২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

পুলিশকে নিয়ে কোয়ার্টারে আবাহনী

- ছবি : সংগৃহীত

আজ প্রথম আরামবাগের জার্সী গায়ে মাঠে নামেন মিশরীয় মোস্তফা মাহমুদ। আট নং জার্সীধারী এই মিডফিল্ডার একা যা একটু চেষ্টা করেছেন। তার পায়ের কাজের কাছে অসহায় লাগছিল আবাহনীর খেলোয়াড়দের। অবশ্য একা মোস্তফার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। একে তো দলটির প্রস্তুতির ঘাটতি। অন্য দিকে অভিজ্ঞতা এবং মানে অনেক এগিয়ে ঢাকা আবাহনীর খেলোয়াড়রা। তাই শেষ পর্যন্ত বড় হারে টিভিএস ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় আরামবাগের। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তাদের ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে চলে গেল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সাথে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ পুলিশ দলকেও। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আবাহনী প্রথম খেলায় ৪-০তে হারিয়েছিল পুলিশকে। আর পুলিশ পরের ম্যাচে আরামবাগকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে যাওয়ার রাস্তা তৈরী করে রাখে। কাল আরামবাগের দ্বিতীয় হারে কোয়ার্টারে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় প্রিমিয়ারে নবাগতদের। কোয়ার্টারে তারা পাবে ‘সি’ গ্রুপের সাইফ স্পোর্টিং, শেখ জামাল বা রহমতগঞ্জকে।

আবাহনীর গত ম্যাচের শেষ দিকে তিন ফুটবলার রায়হান হাসান এবং দুই সোহেল রানার বিপক্ষে খেলার স্থগিতাদেশ হাইকোর্ট থেকে নিয়ে এসেছিল শেখ রাসেল। সেই  স্থগিতাদেশের স্থগিতাদেশ হাই কোর্ট থেকে নিয়ে আসে তিন ফুটবলার। এদের দুই জন রায়হান এবং শেখ রাসেল থেকে আসা সোহেল রানাকে নিয়ে কাল মাঠে নামে আবাহনী। আরামবাগ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল, তাই কোচ মারিও লেমস একাদেশ মোট চারটি পরিবর্তন আনেন। এরাই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে এনে দিলেন বড় জয়।

১-০তে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো চার গোল আবাহনীর।  জুয়েল রানা একাধিক মিস না করলে আরো বড় হতে পারতো জয়ের ব্যবধান। ৯ মিনিটে এই জুয়েল রানার কাট ব্যাক থেকেই আবাহনীকে এগিয়ে নেন নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবা। ১৭ মিনিটে এই গোল পরিশোধের সুযোগ পায় আরামবাগ। মিশরীয় মোস্তফা মাহমুদের কাট ব্যাক থেকে পোস্টে শটও নিয়েছিলেন ইমরান হোসেন রুবেল। তা বার উঁচিয়ে যাওয়ায় ম্যাচে ফেরা হয়নি মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটির।

৫৩ মিনিটে আবাহনীর দ্বিতীয় গোল সম্মিলিত আক্রমনের ফসল। জীবন, সানডে, বেলফোর্ডের পা ঘুরে বল আসে রায়হানের কাছে। এরপর রায়হানের সেন্টারে পা লাগিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সারেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। দুই ম্যাচে দুই গোল জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকারের। ৫৭ মিনিটে রায়হানের ট্রেডমার্ক লম্বা থ্রো থেকে হেডে ব্যাবধান বাড়ান ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী। ৭৩ মিনিটে সানডের পাসে ম্যাচ সেরা মামুনুলের বাম পায়ের শট জালে। এরপর ৭০ মিনিটে বদলী রুবেল মিয়ার ক্রসে আরেক বদলী ফয়সাল আহমেদ শীতলের হেডে আবাহনীর পঞ্চম গোল। আরামবাগের সান্তনা সূচক গোল ৮৫ মিনিটে। ডান দিক থেকে ক্রসে আনা বলে ডান পায়ের ভলিতে গোল মুরাদ হোসেন চৌধুরীর। পরের মিনিটেই শীতল তার দ্বিতীয় গোল পাননি বিপক্ষ ডিফেন্ডার ইয়োন্তা মাইকেলের গোললাইন সেভের কারনে। বদলী গোলরক্ষক উত্তম বড়ুয়াকে কাটিয়ে দূর থেকে শট নিয়েছিলেন শীতল। এই গোল লাইন সেভের কারনে দুই বার গোল বঞ্চিত জুয়েল রানাও।

আরামবাগ কোচ শেখ জাহিদুর রহমান মিলনের মতে, মাত্র পাঁচ দিনের প্রস্তুতি আমাদের । এরপরও বলবো পাঁচ গোলটা বেশী হয়ে গেছে।’ আবাহনীর কোচ মারিও লেমস জানান, চার ফুটবলার মামুনুল, জুয়েল, ঈসা আলাদিন ও সোহেল রানাকে এই ম্যাচে একাদেশ সুযোগ দিয়ে বড় জয়। এখন আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাবে পরের ম্যাচে একাদশ ঠিক করাটা। দলে এখন সবাই ভালো। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ এতো সহজ হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement