১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবারো টাইব্রেকার হিরো জিকো

- ছবি : সংগৃহীত

১২০ শেষে খেলা যখন টাইব্রেকারে গড়ায় তখনই ভেসে আসছিল গতবছরের স্বাধীনতা কাপের কোয়র্টার এবং সেমিফাইনালের স্মৃতি। যেখানে দুই ম্যাচেই টাইব্রেকার হিরো গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ফলে তার দল বসুন্ধরা কিংসও ফাইনালে। কাল টিভিএস ফেডারেশন কাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালেও স্পটকিকে নায়ক কক্সবাজারের এই গোলরক্ষক। মুক্তিযোদ্ধার দুটি শট প্রতিহত করে বসুন্ধরা কিংসকে নিয়ে গেছেন সেমিফাইনালে। ৩ জানুয়ারী সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল এই শেষ আটের ম্যাচ ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিট এই স্কোর লাইনে শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। এতে ম্যাচ সেরা জিকোর কৃতিত্বে বসুন্ধরার জয় ৪-১। এই জয়ে এখন পর্যন্ত এএফসি কাপের লাইসেন্সধারী হিসেবে তারাই টিকে থাকলো ফেডারেশন কাপে। এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তাদের ছাড়পত্র মিলবে ২০২১ এর এএফসি কাপে খেলার। অপর দুই লাইসেন্সধারী ঢাকা আবাহনী এবং সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিদায় এই কোয়ার্টারেই। গতবছরের স্বাধীনতা কাপে জিকো শেষ আটের ম্যাচে রহমতগঞ্জ এবং সেমিতে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকার ঠেকিয়ে লাইম লাইটে চলে আসেন।

কাল ম্যাচের তিন মিনিটেই লেবানিজ জালাল কোতো এগিয়ে নেন দল বসুন্ধরাকে। মতিন মিয়ার পাস থেকে তার শট জালে। ম্যাচের শুরুতে এই গোল পাওয়ার পরও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। মতিন মিয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল, কলিনড্রেসরা গোল মিস করায় ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় মুক্তিযোদ্ধা। ২৮ মিনিটে সুফিলের শট অসামান্য দক্ষতায় কর্নার করেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম। এরপর ৭৬ মিনিটে ম্যাচে ফেরা মুক্তিযোদ্ধার। জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ইয়াসিনের মারাত্মক ভুলে সহজে বল জালে পাঠান মিডফিল্ডার মেহেদী হাসান রয়েল।

৮৫ মিনিটে পল এমিলি হেড জিকো কর্নার করলে দ্বিতীয় গোল পায়নি মুক্তিযোদ্ধা। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এতে ১১৪ মিনিটে বসুন্ধরার আর্জেন্টাইন নিকোলাস দেলমন্তের ৩৫ গজী শট পোস্টে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে কলিনড্রেস গোলরক্ষকে একা পেয়ের বল মানের বারের উপর দিয়ে। ১১৯ মিনিটে রবিউলের হেড গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও জালে যায়নি। তাই খেলা  টাইব্রেকারে। এতে মুক্তিযোদ্ধার পল এমিলি গোল করলেও জিকো আটকে দেন জাপানী নরিতো, স্থানীয় তরিকুলের শট। বিপরীতে বসুন্ধরার কিরগিজস্তানের বখতিয়ার, দেলমেন্ত , আতিকুর রহমান ফাহাদ এবং শেষ শটে কলিনড্রেস গোল করলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় ফেডারেশন কাপের গতবারের রানার্সআপদের। তবে টাইব্রেকারের সময় জিকো নিয়ম ভঙ্গ করে দুই পায়ই গোল লাইনের সামনে নিয়ে আসেন। নিয়ম হলো এক পা সামনে আনা যাবে।

ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন,‘ টাইব্রেকারে আমাদের আস্থা ছিল জিকোর উপর।’ এরপরেই মাঠের সমালোচনা তার মুখে। ‘এটা গরু চরানো মাঠ। ভালো ফুটবল উপহার দেয়া সম্ভব নয়।’ মুক্তিযোদ্ধার কোচ সেন্টুর মতে, আমি খুশী দলের পারফরম্যান্সে। তারা শক্তিশালী দলকে আটকে দিতে পেরেছে। তবে টাইব্রেকার শটের অনুশীলন করানো হলেও ম্যাচে তারা ভালো মারতে পারেনি।’


আরো সংবাদ



premium cement