২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার পুলিশের চমক

- ছবি : সংগৃহীত

এবারের টিভিএস ফেডারেশন কাপ ফুটবল যেন বড় এবং ফেভারিট দলগুলোর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা না হলে কেন একের পর এক  তাদের বিদায় হবে। গ্রুপ পর্বে থেকে বিদায় নিয়েছে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল এবং শেখ জামাল। গত পরশু একই দিন কেয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে ১১ বার এবং টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী এবং এবারের শক্তিশালী চট্টগ্রাম আবাহনী। আর কাল বিকেলে  সাইফ স্পোর্টিংকে সে পথেই হাঁটতে বাধ্য করলো প্রিমিয়ারে নবাগত পুলিশ। তৃতীয় এই কোয়ার্টার ফাইনালে জাতীয় দল অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের ফুটবলার নিয়ে গড়া সাইফকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পুলিশ। ঢাকা আবাহনীর পর সাইফের বিদায়। ঢাকা আবাহনীকে বিদায় করে রহমতগঞ্জ। চট্টগ্রাম আবাহনীকে বাড়ী পাঠিয়ে দেয় মোহামেডান। এবারে পুলিশের ইতিহাসের বলি সাইফ স্পোর্টিং।

কাগুজে শক্তিতে সাইফ ফেবারিট হলও পুলিশকে এবার প্রথম থেকেই ভালো দল মনে হয়েছিল। এমনকি গ্রুপ পর্বে আকাশী নীল শিবিরের কাছে ০-৪ গোলে হারের পরও। পরের ম্যাচে তারা ৩-১ গোলে আরামবাগকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায়। এখন তারা মওসুম শুরুর প্রথম আসরে সেরা চারের একটি।

১৯ মিনিটে সাইফ অধিনায়ক জামাল ভ’ইয়ার ফ্রি-কিক দূর্দান্ত ভাবে বাম দিকে শরীর ভাসিয়ে প্রতিহত করে পুলিশকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেল। এরপর থেকেই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে পুলিশ। তবে ৩১ মিনিটে দলটির লিড স্থানীয় এম এস বাবলুর ডান পায়ের তীব্র ভলিতে। ম্যাচে জোড়া গোল করা সেরা ফুটবলার রিভেরা সিডনী অ্যাডাম দিয়েছিলেন পাসটি। ৪৫ মিনিটে এই আমেরিকান খেলোয়াড় সিডনী রিভেরার অসাধারন শটে ব্যবধান দ্বিগুন। বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া ডান পায়ের শট সাইফ কিপার পাপ্পু হাসানের হাতের বাধা ডিঙ্গিয়ে চলে যায় জালে। এরপর ৫১ মিনিটে মন্টিনেগ্রোর লুকা রোকতভিচের পাস থেকে তিনি চমৎকার প্লেসিংয়ে প্রতিপক্ষকে ম্যাচ থকে ছিটকে দেন।

৫৫ মিনিটে কিরগিজ  মিডফিল্ডার মুরালিমজন আহমেদভের দৃষ্টিনন্দন ফ্রি-কিকে ব্যাবধান কমলেও সাইফ বাকী কাজ করতে পারেনি ফরোয়ার্ডদের গোল মিসে। ৬৯ মিনিটে তাজিক স্ট্রাইকার জাহাঙ্গীর এরগাশেভের শট পুলিশের ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ৭০, ৭৬ মিনিটে কর্দোভা এবং ৮১ মিনিটে জাহাঙ্গীর গোল মিস করেন। যা প্রথমবারের মতো পুলিশ ফুটবল দলকে নিয়ে যায় ফেডারেশন কাপের সেমিতে।

পুলিশের সার্বিয়ান বংশোদ্ভুত সাইপ্রাসের কোচ নিকোলা ভিতরভিচ বলেন, আমরা প্রস্তুতি ম্যাচেও সাইফকে দুইবার হারিয়েছিলাম। আর এই ম্যাচে আমরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় তুলে নিয়েছি। জানান, জিততেই হবে এটা ছিল ফুটবলারদের পণ। যদিও সাইফ গোল পরিশোধের তিন চারটি সুযোগ নষ্ট করে।’ সাইফের মালদদ্বীপের কোচ মোহাম্মদ নিজামের মতে,  ফুটবলারদের মধ্যে হালকা ভাব চলে আসে পুলিশকে নিয়ে। এই অতি আত্মবিশ্বাসই কাল হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষকে উপহার দিয়েছি তিনটি গোল।  


আরো সংবাদ



premium cement