২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রহমতগঞ্জে আটকা সাইফ

- ছবি : সংগৃহীত

সর্বশেষ জাতীয় দলের পাঁচ ফুটবলার তাদের একাদশে। ডিফেন্ডার রাফি অবশ্য কাল খেলোয়াড় তালিকায় ছিলেন না। দলে চার বিদেশীর দুই জন সেদেশের জাতীয় দলের। অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও বেশ কয়েকজন সদস্য দলটিতে। এই ফুটবলার পুষ্ট সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে কাল জয়ে মওসুম শুরুর প্রত্যাশা ছিল সবার। টিভিএস ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হলে যে তাদের এএফসি কাপে খেলার সুযোগ। তবে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচে সাইফকে রুখে দিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ম্যাচ গোলশূন্যতে শেষ হওয়ায় এখনও দুই দলেরই শেষ আটে উঠার চান্স আছে। তবে ড্রতে সাইফ যতোটা অখুশী ঠিক ততোটাই উৎফুল্ল রহমতগঞ্জ। তারা যে মূল্যবান এক পয়েন্ট আদায় করেছে শিরোপা প্রত্যাশী প্রতিপক্ষের কাছ থেকে।

মালদ্বীপের কোচ মোহাম্মদ নিজামের অধীনে অনুশীলন গত লিগের চতুর্থ হওয়া দল সাইফের। বিপরীতে রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী দলকে তিন সপ্তাহ ট্রেনিং করিয়েছেন। মানের দিক থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল  পুরান ঢাকার দলটির খেলোয়াড়রা। এরপরও তাদের সংগঠিত রক্ষনভাগ ম্যাচে থিতু হতে দেয়নি সাইফের ফরোয়ার্ডদের। এরপরও যে হাফ চান্সগুলো আসে তাও কাজে লাগাতে পারেনি পূর্ন পেশাদারী আদলে চলা ক্লাবের ফুটবলাররা। উল্টো তারা হারের হাত থেকে বেঁচে গেছে। গোলরক্ষক পাপ্পু হাসানের দৃঢ়তা এবং এক দফা নিয়তি পক্ষে থাকায় হারে শুরুর লজ্জ্বা পেতে হয়নি সাইফকে।

 সাইফের কোচ এই হতাশাজনক ড্র য়ের জন্য প্রস্তুতির ঘাটতিকেই সামনে আনেন। তার মতে, মাত্র চার সেশন অনুশীলনে পেয়েছি ফুটবলারদের। অধিকাংশ ফুটবলার জাতীয় দলে ব্যস্ত থাকায় এই দশা। তবে আমি এটাকে কোনো অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাবো না।’ যোগ করেন, ‘স্কোর  লাইন যেহেতু গোলশূন্য এর অর্থ আমরা ভালো খেলতে পারিনি।’ বিপরীতে রহমতগঞ্জের কোচ জিলানী তার দলের পারফরম্যান্স সন্তুষ্টি প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, ড্র তে আমি খুশী। তবে জিতলে খুশী হতাম। তিনটি গোলের চান্সতো মিস করেছি।’

 ম্যাচে সাইফ বিল্ডআপ অ্যাটাকে খেলেছে। বল পজেশনও ছিল ভালো। তবে তারা পরিস্কার কোনো চান্সই তৈরী করতে পারেনি। অধিকাংশ আক্রমনই নিখুঁত ফাইনাল পাসের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরও তাজিকিস্তান জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড জাহাঙ্গীর এরগাশেভ  ১৩ ও ৭৪ মিনিটে দুটি হাফ চান্স পেয়েছিলেন। তাও লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার গোল বঞ্চিত সাইফ।

বরং কাউন্টারে রহমতগঞ্জই গোলের সহজ সুযোগ পায়। ১৯ ও ৫৭ মিনিটে স্ট্রাইকার সোহেল মিয়ার শট অসাধারন দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন সাইফের কিপার পাপ্পু হাসান। যিনি গত মওসুমে সাইফ থেকে লিগের ফিরতি লেগে ধারে যোগ দেন মোহামেডানে। ৬৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের গাম্বিয়ার স্ট্রাইকার মমদু বা’র বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট প্রতিহত হয় পোস্টে। ৮৬ মিনিটে মমদু বা কে হতাশ করেন সেই পাপ্পু।

ইনজুরি টাইমে সাইফের রহিমউদ্দিনের শট গোল লাইন থেকে রুখে দেন বিপক্ষ দলের তাজিক ডিফেন্ডার অপোপব আসরোরভ। যিনি হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সাইফের পরের ম্যাচ ২৬ ডিসেম্বর শেখ জামালের বিপক্ষে। ২২ তারিখে এই এই শেখ জামালে মুখোমখি হবে রহমতগঞ্জ।


আরো সংবাদ



premium cement