২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফুটবলে পদক নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের

-

সাফ গেমসকে ২০০৪ সালে এসএ গেমস নামকরণ করা হয়। এসএ গেমস ফুটবলে দুই বার পদকবঞ্চিত বাংলাদেশ পুরুষ দল। ২০০৪ সালে ইসলামবাদ এসএ গেমস ও ২০০৬ এর কলম্বো এসএ গেমস। সাফ গেমসে পদকশূন্য ১৯৮৭ ও ১৯৯৩ আসরে।

২০১০ সালে ঢাকায় স্বর্ণ জিতলেও ২০১৬তে ব্রোঞ্জে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এবার কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পদক ছাড়াই ঢাকায় ফেরার উপক্রম হয়েছিল। ভুটানের কাছে প্রথম ম্যাচে ০-১ গোলে হার আর পরের ম্যাচে মালদ্বীপের সাথে ১-১ এ ড্র করার পর এই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১-০ গোলে হারিয়ে অবশ্য রেসে ফেরে বাংলাদেশ। ৫ ডিসেম্বর মাহাবুবুর রহমান সুফিলের গোলে ওই জয়ের পর শনিবার এল আরেকটি সুসংবাদ। বাজে হারে ১৩তম এসএ গেমস শুরু করার পরও পদক শূন্য হয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে না জামাল ভূঁইয়াদের। কারণ এদিন বিদায় হয়েছে ব্রোঞ্জ পদকের মিশনে লাল-সবুজদের প্রবল প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের। তাই আপাতত ব্রোঞ্জ নিশ্চিত হয়েছে জেমি ডে বাহিনীর।

এখন তাদের এটাকে স্বর্ণে রূপান্তরিত করতে রোববার নেপালের বিপক্ষে জিততে হবে। এরপর ১০ ডিসেম্বর জয় পেতে হবে ভুটানের বিপক্ষে। চার ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে চলে গেছে ভুটান। রোববার বাংলাদেশ যদি নেপালকে হারাতে পারে তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান সাত করে। তখন হেড টু হেডের বিবেচনায় ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশকে এদিনই ঢাকামুখী বিমানের টিকিট জোগাড় করতে হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পয়েন্ট তিন খেলায় চার।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শনিবার বিকেলে নেপাল ২-১ হারিয়ে দেয় মালদ্বীপকে। আর সন্ধ্যায় ভুটান ৩-০ গোলে হারের স্বাদ দেয় শ্রীলংকাকে। এটি ভুটানের চার ম্যাচে তৃতীয় জয়। এই সাফল্যের ফলে গেমস এর ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম পদক নিশ্চিত করলো ভুটান। যদিও এই আসরে এখন পর্যন্ত ভুটানই হেরেছে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে। বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়ে হাওয়ায় ভাসা ভুটানীদের পরের ম্যাচেই ৪-০তে উড়িয়ে দেয় নেপালীরা। পরের দুই ম্যাচে ভুটান ২-১ গোলে মালদ্বীপকে এবং কাল লংকানদের ৩-০তে বিধ্বস্ত করে। মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার পয়েন্ট ২ করে।

বাংলাদেশ সাফ গেমসের সময় ১৯৮৭ সালে কলকাতায় এবং ১৯৯৩ সালে নিজ মাঠে কোনো পদক জিততে পারেনি। ব্রোঞ্জ পদক পায় ১৯৯১ ও ২০১৬ সালে। লাল সবুজ জার্সীধারী ফুটবল রৌপ্য পদক জয় করে ১৯৮৪ তে কাঠমান্ডু সাফ গেমসে, ১৯৮৫ সালে ঢাকা সাফ গেমসে, ১৯৮৯ এ ইসলামবাদ সাফ গেমসে এবং ১৯৯৫তে মাদ্রাজ সাফ গেমসে। প্রথমবার তাদের ফাইনালে হারতে হয়েছিল নেপালের কাছে। পরের বার টাইব্রেকারে ভারতের কাছে। ১৯৯৫ এর প্রতিপক্ষও ছিল ভারত। ১৯৮৯তে ফাইনালে হার পাকিস্তানের কাছে।

এদিকে এবারের এসএ গেমসে মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির সুযোগে ব্রোঞ্জ জিতিছে মালদ্বীপ। ফুটবলে এটি তাদের প্রথম পদক। শনিবার শ্রীলংকাকে ২-১ গোলে হারিয়ে তাদের পদক জয়ের উল্লাস । ৯ ডিসেম্বর স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে মুখোমুখী হবে ভারতও নেপাল। কাল নেপালকে লিগের ম্যাচে ১-০ গোলে হারায় ভারত।


আরো সংবাদ



premium cement