২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেখ জামালের বিদায়, কোয়ার্টারে সাইফ

কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোটিং ক্লাব - ছবি : সংগৃহীত

শুক্রবার সন্ধ্যায় ম্যাচের আগে, এমনকি ম্যাচের স্কোর ১-১ থাকাকালীন সময় কত হিসেব নিকাশ? ম্যাচ ১-১ এ ড্র হলে সাইফ ও রহমতগঞ্জের মধ্যে ফেয়ার প্লে এর হিসেব হবে। মানে যে দলের কার্ড কম পেয়েছে- তারা যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। আর শেখ জামাল শেষ আটে যাবে গ্রুপ সেরা হয়ে।

আবার ম্যাচ ২-২ ড্র হলে রহমতগঞ্জ বাদ। সাইফ ও শেখ জামাল গোল পার্থক্যে নক আউট পর্বে উঠবে। ম্যাচে যে দল হারবে সে দলই ছিটকে পড়বে টিভিএস ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বে থেকে। ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল ১-১ থাকায় শেখ জামাল নিজেদের পরের রাউন্ডের দল ভাবতে থাকে। কিন্তু পরে পরেই পাল্টে যায় চিত্র।

শেষ ছয় মিনিটে সাইফ আরো দুই গোল করে চলে যায় কোয়ার্টারে। ৩-১ গোলের ব্যবধানে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই পরের রাউন্ডে উঠেছে তারা। তাদের পয়েন্ট ৪। সাথে রহমতগঞ্জও। তারা হয়েছে রানার্সআপ। অন্য দিকে দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে বিদায় শেখ জামালের। রহমতগঞ্জ প্রথম ম্যাচে গোলশূন্যতে সাইফ স্পোর্টিংয়ের সাথে এবং পরের ম্যাচে ১-১ এ ড্র করে শেখ জামালের সাথে।

জয়ের বিকল্প নেই- এই মিশনে শুরু থেকে আক্রমনাত্মক ছিলো সাইফ। ৭ মিনিটে সাইফের রিয়াদুল হাসান রাফির হেড আয়ত্বে নেন শেখ জামালের গোলরক্ষক জিয়া। অবশ্য দুই মিনিট পরেই সাইফের জালে গোল। হেড থেকে পাওয়া বলে ডান পায়ের ভলিতে গোল করেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার ওমর জোবা। অবশ্য খেলায় ফিরতে বেশীক্ষণ লাগেনি সাইফ স্পোর্টিংয়ের। ১৪ মিনিটেই সমতায় ফেরে তারা। অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হলে সেই বলে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন ইয়াসিন আরাফাত। সেটি শেখ জামালের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে লেগে দিক পাল্টিয়ে বোকা বানায় গোলরক্ষককে।

৩৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সলোমন কিংয়ের পাসে পোষ্টে শট নেন ওমর জোবা। বল সাইফ স্পোটিংয়ের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেনের হাতের বাধা ডিঙ্গিয়ে পোষ্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৮৪ মিনিটে ম্যাচ লিড সাইফের। বক্সে ডিফেন্ডার মানডে’র হাতে বল লাগে। ফলে রেফারি আনিসুর রহমান সাগরের দেয়া পেনাল্টি থেকে সাইফকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তাজিক স্ট্রাইকার জাহাঙ্গীর এরগাশেভ। অবশ্য এই পেনাল্টি নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল শেখ জামালের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের। ম্যাচ শেষে তারা ঘিরে ধরে রেফারিকে। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনতো মাঠে ঢুকে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে হাততালি দিতে থাকেন রেফারির মুখের সামনে।

পিছিয়ে পড়া শেখ জামালের কোয়ার্টারে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে কমপক্ষে ২-২ এ ড্র দরকার ছিল; কিন্তু ইনজুরি টাইমে সাইফের কিরগিজস্তানের আহমেদভের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট জালে জড়ালে বিদায় নিশ্চিত হয় শেখ জামালের। ম্যাচ শেষে শেখ জামালের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক হারের জন্য রেফারির দেয়া পেনাল্টিকে দায়ী করে বলেন, মনে হয়েছে রেফারি ইচ্ছে করেই বুকে লাগা বলকে হ্যান্ডবল বলে চালিয়ে পেনাল্টি দিয়েছেন।

কোয়ার্টারে সাইফ খেলবে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ পুলিশের সাথে। আর রহমতগঞ্জের প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী।


আরো সংবাদ



premium cement