২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

জামালদের খেলা দেখতে টিকিটের জন্য হাহাকার বাংলাদেশীদের

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ওমানের সময় সন্ধ্যা ৭টা আর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খেলা। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশীরা দুপুর একটা থেকেই লম্বা লাইন দিতে থাকে  মাসকাটের সুলতান খাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। ওদের চাই ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের এই ম্যাচের টিকিট। বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার আগের দিন বলেছিলেন ২৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারীর ৫০ শতাংশ অংশ বাংলাদেশীদের জন্য বরাদ্ধ। যা আগের দিন ম্যানেজার্স মিটিংয়ে জানিয়ে ছিল ওমান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু গতকাল ওমান টাইমসে খবর বের হয় লালসবুজ প্রবাসীদের জন্য দেয়া হবে মাত্র আট হাজার টিকিট। যার অর্থ ত্রিশ শতাংশের একটু বেশি। তাই লাল সবুজ পতাকা আর এই রঙের জার্সি গায়ে কার আগে কে পাবেন এই সোনার হরিণ রুপের স্টেডিয়ামে প্রবেশের ছাড়পত্র সে জন্যই তুমুল প্রতিযোগিতা।

কিন্তু সব বাংলাদেশীর সুযোগ হয়নি মাঠে প্রবেশের। পর্যাপ্ত টিকিট যে দেয়া হয়নি তাদের। আসলে যে পরিমাণ বাংলাদেশী কাল প্রিয় দেশের ফুটবল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম চত্বরে জমা হয়েছিলেন তাতে পুরো গ্যালারী তাদের জন্য দেয়া হলেও মনে হয় সবাইকে বসার জায়গা দেয়া যেত না। যারা টিকিট পেয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের সুযোগ পান তারা সত্যিই ভাগ্যবান। টিকিট হাতে বেশ উল্লাস করেছেন তারা। কালকাতলীয় ভাবে গ্যালারীটা লাল সবুজ রঙের। চেয়ার গুলো সেভাবেই রং করা। কিন্তু সব প্রবাসী মাঠে প্রবেশ করতে না পারায় শতভাগ লালসবুজ ময় হলো না স্টেডিয়ামটি।

বিপুল উৎসাহ নিয়েই কাল খাবুস স্টেডিয়ামে হাজির হন বাংলাদেশী ফুটবল প্রেমীরা। এদের একজন মোহাম্মদ সুজন এসেছেন রাজধানী থেকে দুই ঘন্টা দূরের শহর সূর থেকে। মুনসার থেকে এসেছেন আলাউদ্দিন। তাদের বেশ অনেকক্ষন অপেক্ষা করতে হয় টিকিটের জন্য। বাংলাদেশীদের এতো ব্যাপক উপস্থিতি যে স্টেডিয়াম চত্বরের পুরো রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের দুই পাশে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেয়।

শুক্রবার ও  শনিবার ওমানে সাপ্তাহিক ছুটি। কাল ছিল কর্ম দিবস। জামাল- জীবনদের খেলা দেখতে  এই প্রবাসীরা কাল ছুটি নিয়েছেন। এতে তারা ৮/১০ রিয়াল বাংলাদেশী টাকায় ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকার বেতন কাটা যাবে। সাথে আছে স্টেডিয়ামে আসা যাওয়া এবং টিকিট কেনার খরচ। টিকিটের দাম দুই রিয়াল। টাকায় যা ৫শ’ টাকা। অবশ্য দেশের খেলা দেখতে তারা এই  অর্থ ব্যায়ে কোনো কার্পন্যই করেনিনি।   লক্ষ্মীপুরের আবদুর রহমান জানালেন দেশের জন্য ৬/৭ রিয়াল ব্যয় করতে কোনো সমস্যা নেই আামদের। আমরা বরং দারুন খুশী ওমানের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যাচের সাক্ষী হতে। উল্লেখ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের অধিকাংশই শ্রমিক।


আরো সংবাদ



premium cement