আসা
- টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়
- অজ্ঞান হয়ে যাবার অনুভূতি লাগা
- মাথা ঘোরায়
- অস্থিরতা লাগতে থাকে
- মুখ দিয়ে কথা আসতে চায় না।
- বমি বমি ভাব লাগে

এ ধরনের লক্ষণ-উপসর্গ খুব গভীর হতে পারে তখন একজন আতঙ্কিত ব্যক্তি মনে করতে পারে যে তার বুঝি হার্টঅ্যাটাক হতে যাচ্ছে। আর এ আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়। কোনো কোনো ব্যক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণহীন শরীরের আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া বা লক্ষণ দর্শকের মতো অনুভব করতে থাকে। এ সময় মনে হয় তাদের শরীর যেন ভীষণ যন্ত্রণার মধ্যে আছে, যা খুবই কষ্টকর এবং বর্ণনার অতীত। অনেক সময় মনে হয় যে যা ঘটছে তা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাদের থেকে আলাদা হয়ে অবাস্তব কোনো পন্থায় এমনটা হচ্ছে। এটাকে বলা হয় ডিপারসোনালাইজেশন। এটা দিয়ে মনে হয় যে এটা হয়তো প্যানিক অ্যাটাক থেকে এক ধরনের মুক্তি। কিন্তু না, এটা আসলে আরো খারাপ অনুভূতি। আরেক ধরনের মানুষ আছে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্যানিক অ্যাটাকের অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকে। এটা অনেক সময় সাধারণ উদ্বিগ্নতা বা জেনারেল অ্যাংজাইটির সাথে দেখা দেয়।

ফোবিয়ায় কত মানুষ আক্রান্ত হয়?
কিছু কিছু ফোবিয়া অন্য ফোবিয়ার চেয়ে বেশি কমন। প্রতি বছর প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ বিমানে উড়তে গিয়ে, দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে এবং রক্তদান করতে গিয়ে বা রক্ত দেখে ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়। এগুলো হলো সিম্পল বা সাধারণ ফোবিয়া।
সোশ্যাল ফোবিয়া বা সামাজিক ভীতি খুব কম কমন। এটি ১০০০ মানুষের মধ্যে ২৫ জনকে আক্রান্ত করে।

অ্যাগারোফোবিয়া ১০০০ মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের বেলায় দেখা যায় এবং এটি নারীদের মধ্যে দ্বিগুণভাবে দেখা দেয়। প্যানিক অ্যাটাক প্রতি বছর ১০০০ মানুষের মধ্যে ৩০ জন মানুষকে আক্রান্ত করে এবং এটিও নারীদের বেলায় দ্বিগুণ ঘটে থাকে।

প্যানিক অ্যাটাক বা ফোবিয়ার নানা রকম চিকিৎসা পাওয়া যায়। ওষুধ দ্বারা এর চিকিৎসা করা হয়। তবে এর জন্য বিচলিত না হয়ে একজন মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

লেখিকা : সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

চেম্বার : উত্তরা ল্যাবএইড, ইউনিট-২, সেক্টর-১৩, উত্তরা, ঢাকা।

 

আরো পড়ুন : মানসিক রোগ

মন কী? মনের কয়টি অংশ?
মন বলতে আমরা ব্রেইনকেই বুঝি। মন মানে হৃদপিণ্ড নয়। আবার মন বলতে আত্মা বা Soul কেও বুঝায় না। মন থাকে মস্তিষ্কে। মনের সাধারণত ৩টি অংশ। ক) সচেতন মন খ) অচেতন মন গ) অবচেতন মন। সচেতন মন, মনের মাত্র ১০ ভাগ। মনের ৯০ ভাগ জুড়ে রয়েছে অচেতন বা অবচেতন মন।

মানসিক রোগ কেন হয়? 
প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণগুলোর মধ্যে জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব, পরিবেশগত প্রভাব, শারীরিক মানসিক যৌন নির্যাতন, অস্বাভাবিকভাবে শিশুর লালন-পালন, ইন্টারনেট সহ অন্যান্য নেশা দ্রব্যের ব্যবহার, মস্তিষ্কের গঠন জনিত সমস্যা, নিউরো ট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতা, দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের অভাব, দীর্ঘমেয়াদী অস্বাভাবিক চাপ, এছাড়া মৃগীরোগ, Stroke, ডায়াবেটিকস্, head injury, ব্রেইন টিউমার, কিডনি, যকৃত, হৃদপিণ্ডের ফেইলিয়রও মানসিক রোগের কারণ হতে পারে।

আমাদের দেশের সাধারণ মানসিক রোগগুলো কী কী? 
মানসিক রোগকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। নিউরোটিক এবং সাইকোটিক। নিউরোটিক বলতে আমরা টেনশন, উদ্বেগ, প্যানিক অ্যাটাক, সূচিবাই, হিস্টিরিয়া, অস্বাভাবিক ব্যাক্তিত্ব, স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, অস্বাভাবিক রাগ বা রাগ নিয়ন্ত্রণজনিত মানসিক রোগ, ইন্টারনেট বা Facebook আসক্তি, যৌন সমস্যা, ঘুমের সমস্যাকেই বুঝি। এদের সংখ্যা অনেক বেশি। সাইকোসিস বা গুরুতর মানসিক রোগ, সিজোফ্রোনিয়া, বাইপলার মুড ডিসঅর্ডার এ মাত্র ১% মানুষ ভোগে।

মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রধান বাধাগুলো কী কী?
মানসিক রোগ চিকিৎসার প্রধান বাধা হলো রোগীর পরিবারের অজ্ঞতা, সচেতনার অভাব, কুসংস্কার, মানসিক রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা, রেফারেল না হওয়া ইত্যাদি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ মানসিক রোগকে জ্বিন ভূতের আছর মনে করে এবং ভণ্ড পীর-ফকিরদের কাছে যায়। এতে তো রোগ ভালো হয়ই না উল্টা জটিল হয়। ভণ্ড পীর-ফকির, কবিরাজরা প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। তথাকথিত জিনের বাদশারা সত্যিই বাদশার মতো রাজত্ব করছে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে।

লেখক : মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মনোভূবন সেন্টার, ঢাকা।

 

আরো পড়ুন : আলঝেইমার্স শনাক্ত করার ৫টি উপায়

আলঝেইমার্স (মস্তিস্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে না পারে না রোগী) অনেকসময় কয়েকবছর ধরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুরুর দিকে অনেক সময়ই তা ধরা পড়ে না। কারণ এই রোগের লক্ষণ অন্যান্য অসুস্থতার ক্ষেত্রেও দেখা যেতে পারে।

যুক্তরাজ্যে আনুমানিক সাড়ে ৮ লাখ মানুষ ধরনের সাধারণ ধরনের ডিমেনশিয়ার দ্বারা আক্রান্ত।

তাহলে কিভাবে শনাক্ত করা সম্ভব?

এটি কেবল মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয় ভুলে যাওয়া নয়, আলঝেইমার্স তার চেয়েও বেশি কিছু। কখনো কখনো কারো নাম ভুলে যাওয়া কিংবা জিনিসপত্র কোথাও রেখে সেটি ভুলে যাওযার ঘটনা প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।

ভুলে যাওয়া বার্ধক্যের সাধারণ একটি অংশ। কিন্তু সেগুলো নিশ্চিতভাবে আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার কোনো ফর্ম-এর লক্ষণ নয়।

এটি কেবল ছোট ছোট জিনিস হারানোর মামুলি বিষয় নয়।

স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া এই রোগের প্রথম লক্ষণ। শর্ট-টার্ম মেমোরি বা স্বল্পমেয়াদে স্মৃতি-বিভ্রাট ঘটায়। ১০ মিনিট আগের ঘটনাও লোকে ভুলে যায় কিংবা কিছুক্ষণ আগের কথা-বার্তাও ভুলে যায়।

স্মৃতিশক্তি সমস্যা মানুষকে পুনরাবৃত্তির কিংবা সম্প্রতি ঘটা কোনো ঘটনার সম্পর্কে মনে করতে দেয় না। অথবা নিত্য-দিনকার কোনো কাজ যেমন কোনো রান্নার রেসিপি বা ব্যাংক কার্ডের তথ্য ভুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এক কাপ চা তৈরি!

সাধারণ প্রতিদিনকার কাজ কর্মও আলঝেইমার্স এর প্রাথমিক সময়টিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এক কাপ চা বানানো খুব জটিল কিছু নয় এবং সেটার জন্য বিশেষ কিছু শিখতেও হয় না। কিন্তু আলঝেইমার্স এটিকে খুবই কঠিন বিষয়ে পরিণত করতে পারে, কেননা পরবর্তীতে কি করতে হবে সেটি ভুলে গেলে তা বিভ্রান্ত করতে পারে অনেককে।

এই অবস্থায় পরিবর্তনগুলো খুব ছোট ছোট হতে পারে কিন্তু তা দৈনন্দিন জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা তার পরিবার হয়তো অনুধাবন করতে পারে যে, ফোন ব্যবহারে সমস্যা কিংবা ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়া। তাদের কথা এবং ভাষায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। সঠিক শব্দ খুঁজে পেতেও তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়।

আমি এখানে কেন?

আপনি কোথায়? কিংবা সেখানে আপনি কেন?- ভুলে গিয়ে এমন প্রশ্নে কনফিউজড হওয়া আরেকটি সাধারণ ধরনের সংকেত। একজন একেবারে ভুলে যেতে পারে কোথাও যাওয়ার কারণ, বিশেষ করে অপরিচিত এলাকায় এবং বাড়িতেও-সেটি ঘটতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ তারা সিঁড়ি দিয়ে উঠে যেতে পারে কিংবা অন্য কোনো রুমে চলে যেতে পারে কিন্তু হয়তো জায়গাটি চিনতে পারে না। কোনো দিন বা কোনো মাস সে নিয়েও কনফিউশন তৈরি হতে পারে।

মন-মেজাজ পরিবর্তন

উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলো কারো মধ্যে দেখা গেলে তার মধ্যে মুড বা আচরণ পরিবর্তনের উপসর্গও থাকার সম্ভাবনা।

তারা সহজেই আপসেট কিংবা বিরক্ত হয়, প্রায়ই হতাশা দেখা দেয় এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এর ফলে দৈনন্দিন কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে এবং নতুন কোনও কাজের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে উঠতে পারে।

উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তাকে অনুসরণ করে।

অনেক মানুষই বুঝতে পারে কিছু একটা গোলমেলে

আলঝেইমার্স সোসাইটির ক্যাথরিন স্মিথ বলেন, "ডিমেনশিয়া বার্ধক্যের কোনো স্বাভাবিক দিক নয় এটি মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ। এবং এটি কেবল বয়স্ক মানুষদের আক্রান্ত করে তেমনটি নয়।"

ব্রিটেনে ৬৫ বছরের কম বয়সী ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডিমেনশিয়াতে ভুগছে। তিনি জানান, প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বুঝতে পারে যখন কিছু একটা গোলমেলে ঠেকে।

ডিমেনশিয়া নিয়ে বহুবছর ভালোভাবে বাঁচা সম্ভব এবং এই রোগ নির্ণয়ের ফলে আপনার জীবন রাতারাতি পাল্টে যাবে না।

তারপরও আলঝেইমার্স রোগের বিষয়ে সামাজিক কুসংস্কার রয়েছে যার ফলে আনেকেই এই রোগ প্রকাশ পেলে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় থাকে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement